রাত ১:২৩
বৃহস্পতিবার
২১ শে আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
৫ ই ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬ শে সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

বন্ধুর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল বন্ধুর!

পাবনায় ক্রিকেট খেলা নিয়ে দ্বন্দের জেরে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে হামিম হোসেন মিম (১৮) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত ওয়াজেদ (১৮) নামে এক যুবককে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে পাবনা সদর উপজেলার চরঘোষপুরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হামিম হোসেন মিম চরঘোষপুর পূর্বপাড়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। ছুরিকাঘাতকারী বন্ধুর নাম অনিক হোসেন (২০)। তার বাড়িও একই গ্রামে। এ ঘটনায় নিহত মিমের স্বজনরা ঘাতক অনিকের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইবনে মিজান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে করে জানান, দুপুরে বন্ধুরা মিলে ক্রিকেট খেলার জন্য মাঠে যায়। তাদের মধ্যে অনিক হোসেনকে খেলায় নেয়া হবে না বলে জানায় অন্য বন্ধুরা।

এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে অনিক বাড়ি থেকে ছুরি নিয়ে তার বন্ধু হামিমকে আঘাত করে।

এ সময় তাকে বাধা দিতে গেলে ওয়াজেদ নামে আরেক বন্ধুকেও সে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় হামিম ও ওয়াজেদকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হামিমকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ওয়াজেদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

বিএ-০৮/০৭-১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

রাখির বিয়ের খবর ভুয়া

রাখির বিয়ের

রাখি সাওয়ান্তের বিয়ে! জানার পর কেউ বিশ্বাসই করতে চাননি। এমনকি এ বিয়ে নিয়ে ছড়িয়েছিল নানা গুঞ্জন, তৈরি হয়েছিল মজার সব মিম (ব্যঙ্গাত্মক স্টিকার)। এবার জানা গেল, ৩১ ডিসেম্বর লস অ্যাঞ্জেলেসে রাখির বিয়ের সেই খবরটি ছিল ভুয়া। ঘোষণার সপ্তাহ না ঘুরতেই বিয়ের খবর বাতিল করে দিয়েছেন ‘বিতর্কের রানি’ রাখি সাওয়ান্ত। নিজেই জানিয়েছেন, বিয়ের ব্যাপারে মিথ্যে খবর দিয়েছিলেন তিনি।

গত ২৮ নভেম্বর একটি আমন্ত্রণপত্রের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সেখানে লেখা ছিল ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৫টা ৫৫ মিনিটে লস অ্যাঞ্জেলেসে দীপক কালাল বিয়ে করতে যাচ্ছেন রাখি সাওয়ান্তকে। ইতিমধ্যে বিয়ের অতিথি হিসেবে শাহরুখ খানের নাম নিশ্চিত করেছেন আইটেম গার্ল রাখি সাওয়ান্ত।

সেই গুজবের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। কথিত পাত্র দীপক কালালকেও বলেছেন, যেন তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। ভারতীয় সংবাদপত্র এবেলা জানিয়েছে, রাখি সাওয়ান্ত দীপক কালালকে বলেছেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে আমার পরিবার আমার ওপর ক্ষুব্ধ। এত দিন ধরে চলচ্চিত্রে কাজ করছি, অনেক পরিশ্রম করেছি। এ রকম নোংরামি আমি কখনোই করতে চাইনি। আমি আমার পরিবারকে বোঝাচ্ছি। এমন নোংরা বিজ্ঞাপন আমি চাইনি; যা হয়েছে সেটা ভুলে যাও।’

পুরো ব্যাপারটির জন্য দীপককে দায়ী করে রাখি বলেছেন, ‘আমি একজন সহজ-সরল বিশ্বাসী মানুষ। মিথ্যে বলতে পছন্দ করি না। তোমার ফাঁদে পড়ে আমাকে মিথ্যে বলতে হলো।’

রাখির বিয়ে নিয়ে কয়েক দিন ধরে সামাজিক মিডিয়ায় আলোচনা চলছিল। অনেকেই তাঁর বিয়ের খবরটি সত্য বলে মানতেই পারছিলেন না। দীপিকা ও প্রিয়াঙ্কার বিয়ের সময় বলে আরও একটি বিয়ের খবরকে উড়িয়ে দেওয়াও যাচ্ছিল না। এখন বোঝা যাচ্ছে, রাখির বিয়ের বিষয়টি বানানো। খবরের শিরোনাম হওয়ার জন্য রাখি এমনটি করেছেন।

নানাভাবে খবরে আসতে চাইতেন বলিউডের এই আইটেম গার্ল। কখনো বেফাঁস মন্তব্য করে, আবার কখনো অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটিয়ে। এর আগে এক রেসলিং মঞ্চে নাচতে গিয়ে নারী বক্সারের আছাড় খান তিনি। এ জন্য হাসপাতালেও যেতে হয়েছিল তাঁকে।

বলিউড অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। সে সময় তিনি তনুশ্রী দত্তকে মিথ্যাবাদী বলেছিলেন। এ জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন পরে।

আরএম-১৩/০৭/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

কাশতে কাশতে বের হয়ে এলো ‘ফুসফুস’!

কাশতে কাশতে

আমাদের দেশে শীত তেমন একটা পড়েনি এখনো। কিন্তু মেরুর কাছাকাছি দেশগুলোতে শীত মানে একদম বরফে ঢেকে যাওয়া কয়েকটি মাস। তাদের ঠাণ্ডা লেগে যায় খুব সহজেই। নাক দিয়ে পানি পড়তে থাকে, কাশি হতে থাকে। এমনকি তাদের একটি প্রবাদ প্রচলিত, ‘কফিং আপ অ্যা লাং’ অর্থাৎ এমনই তীব্র কাশি যাতে ফুসফুস মুখ দিয়ে বের হয়ে আসতে চায়। এটা নিতান্তই প্রবাদ, দমকা কাশি বোঝাতে ব্যবহার হয়। কিন্তু এক দুর্ভাগা ব্যক্তির জন্য সেটাই সত্যি প্রমাণিত হয়েছে।

নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে ৩৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির জীবনে ঘটে যাওয়া অবিশ্বাস্য এই ঘটনা বর্ণনা করা হয়। বলা হয়, তিনি কাশতে কাশতে এমন এক জিনিস মুখ দিয়ে বের করেন, যা দেখে মনে হয় তার ফুসফুস বের হয়ে এসেছে। ডাক্তাররা বলেন, এই জিনিসটি ছিল তার ব্রঙ্কিয়াল ট্রি এর একটি ছাঁচ। মূলত তার ফুসফুসের ভেতরে রক্ত জমে ফুসফুসের এই ছাঁচ তৈরি হয় ও তা কাশির সাথে বের হয়ে আসে।

জেনে রাখা ভালো, সুস্থ-স্বাভাবিক একজন মানুষের এমনটা হবার ঝুঁকি নেই। ৩৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ইতোমধ্যেই খুবই অসুস্থ ছিলেন। তার কিছুদিন আগে হার্ট ফেইলিওর হয়েছিল ফলে তার হৃৎপিণ্ড শরীরের মাত্র এক-পঞ্চমাংশ রক্ত সঞ্চালন করতে পারছিল। তার আরও একটি সমস্যা ছিল, যাকে বলে অ্যাওর্টিক স্টেনোসিস। তার একটি পেসমেকারও ছিল। এরপর ডাক্তাররা তার শরীরে আরও একটি যন্ত্র যোগ করে। এই যন্ত্রটি তার শরীরে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। এরপর তাকে হেপারিন ওষুধটি দেওয়া হয়, যা আর্টারির ব্লকেজ দূর করার একটি অ্যান্টিকোঅ্যাগুলেন্ট (রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়)।

কিন্তু এরপর ওই ব্যক্তির পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। অপারেশনের পর তিনি অক্সিজেনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তার কফের সাথে রক্ত আসতে থাকে। তার ফুসফুসের রক্তনালীকা থেকে রক্ত লিক করতে থাকে। এরই একটি পর্যায়ে দমকা কাশির সাথে বের হয়ে আসে এই ‘ফুসফুস’। এরপর ২ দিনের মাঝে অবশ্য তার কাশির সাথে রক্ত আসা বন্ধ হয়।

তার ওই ‘ফুসফুস’ ভাইরাল হয়ে যায় ইন্টারনেটে। এর ছবি দেখে একই সাথে আতঙ্কিত এবং অভিভূত হয়ে যায় সবাই।

দুঃখের বিষয় হলো, এরপরে ওই রোগী সপ্তাহখানেকের মাঝে মারা যান। তবে ফুসফুসের সমস্যার জন্য নয়, বরং হৃদরোগের কারণেই মারা গেছেন তিনি।

আরএম-১২/০৭/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্যসূত্র: আইএফএলসায়েন্স)

মেয়েদের হোস্টেলের বাথরুমে গোপন ভিডিও ক্যামেরা! অতঃপর…

মেয়েদের হোস্টেলের

হোস্টেলে মেয়েদের বাথরুমে গোপন ক্যামেরা! নিশ্চয় এটা পড়ে অবাক হচ্ছেন। হবারই কথা কেননা- এ রকম এটা জায়গা গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে রাখা হয়েছে শুনলে যে কারও গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাবে। বিশেষ করে মেয়েরা হলে তো কোন কথায় নেই।

সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে। বাথরুমের দরজা খোলার শব্দ হলেই গোপন ভিডিও ক্যামেরা চালু হয়ে যেত। এমনকি বাথরুমের কল থেকে পানি পড়তে শুরু করলেও চালু হয়ে যেত সেই ক্যামেরা। এখানেই শেষ নয়, সেইসব নারীদের ‘নগ্ন ছবি’ পাঠিয়ে দেয়া হতো তাদের মুঠোফোন এবং ল্যাপটপে।

ভুক্তভোগী নারীদের কেউ কোনো দিন জানতেই পারেন নি বাথরুমের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে সেই গোপন ক্যামেরা।

হঠাৎ একদিন প্লাগের সকেট খুলে মেঝেতে পড়ে যাওয়ার ফলে একটি গোপন ক্যামেরা চোখে পড়ে এক নারীর। সেই ক্যামেরা দেখে তো চক্ষু একেবারে ছানাবড়া হয়ে যায় হোস্টেলে থাকা ওই নারীর। তাদের বুঝতে বাকি থাকে না, এতদিন তাদের গোসলের ছবি লুকিয়ে লুকিয়ে তোলা হচ্ছিল।

ভারতের চেন্নাইয়ের আদামবাক্কামে একটি নারী হোস্টেলে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা যায়, হোস্টেলটি চালান একজন ইঞ্জিনিয়ার। ইতোমধ্যে ওই ৪৮ বছর বয়সী সম্পত রাজকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ওই হোস্টেলে গিয়ে দেখেছে, বাথরুমগুলোর বিভিন্ন জায়গায় রাখা রয়েছে ওই গোপন ভিডিও ক্যামেরা। কখনও তা প্লাগের সকেটে, আবার কোথাও তা বালবের মধ্যে, কোথাও বাথরুমে জামাকাপড় রাখার হ্যাঙ্গারে।

এ বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছেন, বিভিন্ন ধরনের অছিলা নিয়ে প্রায়ই নারীদের রুমে ঢুকে পড়তেন সম্পত। তার পর কথা বলার সময় সম্পত তার হাতটা নারী আবাসিকদের সামনে এমনভাবে নাড়াতেন যাতে হাতঘড়িতে রাখা গোপন ক্যামেরায় দ্রুত তাদের নগ্ন ছবি তুলে নেয়া যায়।

আরএম-১১/০৭/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

নামাজের স্থানের সীমারেখা কতটুকু?

নামাজের স্থানের

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলাম বিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় দেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনের জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শক-শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানটির জুমাবারের বিশেষ ৫৫৭তম পর্বে দর্শক-শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ। এই পর্বে চাঁদপুর থেকে বাবুল নামে একজন দর্শক টেলিফোনে নামাজের স্থানের সীমারেখা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।

প্রশ্ন: নামাজের স্থানের সীমারেখা কতটুকু?

উত্তর: নামাজের সামনে দিয়ে হাঁটতে রাসুল (সা.) কঠিনভাবে নিষেধ করেছেন। সমস্ত ওলামায়ে কেরামের বক্তব্য হচ্ছে, মুসল্লির সামনে দিয়ে যাওয়া হারাম। কিন্তু এখানে সীমারেখা আছে।

রাসুল (সা.) যে হাদিসে নিষেধ করেছেন, সেই হাদিসেই বলেছেন, ‘যদি অতিক্রমকারী ব্যক্তি ‘বাইনা ইয়া দাইলের’ ভেতরে চলে আসে, তাহলে মুসল্লি ওই ব্যক্তিকে বাধা দেবে। ‘বাইনা ইয়া দাইল’ হচ্ছে, মুসল্লি ব্যক্তির সিজদাহ, অর্থাৎ দণ্ডায়মান অবস্থা থেকে সিজদাহ পর্যন্ত জায়গা। এই জায়গাটুকু হচ্ছে মুসল্লির হক বা অধিকার। এই সীমার মধ্য দিয়ে কেউ হেঁটে যেতে পারবে না, মুসল্লি বাধা দিতে পারবে, এটি জায়েজ।

আবার মুসল্লিও যদি পুরা মসজিদ তার দখলে নিয়ে যায় বাকিরা দাঁড়িয়ে থাকে, এটিও তার হকের বাইরে।

সুতরাং সিজদাহের জায়গার মধ্যে যদি কেউ অতিক্রম করে, সে ক্ষেত্রে মুসল্লি তাকে বাধা দিতে পারবেন। এই সীমার মধ্য দিয়ে যিনি অতিক্রম করবেন, তিনি গুনাহগার হবেন। কিন্তু মুসল্লিও যদি তাঁর সীমা অতিক্রম করেন, তাহলে গুনাহগার হবেন। একদল ওলামায়ে কেরাম এই মুসল্লির নামাজ হবে কি না, সেটি নিয়েও প্রশ্ন করেছেন।

আরএম-১০/০৭/১২ (ধর্ম ডেস্ক)

নারীরা মেডিকেলে পড়লে কি গুনাহ হবে?

নারীরা মেডিকেলে

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় দেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনের জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

আপনার জিজ্ঞাসার ৫৬৮তম পর্বে নারীদের মেডিকেল কলেজে পড়ার ক্ষেত্রে গুনাহের কিছু আছে কি না, সে বিষয়ে ঢাকার শান্তিনগর থেকে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন সুমাইয়া। অনুলিখন করেছেন জহুরা সুলতানা।

প্রশ্ন : নারীদের মেডিকেলে পড়াশোনার ক্ষেত্রে গুনাহের কিছু আছে? কারণ মেডিকেলে পড়ানোর সময় তো ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে মানব শরীরের বিভিন্ন অংশ দেখতে হয়, এতে গুনাহের কিছু আছে কি?

উত্তর : মেডিকেলে পড়ার বিষয়টি ইসলামি শরিয়তে হারাম কিছুই নয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে অবশ্যই ইসলাম যেগুলোকে অনুসরণ করতে বলেছে, সেগুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে। ইসলামের দেখানো যে নির্দেশনা আছে, সেগুলো মেনেই আপনাকে চলতে হবে। আর এখন তো অনেক মেডিকেল কলেজ আছে, যেখানে নারীদের জন্য ভিন্ন ব্যবস্থা আছে। কলেজে এপ্রণ পরতে হয়, হিজাব ও মেনে চলার সুযোগ আছে।

তাই ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী আপনি যদি পর্দা মেনে চলতে পারেন, সেক্ষেত্রে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আছে বলে আমার জানা নেই। কিন্তু পর্দার বিষয়টি যেন অবশ্যই অনুসরণ করা হয় সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে।

আরএম-০৯/০৭/১২ (ধর্ম ডেস্ক)

‘এক সঙ্গে কয়েকজন পুরুষের সঙ্গে…’

এক সঙ্গে কয়েকজন

বলিউডে ভালোই চমক দেখিয়েছেন কমল হাসান কন্যা শ্রুতি হাসান। তার করা ছবিগুলো দর্শকমহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। তাছাড়া শ্রুতির অভিনয়-পারফরমেন্স সমালোচকদের দৃষ্টিও কেড়েছে।

তবে অভিনয়ের বাইরেও মাঝেমধ্যেই নিজের ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনায় থাকেন এ গ্ল্যামারাস নায়িকা। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বোমাই ফাটালেন নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে শ্রুতি জানিয়েছেন তার জীবনে একাধিক পুরুষ ছিলো। এমনকি একই সঙ্গে কয়েকজন পুরুষকে সামলেছেন তিনি। শ্রুতি হাসান বলেন, ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলতে আমি কখনও দ্বিধা করি না।

আমার জীবন একটি খোলা চিঠি। বলতে দ্বিধা নেই কিশোরী যখন ছিলাম তখনই একাধিক তরুণের সঙ্গে প্রেম করেছি আমি। তাদের সঙ্গে অন্যরকম সময় কাটিয়েছি। কিন্তু সেটা আসলে সিরিয়াস কিছু ছিলো না।

সেই বয়সে সবারই চোখে রঙিন চশমা থাকে। আমারও ছিলো। তবে সেই সময় কাটিয়ে ম্যাচিউরড হয়েছি। এখন সব কিছু বুঝতে পারি। হয়তো অনেক ভুলও করেছি সে সময়।

তবে এখন আমি নিজেকে শুধরানোর চেষ্টা করছি। খুব বুঝে শুনে পথ চলছি। বর্তমানে আমার জীবনে কোন প্রেম নেই। একাই আছি আমি। আর এ সিঙ্গেল জীবন খুব উপভোগও করছি।

প্রসঙ্গত, শ্রুতি তার অভিনয়ের অভিষেক করেন, তামিল-হিন্দি দ্বৈত ভাষার ‘হে রাম’ সিনেমায় বল্লভভাই প্যাটেলের কন্যা হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে। এই সিনেমাটি নির্মিত হয় মহাত্মা গান্ধীর উপর হত্যার চেষ্টার কাহিনীর উপর ভিত্তি করে, এই সিনেমার পরিচালক ছিলেন তার বাবা কামাল হাসান।

আরএম-০৮/০৭/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

আপিল শুনানিতে প্রার্থীতা পেলেন ও বাদ পড়লেন যারা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিলে আপিল করে দ্বিতীয় দিন দুপুর ১টা পর্যন্ত ৪৭ প্রার্থী বৈধ, ৩০ প্রার্থী অবৈধ ও একজনের প্রার্থীর আপিল স্থগিত রেখেছে ইসি।

সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশন ভবনের অস্থায়ী এজলাসে এ শুনানি শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে শুনানি চলছে। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এ আপিল শুনানি করছেন। এজলাসে ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদও উপস্থিত রয়েছেন। দুপুরের বিরতির পর বিকেল ৩ টায় আবারও শুনানি শুরু হয়েছে।

দুই দিনে ১৬০ জনের শুনানি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে ৮০ জনকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, বাতিল বা খারিজ করা হয়েছে ৭৬ জনকে। চারটি আপিল আবেদনের পক্ষে কেউ উপস্থিত না থাকায় শুনানি হয়নি।

জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত তিন হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এরপর ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে আপিল আবেদন করেন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা।

দ্বিতীয় দিন বৈধতা পেলেন যারা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ মো. মুসলিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৮ হাছান মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ মো. আবু আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. গিয়াস উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আবদুল খালেক, কুমিল্লা-১০ মো. শাহজাহান মজুমদার, চাঁদপুর-৫ খোরশেদ আলম খুশু, বরিশাল-২ একে ফাইয়াজুল হক, পটুয়াখালী-১ মো. আবদুর রশিদ, বরিশাল-১ মো. বাদশা মিয়া, বরগুনা-১ মো. মতিয়ার রহমান তালুকদার, ভোলা-১ গোলাম নবী আলমগীর, বরিশাল-২ মাসুদ পারভেজ, ঝালকাঠি-১ বজলুল হক হারুণ (তার মনোনয়ন বাতিল করতে আপিল করা হয়। শুনানিতে সেই আপিল খারিজ হয়ে যায়), পটুয়াখালী-২ মো. শহিদুল আলম তালুকদার, বরিশাল-২ এর সৈয়দ রুবিনা আক্তার, ভোলা-৪ নাজিম উদ্দিন আলম, বরিশাল-৪ মাহাবুবুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ মো. মেহেদী হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. ছাইফুল্লাহ (হুমায়ুন মিয়া), ঢাকা-১৬ আলহ্বাজ এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকা-৩ মোহাম্মদ সুলতান আহম্মদ খান, কিশোরগঞ্জ-২ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (রুবেল), কিশোরগঞ্জ-৬ মোহাম্মদ মুছা খান, টাঙ্গাইল-৮ মোহাম্মদ আ. লতিফ মিয়া, নরসিংদী-২ জাইদুল কবীর, কিশোরগঞ্জ-১ খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেন খান, গাজীপুর-৩ মোহাম্মদ জহিরুল হক মন্ডল বাচ্চু, মানিকগঞ্জ-২ মঈনুল ইসলাম খান, শরীয়তপুর-৩ সুশান্ত ভাওয়াল, কিশোরগঞ্জ-২ নুরুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ-১ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, কিশোরগঞ্জ-৩ ডা. এনামুল হক (ইদ্রিছ), নারায়ণগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, টাঙ্গাইল-৬ মোহাম্মদ আবুল কাসেম, টাঙ্গাইল-৭ সৈয়দ মজিবর রহমান, শরীয়তপুর-২ মোহাম্মদ বাদল কাজী, মাদারীপুর-১ মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, নারায়ণগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ ছালাউদ্দিন খোকা, টাঙ্গাইল-৬ ব্যারিস্টার এম আাশরাফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল-৬ মামুনুর রহমান, টাঙ্গাইল-৩ এস এম চান মিয়া, মাদারীপুর-২ আল আমীন মোল্লা, ঢাকা-৮ এস এম সরওয়ার, মাদারীপুর-১ নাদিরা আাক্তার ও ঢাকা-১ ফাহিমা হুসাইন জুবলী।

আপিলের পরও অবৈধ প্রার্থী যারা

কুমিল্লা-১ মো. আলতাফ হোসাইন, চট্টগ্রাম-৬ সামির কাদের চৌধুরী, ফেনী-৩ মো. আবদুল লতিফ জনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. শাহজাহান, কুমিল্লা-২ মো. আব্দুল মজিদ, বরিশাল-৬ ওসমান হোসেইন, পিরোজপুর-৩ ডা. সুধীর রঞ্জন বিশ্বাস, ঝালকাঠি-১ মো. মনিরুজ্জামান, পটুয়াখালী-১ এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, পটুয়াখালী-২ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, ভোলা-৪ এম এ মান্নান হাওলাদার, ঝালকাঠী-১ মোহাম্মদ শাহজালাল শামীম, পিরোজপুর-১ মনিমোহন বিশ্বাস, বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রতনা, বরিশাল-৪ মো. মেজবাহ উদ্দীন ফরহাদ, ঝালকাঠী-১ ইয়াসমিন আক্তার পপি, পিরোজপুর-৩ মো. রুস্তম আলী ফারাজী, পটুয়াখালী-২ মো. শফিকুল ইসলাম, ভোলা-২ হুমায়ন কবির, নরসিংদী-২ আলতামাশ কবীর (অনুপস্থিত), কিশোরগঞ্জ-৪ সুরঞ্জন ঘোষ, কিশোরগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ আম্মান খান, মানিকগঞ্জ-১ মোহাম্মদ আাতোয়ার হোসেন, ঢাকা-৮ আরিফুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-২ মোহাম্মদ আানিসুজ্জামান, ঢাকা-১৭ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খোকন, ঢাকা-৮ অবসরপ্রাপ্ত মেজর মামুনুর রশিদ, গোপালগঞ্জ-১ শামসুল আলম খান চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান নয়ন ও নারায়ণগঞ্জ-১ মোহাম্মদ রেহান আফজাল।

স্থগিত : শরীয়তপুর-১ মো. আালমগীর হোসেন।

আগামীকাল শেষদিন সকাল ১০টায় শুনানি শুরু হবে।

গত ২৮ নভেরের মধ্যে ৩ হাজার ৬৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাছাইয়ে বাদ পড়েছে ৭৮৬টি, বৈধ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র রয়েছে ২ হাজার ২৭৯টি। তাদের মধ্যে ৫৪৩ জন প্রার্থিতা ফেরত পেতে আপিল করেন। যার অধিকাংশই মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার ১৬০ জনের মধ্যে ৮০ জন তাদের প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন।

ইসির তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর থেকে প্রার্থী ও তার সমর্থকরা নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।

বিএ-০৭/০৭-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

যেভাবে এল নৌকা, ধানের শীষ, লাঙ্গল

যেভাবে এল নৌকা

দরজায় কড়া নাড়ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আনুষ্ঠানিক প্রচারযুদ্ধ শুরু হলে প্রার্থীরা ছুটে যাবেন ভোটারদের দুয়ারে। ভালোবাসা, ভালো আশ্বাস আর ভালো কথায় ভোটারদের কাছে টানতে চাইবেন। কিন্তু ভোটাররা কি প্রার্থীকে দেখবেন, না দলীয় প্রতীক দেখে ব্যালট পেপারে সিল দেবেন? নাকি দুটোর হিসাবই মেলাবেন।

কোটি কোটি ভোটারের বিবেচনা যা-ই হোক না কেন, বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে ভোটের যুদ্ধ হয় মূলত আওয়ামী লীগের নৌকা, বিএনপির ধানের শীষ ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মধ্যে। তবে এই তিন প্রতীকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেই পাকিস্তান আমল থেকে। জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এল এসব প্রতীক।

নৌকা

আওয়ামী মুসলিম লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি, পাকিস্তান গণতন্ত্রী দল ও পাকিস্তান খেলাফত পার্টির সঙ্গে মিলে ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর যুক্তফ্রন্ট গঠন করা হয়। শরিক হিসেবে যুক্তফ্রন্টে আরও ছিল মাওলানা আতাহার আলীর নেজামে ইসলাম পার্টি, বামপন্থী গণতন্ত্রী দলের নেতা ছিলেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ এবং মাহমুদ আলী সিলেটী। যুক্তফ্রন্ট নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথমে ভোটের লড়াই শুরু করে ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে। সেই সময় যুক্তফ্রন্টের সবচেয়ে বড় শরিক দল ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ। ১৯৫৪ সালের ৮ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের নির্বাচনে ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থীরা ২২৩টি আসনে বিজয়ী হন। এর মধ্যে ১৪৩টি পেয়েছিল মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মুসলিম লীগ, ৪৮টি পেয়েছিল শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের কৃষক শ্রমিক পার্টি। নেজামী ইসলাম পার্টি জয়ী হয় ২২টি আসনে। এ ছাড়া গণতন্ত্রী দল ১৩টি এবং খেলাফত-ই-রাব্বানী দুটি আসনে জয়ী হয়।

যুক্তফ্রন্ট ভেঙে গেলে নৌকা প্রতীক পায় আওয়ামী লীগ। এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আওয়ামী মুসলিম লীগ ছিল যুক্তফ্রন্টের মধ্যে সবচেয়ে বড় দল। প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনেও আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রার্থীরা বেশি আসনে জয়ী হন।

১৯৫৭ সালে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে জন্ম নেয় আওয়ামী লীগ এবং নৌকা প্রতীকও পায় দলটি। কিন্তু নৌকায় চড়ে নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগকে অপেক্ষা করতে হয় আরও ১৩ বছর। পাকিস্তানে ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ পরিষদ নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করে ১৬০টি আসনে জয়ী হয়। সেই থেকে নৌকায় চড়ে নির্বাচন করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

তবে ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে নৌকার আগে লাঙ্গল প্রতীক চেয়েছিল যুক্তফ্রন্ট। কিন্তু তৎকালীন পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন লাঙ্গল প্রতীক যুক্তফ্রন্টকে দেয়নি। এর কারণ সম্পর্কে বিশিষ্ট সাংবাদিক তোয়াব খান বলেন, লাঙ্গল ছিল শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের অবিভক্ত ভারতের কৃষক প্রজা পার্টির। সে জন্য যুক্তফ্রন্ট পরে নৌকাকে প্রতীক হিসেবে বেছে নেয়।

কিন্তু নৌকা বেছে নেওয়ার কারণ কী? ইতিহাসবিদের কাছ থেকে জানা গেছে, নৌকা ছিল পূর্ববঙ্গের প্রতীক। বাংলায় নদীপথ ছাড়া চলাচলের উপায় ছিল না। নদীতে নৌকা মানেই পালতোলা নৌকা। নদী আর নৌকা নিয়েই গানচর্চা হতো পূর্ববঙ্গে। এই প্রতীকটা তাই ঐতিহ্যগতভাবে এই অঞ্চলের মানুষের মননে গাঁথা হয়ে গেছে।

ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের যাঁরা তখন ছিলেন, যেমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, তাজউদ্দীন, মাওলানা ভাসানী— তাঁরা কিন্তু গ্রামের থেকে এসেছেন। আর গ্রামীণ জীবনের অংশ তো নৌকাই। এসব কারণে হয়তো তাঁরা নৌকাকে বেছে নিয়েছেন।

ধানের শীষ

স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ধানের শীষ প্রতীক ব্যবহার করা হয় ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। দেশের দ্বিতীয় এই সংসদ নির্বাচনে জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতীক ছিল এটি। তবে ধানের শীষ প্রতীকে পাকিস্তান আমলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। পরবর্তী সময় ধানের শীষকে প্রতীক হিসেবে বেছে নেয় যুক্তফ্রন্ট থেকে বের হয়ে যাওয়া মাওলানা ভাসানীর ন্যাপ। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের ন্যাপের আরেকটি অংশের প্রতীক ছিল কুঁড়েঘর। ভাসানী ন্যাপের বড় একটি অংশের যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে ১৯৭৮ সালে বিএনপির জন্ম হয়। এই অংশটির নেতৃত্ব ছিলেন মশিউর রহমান যাদু মিয়া।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলবিষয়ক গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভাসানী ন্যাপের বড় অংশ যখন মশিউর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপিতে মিশে যায়, তখন বিএনপি ধানের শীষ প্রতীক নেয়। ১৯৭৮ সালে বিএনপিতে মুসলিম লীগের শাহ আজিজও যোগ দেন। তবে যাদু মিয়ারাই বড় অংশ ছিলেন, তাঁরাই তাঁদের প্রতীক নিয়ে বিএনপিতে ঢুকে পড়লেন। জিয়াউর রহমান হয়তো তখন ধানের শীষ পছন্দ করেছিলেন।

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, জিয়াউর রহমান যখন বিএনপি করলেন, তখন তাঁর মনে হয়েছে নৌকার মতো তাঁকেও একটি সর্বজনীন প্রতীক বেছে নিতে হবে। সে জন্য নৌকার মতো ধানের ছড়াকে বেছে নিলেন। তবে ধান না করে ধানের শীষ নিলেন। ধানের শীষের মধ্যে একটি পোয়েটিক ভাব থাকে।

লাঙ্গল

উপমহাদেশের রাজনৈতিক বিবর্তনের ধারায় পড়েছিল লাঙ্গল। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের অবিভক্ত ভারতের কৃষক প্রজা পার্টির লাঙ্গল ধরে ফেলে আতাউর রহমান খানের জাতীয় লীগ। পাকিস্তানে ১৯৭০ সালে জাতীয় নির্বাচনে তাঁর দল লাঙ্গল প্রতীকে অংশ নেয়। এইচ এম এরশাদের শাসনামলে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন আতাউর রহমান খান। তাঁর কাছ থেকে লাঙ্গল প্রতীকটি জাতীয় পার্টির জন্য পছন্দ করে ফেলেন এরশাদ।

আসলে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সব দলই নিজেদের গণমানুষের দল হিসেবে পরিচিত করাতে চায়। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিও তেমনই মনে করে। এ প্রসঙ্গে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের আগে প্রতীকগুলো ওপেন ছিল। আইন ছিল আগে এলে আগে প্রতীক পাবেন। তারপরও অলিখিত নিয়ম ছিল এই দলকে ওই প্রতীক দিতে হবে। কিন্তু আইন অনুযায়ী এই প্রতীকগুলো অন্য দল চাইত, তাহলে নির্বাচন কমিশন সেটি দিতে বাধ্য থাকত। তবে বড় তিনটি দলের প্রতীকে একটি মিনিং আছে। তা হলো এরা পিপলস পার্টি, এলিট পার্টি নয়।

তাই এটা বলাই যায়, গ্রামের ভোটকে মাথায় রেখেই প্রতীক হিসেবে নৌকা, ধানের শীষ ও লাঙ্গলকে বেছে নেওয়া হয়েছে। মহিউদ্দিন আহমেদের মতে, তখনকার প্রেক্ষাপটে বেশির ভাগ ভোটার ছিলেন গ্রামীণ। গ্রামের মানুষ যেগুলোকে চেনে, ভুলে যাবে না, মনে রাখবে, যেগুলো গ্রামীণ সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে, সেগুলোকেই প্রতীক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। নৌকা, ধানের শীষ, লাঙ্গল প্রতীক তারই প্রমাণ।

আরএম-০৭/০৭/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্যসূত্র: প্রথম আলো)

সুখী বিবাহিত জীবন পেতে ১০টি টিপস জেনে নিন

সুখী বিবাহিত

চীনের দার্শনিক, কূটনীতিক ও অর্থনীতিবিদ চাণক্য মানুষের স্বভাব সম্পর্কেও অনেক কিছু বলে গিয়েছেন। বিশেষ করে বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে। ‘চাণক্যনীতি’ নীতি অনুযায়ী জেনে নিন সুখী বিবাহিত জীবন পেতে ১০টি টিপস।

স্ত্রী সুন্দরী না হলেও কোনও ক্ষতি নেই, কিন্তু তার বাবার বাড়ির পরিবার যেন ভালো হয়।

বিবাহিত জীবন সুখের করতে, স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই সমানভাবে অবদান থাকা উচিত। একজনের পদস্খলন হলে অন্য জনের উচিত তাকে ধরে রাখা।

এমন নারীকেই বিয়ে করা উচিত, যার সামাজিক অবস্থান সেই পুরুযের সমান বা তার থেকে কম।

যে নারী ধার্মিক নয়, তাকে বিয়ে না করাই ভালো।

যে নারী তার নিজের পরিবারের সঙ্গে ছলনা করতে পারে, বিয়ের পরে স্বামীর সঙ্গেও একই কাজ করতে পারে সে। এমন নারীকে বিয়ে না করাই ভালো।

পরিবারের অন্য মহিলা সদস্যদের সঙ্গে বিবাদ করা বা নিজের স্ত্রীর সঙ্গে তাদের নিয়ে আলোচনার ফল কখনো ভালো হয় না।

স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে বিবাহিত জীবন কখনই সুখের হয় না।

চাণক্যের মতে, স্বামীকে দেবতা রূপেই দেখা উচিত। তাহলেই সংসার সুখের হবে।

বিবাহিত জীবন সুখের হয় তখনই, যখন স্ত্রী সৎ ও বুদ্ধিমতি হয়।

যে নারী বাড়ির সব রকম কাজ করতে সক্ষম, তাকেই বিয়ে করা উচিত। যদিও আজকের দিনে এই বক্তব্য তর্কসাপেক্ষ।

আরএম-০৬/০৭/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)