সকাল ১১:০৪
বুধবার
২০ শে আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
৫ ই ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫ শে সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

টাইগারদের আয়ারল্যান্ড ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু মে মাসে

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ আসরের আগে আয়ারল্যান্ডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল, এমনটা শোনা যাচ্ছিল অনেকদিন ধরেই। তবে ঠিক কবে নাগাদ সিরিজটি শুরু হবে সে সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছিল না।

অবশেষে সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ দলের আয়ারল্যান্ড সফরের সূচি প্রকাশ করেছে সেদেশের ক্রিকেট বোর্ড।

বিশ্বকাপের আগে দেশের মাটিতে একটি ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে আয়ারল্যান্ড। যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে বাংলাদেশকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

আগামী বছরের ৫ মে শুরু হবে এই টুর্নামেন্টটি। যার সবকটি ম্যাচ হবে ডাবলিনের দুই মাঠ ক্লোনটার্ফ ক্রিকেট ক্লাব ও ম্যালাহাইড ক্রিকেট ক্লাব মাঠে। মূলত বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্যই আয়োজন করা হয়েছে টুর্নামেন্টটি।

সিরিজে প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে দুটি করে ম্যাচ খেলবে। তার থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দল খেলবে ফাইনাল ম্যাচ। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭ মে। স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ হবে ৯ মে। ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ মে।

আয়ারল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের অংশগ্রহণে ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি-

৫ মে ২০১৯- আয়ারল্যান্ড বনাম উইন্ডিজ, ক্লনটার্ফ ক্রিকেট ক্লাব মাঠ।

৭ মে ২০১৯- বাংলাদেশ বনাম উইন্ডিজ, ক্লনটার্ফ ক্রিকেট ক্লাব মাঠ।

৯ মে ২০১৯- আয়ারল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ, মালাহাইড ক্রিকেট ক্লাব মাঠ।

১১ মে ২০১৯- আয়ারল্যান্ড বনাম উইন্ডিজ, মালাহাইড ক্রিকেট ক্লাব মাঠ।

১৩ মে ২০১৯- বাংলাদেশ বনাম উইন্ডিজ, মালাহাইড ক্রিকেট ক্লাব মাঠ।

১৫ মে ২০১৯- আয়ারল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ, ক্লনটার্ফ ক্রিকেট ক্লাব মাঠ।

১৭ মে ২০১৯- ফাইনাল, মালাহাইড ক্রিকেট ক্লাব মাঠ।

এসএইচ-০৬/০৭/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

মাঠে ফেরার স্বপ্ন বুকে আঁকছেন চামেলী

বল হাতে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে ঘায়েল করা, আবার নিজে ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের বোলারকে ঘায়েল করে বল মাঠের বাইরে পাঠানো। ভারতের ব্যাঙ্গালুরের সোয়েতা গেষ্ট হাউজের দোতলার ১০৫ নং রুমে কখনও শুয়ে, আবার কখনও একটু বারান্দায় স্ট্রেচারে ভর করে দুর আকাশের দিকে তাকিয়ে এমন কল্পনার মাঝে দিন কাটাচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় চামেলী খাতুন। সেই সাথে বিগত দিনের দেশ-বিদেশের মাঠের স্মৃতিগুলো হাতড়াচ্ছেন আর আশায় বুক বাঁধছেন। সফল অস্ত্রপচারের পর এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা সেরে উঠার জন্য।

ভারতের ব্যাঙ্গালুরের শীর্ষ পর্যায়ের স্পর্শ বেসরকারি অর্থপেডিক হাসপাতালে রাজশাহীর মেয়ে চামেলীর ডান পায়ের লিগামেন্টের অপরাশেন হয়েছে সপ্তাহ খানেক আগে। অপারশেন শেষে প্রতিদিনের ড্রেসিং আর সেলাই কাটার অপেক্ষায় হাসপাতালের ঠিক দক্ষিনে দু’মিনিটের হাটা পথে সোয়েতা গেষ্ট হাউজে অবস্থান করছেন।

চামেলীর ভাগ্নি মুশফিকা রোজি, ডা. প্রশান্ত তেজওয়ানির বরাত দিয়ে জানালেন, চামেলীর পায়ের কন্ডিশন ক্রমশই ভাল হচ্ছে। পুরোপুরি সারতে ছয় মাস লাগবে। ছয় মাস পর পায়ে ভর দিয়েই চলাফেরা করতে পারবেন। এই সময় কালিন তাঁকে স্ট্রেচারে ভর দিয়ে হাটতে হবে।

তিনি বলেন, প্রতিদিন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ড্রেসিং করার জন্য। আজ-কালের মধ্যে সেলাই কাটা হতে পারে। আগামী ১০ নভেম্বর রাজশাহী ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য সহযোগিতা, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাসহ শুভাকাঙ্কিদের আর্থায়নে সকল চিকিৎসা খরচ চলছে। রাজশাহী থেকে ব্যাঙ্গালুর পর্যন্ত আসা যাওয়ার প্লেনের খরচ বহনের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

চামেলী খাতুন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাসহ সকল শুভাকাঙ্কিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এই সকল মানুষদের সহযোগিতা না পেলে ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা তার পক্ষে করা সম্ভব হতনা। বর্তমানে ভাল আছেন। তিনি রাজশাহীসহ দেশবাসির দোয়া কামনা করেছেন। প্রত্যাশা করছেন সুস্থ হয়ে আবারো মাঠে ফিরতে পারবেন।

উল্লেখ্য, চামেলীর পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে অবস্থান করছিলেন রাজশাহী মহানগরীর দরগাপাড়ার জরাজীর্ণ একটি ঘরে। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে অনেকেই তার পাশে এসে দাঁড়ান। এ সময় তার চিকিৎসার সকল দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২ নভেম্বর রাজশাহী থেকে ঢাকা নিয়ে ভর্তি করা হয় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতালে) ২১৬ নং কেবিনে। সেখানে প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে হাসপাতালেই চিকিৎসার প্রস্তুতি শরু হয়। কিন্তু চামেলী দাবি করেন ভারতে চিকিৎসার জন্য। তার দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় ভারতে।

বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের হয়ে ১৯৯৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত মাঠ মাতিয়ে বেড়িয়েছেন চামেলী খাতুন। ২০১০ সালের এশিয়া কাপের রানার আপ হওয়া দলের হয়ে মাঠ মাতান এই দাপুটে ক্রিকেটার। এর বাইরে ঢাকা বিভাগে খেলেছেন টানা। দুই মৌসুম শেখ জামালের ক্যাপ্টেন হিসেবে সামনে থেকে টেনে নিয়ে গেছেন দলকে। সেই তিনিই পরাস্ত হন ইনজুরিতে। এখন তাঁর চিকিৎসা চলছে।

আরও পড়ুন : ক্রিকেটার চামেলী হাসপাতাল থেকে গেষ্ট হাউসে

এসএইচ-০২/০৭/১২ (সুমন হাসান)

দেশের আনাচে-কানাচে লাল-সবুজ পতাকার ঢেউ

৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১। সর্বত্র পর্যুদস্ত পাক হানাদাররা। লাল-সবুজ পতাকার ঢেউ আছড়ে পড়তে থাকে দেশের আনাচে-কানাচে। বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। চারদিকে উড়ছে মানচিত্রখচিত লাল-সবুজের রক্তস্নাত স্বাধীন পতাকা। একের পর এক জেলা হচ্ছে হানাদারমুক্ত। একাত্তরের ডিসেম্বরের এদিন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় সহযোগিতা চুক্তি। ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কমান্ডে পরিচালিত হয় মুক্তিবাহিনী। তিনি জেনারেল ম্যানেকশ’র মাধ্যমে উভয় সরকার প্রধানকে রিপোর্ট করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন।

রক্তক্ষরা ডিসেম্বরের এদিন অনেকটা বিনা বাধায় শত্রুসেনাদের বিতাড়ণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্যতম অঞ্চল যশোর মুক্ত হয়। পাকিস্তানী বাহিনীর দুর্গ বলে পরিচিত যশোরের আকাশে উড্ডীন হয় লাল-সবুজ পতাকার ঢেউ। লাখো প্রাণ আর মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে একটি নতুন রাষ্ট্রের আলো ছড়াতে শুরু করে।

ধীরে ধীরে স্বাধীন হয়ে উঠতে শুরু করে বাংলার অবারিত প্রান্তর। অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধারা দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। স্বাধীনতা চাই, বিজয় চাই। হায়েনার থাবা থেকে প্রিয় মাতৃভূমিকে মুক্ত করতেই হবে- এ মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয় বীর সেনানীরা। বাংলাদেশের নানা প্রান্তে চলছে সম্মুখ লড়াই। ১৯৭১ সালের এই দিনে শত্রুমুক্ত হয় গোপালগঞ্জ, শেরপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লার বরুড়া, সাতক্ষীরা আর সিলেটের বালাগঞ্জ।

কোনরূপ প্রতিরোধ ছাড়াই যশোর শত্রুমুক্ত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা হামলায় পর্যুদস্ত পাক সেনারা আগের দিনই যশোর ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে পালিয়েছে। মিত্রবাহিনী একটা বুলেট খরচ ছাড়াই প্রবেশ করল পাক সেনাদের এই শক্ত ঘাঁটিতে। পাকিস্তানী সেনারা যে ট্যাঙ্ক, কামান, ট্রাক ও জিপ নিয়ে খুলনার দিকে পালিয়েছে তা এলাকার মানুষ জানায় মিত্রবাহিনীকে। সঙ্গে সঙ্গে মিত্রবাহিনী ছুটে খুলনার দিকে।

ওদিকে তখন নবম ডিভিশনের সদর ঘাঁটিতেও সব খবর পৌঁছে গেছে। ডিভিশনের প্রধান মেজর জেনারেল দলবীর সিং ঝিকরগাছার পথ ধরে গোটা নবম ডিভিশনকে নিয়ে এগিয়ে গেলেন যশোর শহরে। যশোরে পাকিস্তানী নবম ডিভিশনের মতো মিত্রবাহিনীর সদর দফতর হলো। সিলেটেও পতন হলো ওইদিন দুপুরে। প্রথমে ভারতীয় ছত্রীসেনারা নামল সিলেটের নিকটবর্তী বিমানবন্দর শালুটিকরে। খুব ভোরে। তারপর চতুর্দিক থেকে মিত্রবাহিনী সিলেটের পাকিস্তানী ঘাঁটিগুলোর ওপর আক্রমণ চালায়। দুপুরেই সিলেটের পাকিস্তানি সেনানায়ক আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হলো।

ভারত ও ভুটানের স্বীকৃতিতে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। যুদ্ধের পাশাপাশি কূটনৈতিক যুদ্ধেও পাকিস্তান সরকারের পতনে বিপর্যস্ত হয়ে ওঠে সেদেশের সামরিক শাসকরা। যুদ্ধের মাঠের মতো কূটনৈতিক পর্যায়েও একের পর এক পরাজয় ঘিরে ফেলে পাক জান্তাদের। অন্যদিকে সম্মুখযুদ্ধে একের পর এক জেলা জয় করে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকা জয় করতে ক্রমশঃ এগিয়ে আসতে শুরু করে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নিতে প্রহর গুনতে থাকে বাংলার মুক্তিপাগল দামাল ছেলেরা।

এসএইচ-০১/০৭/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

ছাত্র-ছাত্রী কথা বললেই শাস্তি!

‘ছাত্রীরা ছাত্রদের সঙ্গে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারবে না। আদেশ অমান্য করা হলে শাস্তি অবধারিত।’ এমন নোটিশ জারি করেছে ভারতের ওডিশার সামবালপুরের বীর সুরেন্দ্র সাই ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা ও মুখরোচক আলোচনা শুরু হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পি সি সোয়েন বলেন, ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই নোটিশ জারি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ভারতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এমন বিতর্কিত আদেশ প্রায়ই জারি হয়। এর আগে পুনের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের পোশাক ব্যবহারের জন্য বিধি জারি করেছিল।

নারী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি জারি করা ওই বিধিতে স্কার্টের মাপ ও অন্তর্বাসের রংও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। সমালোচনার মুখে পরে সেই আদেশ বাতিল করা হয়।

এসএইচ-৪০/০৬/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক, তথ্য সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া)

রাশিয়া আগামী বছর ৪০০০ যুদ্ধ মহড়া চালাবে

যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করার উদ্যোগ নেয়ায় রাশিয়া আগামী বছর চার হাজারেরও বেশি সামরিক মহড়ার আয়োজন করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।

রাশিয়ার সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থার নেতৃস্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার সময় রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শয়গু জানান, তার দেশ ২০১৯ সালে বিভিন্ন আকারের চার হাজার সামরিক ও সাড়ে আট হাজার বাস্তব যুদ্ধ প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে।

মঙ্গলবার সোচি শহরে আয়োজিত সম্মেলনে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, রাশিয়া অস্ত্র প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, জানায় মার্কিন পত্রিকা নিউজউইক।

‘যুক্তরাষ্ট্র আইএনএফ চুক্তি ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করায় রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা বাড়ানোর বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে,’ সম্মেলনে বলেন শয়গু।

২১ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাঝারি পাল্লার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বা আইএনএফ বাতিল করার ঘোষণা দেন।

আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানান, ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক খাতে ৭১ হাজার ছয়শ’ কোটি ডলার ব্যয় করেছে।

‘আগামী বছর অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যে কাটবে’ জানিয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, এসব মহড়ার প্রধান লক্ষ্য হবে বর্তমানের সশস্ত্র যুদ্ধে সৈন্যদেরকে দক্ষতার সঙ্গে মোতায়েনের অনুশীলন করা। একই সঙ্গে অপ্রচলিত বিভিন্ন কাজে তাদের দক্ষ করে তোলাও হবে প্রশিক্ষণ ও মহড়ার উদ্দেশ্য।

চূড়ান্ত সামরিক মহড়া ‘সেন্টার’ আয়োজন করা হবে ২০১৯-এর সেপ্টেম্বর মাসে, বলেন শয়গু।

এদিকে আইএনএফ চুক্তি বাতিল করার আগে রাশিয়াকে এটি সম্পূর্ণ মেনে চলতে সম্মত করার জন্য ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর কথা জানিয়েছে ন্যাটো। ন্যাটোর অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তির শর্তগুলোর বিষয়ে স্বচ্ছ হতে রাশিয়াকে দুই মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছে।

এসএইচ-৩৯/০৬/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

আ’লীগ পরাজয়ে রক্তের বন্যা বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কাদেরের

এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের বিকল্প নেই দাবি করে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের পরাজয় মানে বাংলাদেশের রক্তের বন্যা বয়ে যাওয়া। আমাদের পরাজয় মানে ২০০১ এক সালের অন্ধকার। আমরা কী সে সন্ত্রাস দুর্নীতির অমানিশার অন্ধকারে ফিরে যেতে চাই? বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নির্বাচনী বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলকে আমি চ্যালেঞ্জ করছি, আপনাদের এমন কি কাজ আছে যেটা দেখে মানুষ ভোট দেবে। আছে হাওয়া ভবন আর খাম্বা। তাদের দুর্নীতি আর সন্ত্রাসের কারণে মানুষ আর তাদের চায় না।

তিনি বলেন, দু’একদিনের মধ্যে চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি আমরা দিয়ে দেবো। আজ সেটা শুরু হবে, কালকের মধ্যে সেটা শেষ হবে। নির্বাচনে মহাজোট থেকে আমরা প্রার্থী দিয়েছি, তারা বিপুল ভোটে জয়ী হবে। তবে আত্মতুষ্ট হওয়ার মতো পরিবেশ নেই।

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে। দলের স্বার্থে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। ক্ষমতায় আসলে সম্মান দেয়া হবে।

কাদের আরো বলেন, বিএনপি তাদের মনোনয়নে বাণিজ্য করেছে। অনেকে মনোনয়ন না পেয়ে টাকার জন্য নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। অনেক নেতা নাকি পালিয়েও গেছে।

তারাতো কেন্দ্র পাহারা দেবে। আমাদেরও কেন্দ্র রক্ষা করতে হবে। স্বেচ্ছাসেবক লীগকে সতর্ক থাকতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাউছারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ নাথ, যুগ্ম সম্পাদক গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু প্রমুখ।

এসএইচ-৩৮/০৬/১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

সমাবেশ স্থগিত, ১৭ ডিসেম্বর ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার

ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকালে ঘোষণা করা আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ কর্মসূচি রাতে স্থগিত করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। একইসঙ্গে আগামী ১৭ নভেম্বর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ইশতেহার দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার মতিঝিলে প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারং কমিটির এই বৈঠক।

বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামী ১০ তারিখ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐক্যফ্রন্টের একটি জনসভা ছিল। নির্বাচনের কারণে সেটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। পরে এই সমাবেশের তারিখ জানানো হবে, সম্ভবত নির্বাচনী প্রচারণার শেষদিকে হবে। আর আগামী ১৭ ডিসেম্বর ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আজকের বৈঠকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, মনোনয়ন দাখিলের পরে যে গণহারে বাতিল এবং প্রতীক বরাদ্ধের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রতীক বরাদ্ধের পর নিজ নিজ এলাকায় প্রতীক নিয়ে জনগণের সামনে হাজির হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং প্রতিটি জেলায় এই কর্মসূচিগুলো করা হবে।’

আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না— জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্ধ ও আসনবণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে কারা, কতটি আসন পাচ্ছে, তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। দু’এক দিনের মধ্যে বিষয়টি জানতে পারবেন।’

স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের কার্যকরি সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু প্রমুখ।

এসএইচ-৩৭/০৬/১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

জাপা পেল ৩৬ আসন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটর শরীক জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ৩৬টি আসনে ছাড় দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার থেকে মহাজোটের চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি দেয় আওয়ামী লীগ। শুক্রবার এটি শেষ হবে।

এর মধ্যে শরীক জাতীয় পার্টিকে ৩৬টি আসনের তালিকা পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ।

জাতীয় পার্টির বর্তমান একজন এমপি এই তালিকা দেখে নিশ্চিত করেছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দু’একদিনের মধ্যে চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি আমরা দিয়ে দেব। বৃহস্পতিবার সেটা শুরু হবে, কালকের মধ্যে সেটা শেষ হবে। নির্বাচনে মহাজোট থেকে আমরা প্রার্থী দিয়েছি, তারা বিপুল ভোটে জয়ী হবে।

তিনি বলেন, আমাদের অনেক জনপ্রিয় প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও বৃহৎ স্বার্থে আমরা জোটকে অনেক আসন ছাড় দিয়েছি।

এর আগে জাপার সঙ্গে আসন নিয়ে নানা দেন-দরবার হয়। ক্ষমতাসীন দলকে চাপে রাখতে জাপা ২০০ আসনে প্রার্থী দেয়। জবাবে আওয়ামী লীগও ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়। পাল্টাপাল্টি চাপে রাখার এই খেলার মধ্যেই জাপার মহাসচিব পদে রদবদল হয়।

তবে ৩৬ আসনেও সন্তুষ্ট নয় জাপা। দলটির একজন শীর্ষনেতা পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, এই তালিকায় তো আমারও নাম নাই। মেডাম তো এটা মানবেন না।

আওয়ামী লীগ-জাপার মনোনয়ন নিয়ে টানাপোড়েনের সমাপ্তি দেখতে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে জানিয়েছেন দুই দলের একাধিক নেতা।

এসএইচ-৩৬/০৬/১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

প্রার্থীতা ফিরে না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ দুলু

নির্বাচন কমিশনে আপিল করেও প্রার্থিতা ফিরে না পেয়ে নাটোর-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

নির্বাচন কমিশনের প্রতি হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমিও দমছি না।

এর শেষ দেখে ছাড়ব। উচ্চ আদালতে আপিল করব।’

এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে দুলুর মনোনয়ন অবৈধই রাখা হয়।

পরে তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘আমি ন্যায়বিচার পাইনি। সুপরিকল্পিতভাবে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।’

নাটোর-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলে কনভিকশন আছে জানিয়ে গত ২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই-বাছাইয়ে সেটি বাতিল করেন। এরপর গত ৪ ডিসেম্বর তিনি মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন।

এসএইচ-৩৫/০৬/১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

নওগাঁ সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশী আটক

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আদাতলা সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে হুমায়ন (৩৮) নামে বাংলাদেশি এক গরু ব্যবসায়ীকে আটক করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে তাকে আটক করা হয়। আটক হুমায়ন উপজেলার জালসুখা গ্রামের ছাবেদ আলীর ছেলে।

নওগাঁ আদাতলা ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার সুবেদার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ভোরে ওই সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশে করেন সোলেমান।

এসময় বিএসএফ’র নজরে গেলে তাকে আটক করেন তারা।

পরে তাকে আটকের বিষয়টি আমাদের কাছে নিশ্চিত করে বিএসএফ। আমাদের পক্ষ থেকে তাকে ফিরিয়ে আনতে বিএসএফ’র কাছে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এসএইচ-৩৪/০৬/১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)