দুপুর ১:০৬
বৃহস্পতিবার
১৬ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
২ রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৮ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

সমুদ্রের নিচে রেললাইন! মুম্বাই থেকে আরব আমিরাত

সমুদ্রের নিচে রেললাইন

যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক অনন্য নজির? সমুদ্রের নিচ দিয়েই চলবে ট্রেন! এমনটাও কী হতে পারে? আস্ত একটা সাবমেরিন নাকি ট্রেনটা!

মুম্বাই থেকে ফুজাইরাহ পর্যন্ত চালু হওয়ার কথা চলছে এই ট্রেনের। দ্রুতগতির এই ট্রেনের কথা প্রথম উঠে আসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে-ভারত কনক্লেভে।

আমিরাতের জাতীয় উপদেষ্টা কমিশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানিয়েছেন এই ট্রেনের ভাবনার কথা।
আমিরাতের মাসদারের এক স্টার্ট আপ সংস্থা তৈরি করছে এই প্রযুক্তি। তারাই প্রথম এই প্রস্তাব দেয়।

আলশেহি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পে প্রথমেই সমীক্ষা করে দেখতে হবে এই ধরনের কোনও রেললাইন পাতা যাবে কিনা। দূরত্বটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে। ২০০০ কিলোমিটার বিস্তৃত হবে এই রেলপথ। ৩০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় পানির স্তরের ভারসাম্য বজায় রেখেই এই ট্রেনে পরিষেবা চালু হতে পারে।

ট্রেনগুলোতে যাত্রী পরিবহন ছাড়াও পানি, তেল বিনিময় হবে এই পথে। ফুজাইরাহ থেকে তেল আসবে মুম্বাই বিমানবন্দরে আর নর্মদা নদীর পানি যাবে ওই দেশে।

আবদুল্লা আলশেহি এই সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই বিপুল গতি সম্পন্ন ট্রেনটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে দৃঢ় করবে।

ম্যাগনেটিক ফ্লোটিং ট্রেন (মাগলিভ) রেললাইন ও ইঞ্জিনের মধ্যে কোনও ঘর্ষণ থাকবে না। ম্যাগনেটিক রিপালশন সিস্টেম বেসড সুইফ্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন (চৌম্বকীয় বিকর্ষণ সম্পন্ন) পদ্ধতিতে চলবে এই ট্রেন। দুই জোড়া চুম্বক ঠেলে এগিয়ে দেবে ট্রেনটিকে। ফলে যাত্রা হবে আরামদায়ক ও দ্রুত।

জাপান, কোরিয়া, কানাডায় রয়েছে এই ধরনের ব্যবস্থা। অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, ইজরায়েল, ব্রিটেনও চেষ্টা করছে এই রেলপথকে তাদের দেশে চালু করার।

সম্প্রতি নিনগোবো-সাংহাই ও জেসুহান সমুদ্রের নিচ দিয়ে রেল পথ স্থাপনে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে চীন সরকার।

আরএম-১৩/০৪/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

মাশরাফিকে দেশের জনগণ মনে রাখবে না?

আগে কখনো সে অর্থে রাজনীতি করেননি। জীবনের দেড়যুগ কাটিয়ে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনেই। ক্যারিয়ার সায়াহ্নে এসে নাম লিখিয়েছেন পুরোদস্তুর জাতীয় রাজনীতিতে। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে লড়বেন নিজের জন্মস্থান নড়াইলের সাংসদ হওয়ার দৌড়ে।

কিন্তু ঠিক কি কারণে এমন সিদ্ধান্ত মাশরাফির? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ক্রিকেটার মাশরাফির ওজন অনেক বেশি। অন্য যে কোনো ক্রিকেটারের চেয়ে মাশরাফির জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। কিন্তু নির্বাচন করবেন তথা রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন তার পার ভক্তদের অনেকেও মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন।

এমন হবে জানতেন মাশরাফিও। এক দলের হয়ে নির্বাচন করায় অন্য দল মুখ ঘুরিয়ে নেবেন সেটি জেনেই নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এমন ঘটনাকে অস্বাভাবিক মনে করছেন না বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক।

মঙ্গলবার ঢাকা মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে করা সংবাদ সম্মেলনে তার কাছে প্রশ্ন ছিলো, ‘এতদিন আপনি ছিলেন সারাদেশের। এখন একটি বিশেষ অংশের। দেশের এক অংশের রোষানলে পড়েছেন। এ বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?

মাশরাফির সোজাসাপটা জবাব, ‘এমনটা আমি স্বাভাবিকভাবেই দেখছি। নির্বাচনে দাড়ালে এমনটা হবে আমি ধরেই এসেছি। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এক পক্ষ থেকে দাঁড়ালে অন্য পক্ষ বিমুখ হবে তা আমি অস্বাভাবিক মনে করছি না।’

প্রশ্নের উত্তরে সন্তুষ্ট না হয়ে উপায় নেই। তো এবার আসা যাক ঠিক কি কারণে রাজনীতিতে এলেন তিনি? এমন হওয়ার উপায় নেই যে জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে তার কিংবা ক্রিকেটার মাশরাফির আবেদন কমেছে কোনো অংশে। তাহলে কেনো রাজনীতিতে এলেন, কেনইবা লড়ছেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে?

এ প্রশ্নের উত্তরে মাশরাফি বলেছেন দারুণ কথা। দেশের ক্রিকেটে এখন তিনি বড় মুখ হলেও, কয়েক বছর কিংবা কয়েক দশক পর তাকে মানুষ মনে রাখবে- এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই মানুষের জন্য ভালো কাজ করে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান তিনি।

মাশরাফি বলেন, ‘আমার রাজনীতিতে আসার কারণ প্রথমত নড়াইলবাসীর জন্য কিছু করা এবং আমার এলাকার উন্নয়নে নিজেকে জড়িয়ে রাখা। আমি হয়তো আগামী ৭-৮ মাস তথা বিশ্বকাপের পর আর ক্রিকেটে থাকবো না। আমি শচীন টেন্ডুলকার বা গ্লেন ম্যাকগ্রা নই যে ক্রিকেট বিশ্ব আমাকে মনে রাখবে। আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী খেলেছি, আমার সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করেছি।’

‘এখন আমার ক্যারিয়ার শেষের দিকে। একটা সুযোগ এসেছে নিজের এলাকার জন্য কিছু কাজ করার এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা, আওয়ামী লীগ চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা আমাকে এ সুযোগটা দিয়েছেন। এটা আমার জন্য অনেক বড় সুযোগ এবং আমি চেষ্টা করবো যদি জিততে পারি, আমি এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’

কথার ছলে মাশরাফি যেন জানিয়ে দিলেন বিশ্বকাপের পর আর খেলবেন না তিনি। যদি সাংসদ হয়ে যান তাহলে কি মাশরাফি পুনঃবিবেচনা করবেন নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত? এব্যাপারে মাশরাফির ভাষ্য, ‘আমি আগেই বলেছি প্রথম লক্ষ্য বিশ্বকাপ। সেটি আগে খেলে নেই। তারপরে বলতে পারবো আরও কতদিন খেলি।’

এসএইচ-১৬/০৪/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

ভিকারুননিসার প্রভাতী শাখার প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

স্কুলে ডেকে নিয়ে বাবা-মাকে অপমান করায় নবম শ্রেনির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর (১৫) আত্মহত্যার ঘটনায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাতী শাখার প্রধান শিক্ষক জিন্নাত আরাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস বলেন, পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ওই শিক্ষককে মঙ্গলবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নকলের অভিযোগ তুলে বাবা-মাকে ডেকে অপমান ও টিসি দেয়ার কথা বলায় রাজধানীর শান্তিনগরে নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি আত্মহত্যা করেন।

স্কুলের অধ্যক্ষ অরিত্রির বাবা-মাকে ডেকে মেয়ের সামনেই অপমান করে বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে অরিত্রিকে নকলের অভিযোগে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়া হবে।

এ অপমান সইতে না পেরে বাসায় এসে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন অরিত্রি। আত্মহত্যার কিছুক্ষণ আগে সে তার মাকে জানায়, ‘মা এ লজ্জা নিয়ে বাঁচতে চাই না।’ তার ছোট বোনও একই স্কুলে পড়ে।

অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস বলেন, অরিত্রী প্রভাতী শাখায় পড়ত। দায়িত্বরত শিক্ষক তার নকল ধরে শাখা প্রধানের কাছে যান। পরে শাখা প্রধান তাকে বহিষ্কার করে পরীক্ষা স্থগিত করেন। পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে শাখা প্রধানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এদিকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, স্কুলে শিক্ষকের কথায় অপমানিত হয়ে ছাত্রীর আত্মহত্যা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন, প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিএ-১০/০৪-১২ (শিক্ষা ডেস্ক)

কেন দেশের বাইরে যাচ্ছেন এরশাদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আগামী ১০ ডিসেম্বর দেশের বাইরে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তার দলের নবনিযুক্ত মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা।

মঙ্গলবার বনানীতে পার্টির চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।

রাঙ্গা বলেন, ‘একাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যেই মহাজোটের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। এরপরই দেশের বাইরে যাবেন এরশাদ। সম্ভবত ১০ ডিসেম্বর।’

তবে কি কারণে এরশাদ দেশের বাইরে যাবেন, তা তিনি জানাতে রাজি হননি।

রাঙ্গা বলেন, ‘যদিও স্যারের এখন দেশের বাইরে যাওয়া জরুরি। তবে আমরা মনে করছি, অতটা জরুরিও নয়।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্যার শতভাগ সুস্থ আছেন। নিজে হেঁটে আমার কাছে এসেছেন। কিন্তু, কাল (সোমবার) রাত ১টার দিকে সিএমএইচে গেছেন।’

জাপা মহাসচিব আরও বলেন, ‘বাসায় একা একা থাকতে ভয় পান। এজন্য একটু অসুবিধাবোধ করলে নার্সসহ চিকিৎসা সেবা পেতে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে সিএমএইচে গিয়ে থাকছেন।’

বিএ-০৯/০৪-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

প্রার্থীদের আপিলে পক্ষপাতিত্ব দেখাবে না ইসি

প্রার্থীতা ফিরে পেতে যারা আপিল করছেন তাদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখানো হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার। ঢাকার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবন চত্ত্বরে আপিল জমা দেওয়ার দ্বিতীয় দিন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় মাহবুব তালুকদার বলেন, আমরা যা কিছু করব, তা আমাদের আইনানুগভাবেই করতে হবে। কারো প্রতি পক্ষপাতিত্ব আমরা অবশ্যই দেখাব না। প্রতিটি কেসেরই (আপিল) মেরিট আমরা দেখব। আমি যেটা মনে করি, নির্বাচন কমিশন সব ব্যাপারেই একটা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে।

উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে কি না এবং আপিলে কমিশন নিরপেক্ষতার পরিচয় দেবে কি না– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব তালুকদার বলেন, এ ব্যাপারে আমার এককভাবে কোনো বক্তব্য দেওয়ার কথা নয়। যারা আপিল করেছেন বা করছেন, শুনানিতে তারা তাদের তথ্যগুলো উপস্থাপন করবেন। আমরা অবশ্যই ন্যায় বিচারে প্রত্যাশী।

নির্বাচনের পরিবেশের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ আছে কি নেই, আমরা এই বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে দেখতে পারি। তবে নির্বাচনী পরিবেশ আছে কি নেই, এই মুহূর্তে আমি কোনো কিছু বলার জন্য প্রস্তুত নই।

মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা হওয়ার বিষয়ে এই কমিশনার বলেন, যাদের যা কিছু অভিযোগ, লিপিবদ্ধ করে আমাদের এখানে দেবেন, তাদের প্রত্যেকটি অভিযোগের বিষয়ে আমরা শুনানি করব। এরপর আমরা এটার বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।

দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাজি সেলিম ও পঙ্কজ দেবনাথ নির্বাচন করতে পারবেন কি না জানতে চাইলে এই কমিশনার বলেন, আমার কথা হলো, এসব অভিযোগের প্রশ্নের উত্তর আমি এই মুহূর্তে দিতে পারি না। এই মুহূর্তে আমি এটার জন্য প্রস্তুত না। আমি কেবল দেখতে এসেছি, যারা আপিল করতে আসছেন, তাদের কোনো অভিযোগ আছে কি না। জমা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো অসুবিধা হচ্ছে কি না।

ন্যায়বিচারের ব্যাপারে কমিশন স্বচ্ছ থাকবে কি না, এ বিষয়ে মাহবুব তালুদকার বলেন, ন্যায়বিচার তো আপেক্ষিক বিষয়। এটার উত্তর আমি এখনই দিতে পারি না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে একজন সাজাপ্রাপ্ত হন, পরে আবার তিনি খালাসও পান। সেক্ষেত্রে আমি বলব, ন্যায়বিচার বিষয়টি পুরোপুরি আপেক্ষিক। কোনটা ন্যায়বিচার আর কোনো ন্যায়বিচার নয়, সেটার বিচারক তো আমি নই।

রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের বিষয়ে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আমিও পত্রিকায় দেখেছি। এ বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী আপিল করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।

যাদের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে তারা ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল করতে পারবেন। আগামী ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর আপিলের শুনানি হবে। শুনানি শেষে আমরা আমাদের জাজমেন্ট (রায়) দেব। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এরপর আমরা প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেবো।

প্রসঙ্গত, রোববার ছিল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন। সারাদেশে দাখিল করা ৩ হাজার ৬৫ টি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

বিএ-০৮/০৪-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

ভারতে উচ্ছেদ আতঙ্কে বাঙ্গালীরা !

আসামে এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই ভারতের নানা প্রান্তে ‘অবৈধ বিদেশি’ তাড়ানোর যে হিড়িক পড়েছে, সেই তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু শহরের নামও। উচ্ছেদ-আতঙ্কে থাকা এসব মানুষের বেশির ভাগই মুসলিম। তবে তারা নিজেদের পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক বলে দাবি করেছে। তাদের কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের পরিচয়পত্রও রয়েছে। এরপরও রাজ্য বিজেপির নেতা-বিধায়কদের দাবি সেগুলো বেশির ভাগই জাল এবং তাদের কর্নাটক থেকে তাড়াতেই হবে।

এদিকে এরকম নিম্ন আয়ের বাঙালিদের ব্যাঙ্গালুর থেকে তাড়ানোর জন্য সোমবার চূড়ান্ত সময়সীমা নির্ধারিত থাকলেও বামপন্থীদের আন্দোলনের মুখে সেই ‘ডেডলাইন’ আরও দুই দিন বাড়ানো হয়েছে। প্রায় তিন মাস আগে ভারতের শীর্ষস্থানীয় একটি (টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ব্যাঙ্গালুরের নানা বস্তিতে হাজার হাজার ‘বাংলাদেশি’ অবৈধভাবে বসবাস করছেন এবং তারা প্রায় প্রত্যেকেই অবৈধ উপায়ে ভারতের পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছেন।

এর পরপরই ব্যাঙ্গালুরে বাংলাদেশি তাড়ানোর অভিযান ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। যার নেতৃত্ব দেন কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী নেতা হিসেবে পরিচিত মহাদেবপুরার বিজেপি এমএলএ ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অরবিন্দ লিম্বাভালি।

তিনি কয়েক দিন আগে টুইট করেন ‘অবৈধ বাংলাদেশিরা’ ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিরাট হুমকি – কোনো শিল্পমালিক তাদের কারখানায় বা সাইটে কাজে লাগালে কড়া শাস্তি পেতে হবে। তাদের তাড়ানোর জন্য শহরের সোনডেকোপ্পাতে ডিটেনশন সেন্টার তৈরি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে কর্নাটক বিজেপির মুখপাত্র ড. ভামান আচার্য বলেছেন, ‘আসলে আগে আমাদের রাজ্যে অভিবাসী শ্রমিকরা আসতেন বিহার বা উড়িষ্যা থেকে। কিন্তু গত দুই-তিন বছর ধরে যারা আসছেন তাদের বেশির ভাগই বাংলাদেশি।’

তিনি আরও বরেন, ‘সীমান্ত পেরিয়ে তারা প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে আসেন, সেখান থেকে পাড়ি দেন দক্ষিণ ভারতে। কিন্তু পুলিশ এখন দেখতে পাচ্ছে তাদের বেশির ভাগ পরিচয়পত্রই জাল, তারা এদেশে অবৈধভাবে বাস করছেন।’

এসএইচ-১৫/০৪/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

প্রশ্নপত্রে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম ভুল!

ঝালকাঠির রাজাপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ‘স্বাধীনতা’ ও ‘বঙ্গবন্ধু’- এই দুটি শব্দের বানান ভুল ধরা পড়েছে শিশু শিক্ষার্থীদের চোখে। অথচ দায়িত্বে থাকা শিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টিকে ছাপাখানার ভুল বলে দায় এড়াতে চাইছেন।

সোমবার তৃতীয় শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে পরীক্ষা চলাকালে এই ভুল ধরা পড়ে।

জানা যায়, গত ২৯ নভেম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়। বরাবরের মতো পরীক্ষার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। সোমবার বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে পরীক্ষা চলাকালে ১ এর (ঝ) নম্বর প্রশ্নটি ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন কে? প্রশ্নটিতে স্বাধীনতার বদলে ‌‘স্বীধীনতা’ লেখা ছিল। এ ছাড়া ২ এর (খ) শূন্যস্থান পূরণ প্রশ্নটি ছিল ‘বঙ্গবন্ধুর’ ডাক নাম ছিল………। সেখানে বঙ্গবন্ধুর স্থানে লেখা ছিল ‘বঙ্ঘবন্ধু’।

পুরো প্রশ্নপত্রের শত শত শব্দের মধ্যে শুধু স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু- এই দুটি শব্দে ভুল হওয়া উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খান মো. আলমগীর বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা বিবর্ত। তবে প্রশ্নপত্রের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হিমাদ্রী শেখর ও রফিকুল ইসমালের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যদি তাদের দায়িত্বে কোনো অবহেলা পাওয়া যায় তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রশ্নপত্রের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিমাদ্রী শেখর বলেন, এটা ছাপাখানা ভুল করেছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাপাখানা থেকে সরবরাহ করার পর ভালোভাবে না দেখে ভুল বানানের প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীদের মাঝে সরবরাহ করা ঠিক হয়নি।

বিএ-০৭/০৪-১২ (শিক্ষা ডেস্ক)

পুরস্কার গ্রহণ করতে গিয়ে যৌন হয়রানির শিকার নারী ফুটবলার

প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে নরওয়ের আডা হেগেরবার্গ ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। আর পুরস্কার নিতে গিয়ে পড়েছেন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হেগেরবার্গকে নাচতে বলে তাকে যৌন হেনস্তা করেন।

দিনটা নারী ফুটবলের জন্য ঐতিহাসিক। নারী ফুটবলকে এগিয়ে নিতে চালু হয়েছে ব্যালন ডি’অর। পুরুষের ফুটবলে যা ১৯৫৬ সাল থেকেই চালু আছে।

সোমবার প্যারিসে এক জমকালো অনুষ্ঠানে ব্যালন ডি’অরের অভিষেক ট্রফিটা ছুয়ে দেখেন ফ্রান্স ক্লাব লিঁও নারী ফুটবলার আডা হেগেরবার্গ। গেল মৌসুমে তিনি লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। কিন্তু তার ক্যারিয়ার ও ফুটবলের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে উপস্থিতদেরও অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ডিজে মার্টিন সলভেইগ।

ট্রফি জয়ের পর মঞ্চে আসা হেগেরবার্গকে ‘টুয়ের্ক’ বা কোমর দুলিয়ে যৌন উত্তেজক নাচ দেখাতে বলেন সঞ্চালক।

নারী এই ফুটবলার তাৎক্ষণিক প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে মঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছিলেন। রাগে-ক্ষোভে একটু নাচেনও তিনি। পরে অবশ্য সলভেইগ ক্ষমা চেয়েছেন হেগেরবার্গের কাছে। পরে এই নারী ফুটবলার বলেন, ‘ব্যাপারটা যৌন হয়রানি হিসেবে দেখছি না। ব্যালন ডি’অরের আনন্দটা উপভোগ করতে চাই।’

এসএইচ-১৪/০৪/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

সিলিন্ডার কেন লাল রঙের, গ্যাসের গন্ধ এত খারাপ কেন, জানুন ১০ জরুরি তথ্য

সিলিন্ডার কেন লাল

সিলিন্ডার কেন লাল রঙের, গ্যাসের গন্ধ এত খারাপ কেন? এলপিজি অর্থাত্‍ রান্নার গ্যাস সব বাড়িতেই থাকে। কিন্তু সেই সিলিন্ডার সম্পর্কে অনেক কথাই জানা নেই অনেকের।

গ্যাসের সিলিন্ডারের রং হয় লাল। কারণ, লাল রং অনেক দূর থেকে সকলের নজরে পড়ে। ফলে পথে পরিবহনের সময়ে বা বাড়িতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যায় তীব্র ভাবে। এলপিজি আসলে কিন্তু গন্ধহীন। কিন্তু সিলিন্ডারে গ্যাস ভরার সময়ে ইথিল মারক্যাপ্টন নামে একটি রাসায়নিক মেশানো হয়, যাতে কোনও ভাবে গ্যাস লিক হলে টের পাওয়া যায়।

গ্যাস সিলিন্ডারগুলির আকার বৃত্তাকার বা নলাকার হয়। সব জায়গাতেই এই এক ধরনের সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

এলপিজি আসলে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি বিউটেন বা প্রোপেন হয়। এই এলপিজি আসলে হাইড্রোকার্বন গ্যাসের জ্বলন্ত মিশ্রণ।

শুধু রান্নাই নয়, এলপিজি যানবহনের জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

একটি খালি এলপিজি সিলিন্ডারের ওজন প্রায় ১৫.৩ কেজি।

প্রতিটি সিলিন্ডারে গ্যাসের পরিমাণ থাকার কথা ১৪.২ কেজি।

গ্যাস ও সিলিন্ডারের ওজন মিলিয়ে একটি ভর্তি সিলিন্ডারের ওজন হয় ২৯.৫ কেজি।

গ্যাস সিলিন্ডারের গায়ে একটি বিশেষ চিহ্ন থাকে। এটির মাধ্যমে সংখ্যা মাস এবং বছরকে বোঝায়।

এই চিহ্নটিতে চারটি অক্ষর ব্যবহৃত হয়। এবং তা যথাক্রমে এ, বি, সি, এবং ডি। এগুলি যথাক্রমে জানুয়ারি-মার্চ, এপ্রিল-জুন, জুলাই-সেপ্টেম্বর- এবং অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়কাল চিহ্নিত করে।

শেষ সংখ্যাটির অর্থ হল বছর। উদাহরণ সহকারে বোঝানো যাক। উপরের সিলিন্ডারটিতে লেখা রয়েছে ‘বি-১৩’। অর্থাৎ এই সিলিন্ডারটি ২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে জুন মাসের পরে ব্যবহৃত হলে তা থেকে বিপদের সম্ভাবনা।

আরএম-১০/০৪/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: এবেলা)

সংসদে শেখ হাসিনার বক্তৃতা সমগ্র নিয়ে বই প্রকাশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নবম জাতীয় সংসদে দেয়া বক্তৃতা সমগ্র নিয়ে দুই খণ্ডে বই প্রকাশতি হয়েছে। বইয়ের নাম দেওয়া হয়েছে, ‘৯ম জাতীয় সংসদ বক্তৃতা সমগ্র (২০০৯-২০১৩): শেখ হাসিনা’।

সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার কাছে সঙ্কলন দুটি হস্তান্তর করা হয়।

এ সংকলনে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুরুত্বপূর্ণ ভাষণসমূহ অর্ন্তভুক্ত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

সঙ্কলনটির প্রধান সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। এটি গ্রন্থনা ও সম্পাদনা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অতিরিক্ত প্রেস সচিব মো. নজরুল ইসলাম।

সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেন এবং সহযোগিতায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম. এম. ইমরুল কায়েস, সহকারী পরিচালক (সংযুক্ত) শাওন চৌধুরী ও সহকারী পরিচালক (সংযুক্ত) গুল শাহানা উর্মি।

সঙ্কলন দুটি প্রকাশ করেছেন স. ম. ইফতেখার মাহমুদ, গৌরব প্রকাশন, ৩৮, বাংলাবাজার ঢাকা ১১০০।

বিএ-০৬/০৪-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)