রাত ১০:৩৪
শনিবার
১৬ ই আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
১ লা ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২১ শে সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

এবার মাতৃত্বের স্বাদ নিচ্ছেন সানি লিওন

নিচ্ছেন সানি লিওন

সানি লিওনের নাম জানেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। বিভিন্ন সময়ে ব্যতিক্রম অনেক কাণ্ড ঘটিয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন এই তারকা।নিন্দুকরা বিভিন্ন কথা বললেও সুনামের পাল্লাও ভারি হয়েছে সানির।

নিজেদের কোনো সন্তান না থাকলেও এ পর্যন্ত তিনটি সন্তান দত্তক নিয়েছেন সানি লিওন ও স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবার।দুই ছেলে আশের ও নোয়া সিং ওয়েবার এবং মেয়ে নিশা সিং ওয়েবারকে নিয়ে সুখেই দিন কাটাচ্ছেন তারা।

ডিজনিল্যান্ডে নিশার এক বছরের জন্মদিন পালনের পর সানি এবং ড্যানিয়েলের জীবনে আসে নোয়া এবং এশার নামে আরও দুই সন্তান। নোয়া, এশার এবং নিশাকে নিয়ে ড্যানিয়েল এবং তার জীবন এবার পরিপূর্ণ হয়েছে বলে জানান সানি।

আর এবার ৩ সন্তানকে একসঙ্গে নিয়ে ছবি শেয়ার করলেন সানি এবং তার স্বামী। নিজের সোশ্যাল সাইটে সানি সেই ছবি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই তা ভাইরাল হয়ে যায় ।

আসুন দেখে নেই সন্তানের সঙ্গে সানির ব্যতিক্রম কিছু ছবি, যা দেখেনি আগে।

দুই ছেলেকে কোলে নিয়ে আদর করছেন সানি।

সানি লিওন ও স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবারের সঙ্গে তাদের তিন সন্তান।

প্রিয়জনদের সঙ্গে সানি এ তার সন্তানরা।

সন্তানকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে সানি।

আরএম-১৭/০৪/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

রণবীরের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ আশীর্বাদের মতো : ক্যাটরিনা

রণবীরের সঙ্গে

বলিউড সুন্দরী ক্যাটরিনা কাইফ নিজের ভালোবাসার সম্পর্ক, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খুলেছেন তা তেমন একটা শোনা যায় না। তবে ক্যাটরিনা মুখ না খুললেও বলিউডে তাকে নিয়ে কম চর্চা হয়নি।

সালমানের সঙ্গে ক্যাটরিনার প্রেম, রণবীর কাপুরের সঙ্গে তার সম্পর্ক এবং বিচ্ছেদ সবকিছু নিয়েই আলোচনা হয়েছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় উঠে আসে রণবীর কাপুরের সঙ্গে ক্যাটরিনার প্রেম। প্রথমে দীপিকার সঙ্গে রণবীরের প্রেম, যে প্রেম নিয়ে ভীষণই সিরিয়াস ছিলেন দীপিকা। তবে মাঝে ঢুকে যান ক্যাট, সম্পর্ক ভাঙে দীপিকা-রণবীর কাপুরের।
এই ত্রিকোণ প্রেম বি-টাউনে সবসময়ই আলোচনার বিষয় হয়ে উঠে এসেছে। এমনকি অনেকেই মনে করেন ক্যাটরিনার জন্যই রণবীরকে হারিয়েছিলেন দীপিকা। আর এটা নিয়ে ক্যাটরিনার প্রতি দীপিকার কম রাগ ছিল না।

যদিও পরবর্তীকালে ক্যাটরিনার সঙ্গেও রণবীরের সম্পর্ক টেকেনি। কিন্তু বিরক্ত দীপিকা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি বিয়েতে ক্যাটরিনাকে কখনই নিমন্ত্রণ করবেন না। যদিও রণবীর সিংয়ের মধ্যস্থতায় ক্যাটরিনাকে শেষপর্যন্ত দীপবীরের রিসেপশনে নিমন্ত্রণ পাঠানো হয়। ক্যাটরিনাও পুরনো বিবাদ ভুলে সেজেগুজে হাজির ছিলেন রিসেপশনে।

তবে সম্প্রতি রণবীর কাপুরের সঙ্গে তার সম্পর্ক-বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন ক্যাট। সম্প্রতি, ‘ভোগ’ ম্যাগজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রণবীরের সঙ্গে তার সম্পর্ক প্রসঙ্গে ক্যাটরিনা বলেন, `এটাই আমার জীবনে প্রথম ছিল, যখন আমি নিজের প্রতি মনোযোগী ছিলাম। আর যখন আপনি নিজের প্রতি মনোযোগ দেবেন, তখনই অনেক সময় আপনার মনে হবে আপনি নিজেকে ঠিকভাবে জানেন না। আমার জীবনে ওই সময়টাও এরকমই ছিল।

তিনি আরও বলেন, ওই সময়টা আমার কাছে এমনই অস্বস্তিকর, যখন আমি মেনে নিয়েছিলাম যে নিজেকে ঠিকভাবে জানিই না। একটা ঘোরের মধ্যে ঘটনাগুলো যেন নিজের মতো করেই ঘটে গিয়েছিল। তবে এখন যখন এই সম্পর্কটা ভেঙে গেছে, এটাকে আমি আশীর্বাদের মতোই দেখছি। এখন আমি আবার নিজেকে নতুন করে চিনেছি, আমার চিন্তাভাবনাগুলোকে বুঝতে পারছি।

আরএম-১৬/০৪/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

নায়িকা শায়লা লড়ছেন ফরিদপুরে

নায়িকা শায়লা

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেলেন চিত্রনায়িকা শাহরিয়া ইসলাম শায়লা।

তিনি ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর) আসন থেকে নির্বাচন করবেন।

গত মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে তার হাতে মনোনয়ন চিঠি তুলে দেয়া হয়।

চিত্রনায়িকা শায়লা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ ও বর্তমান স্বতন্ত্র সাংসদ শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে নিক্সন চৌধুরীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। শায়লার বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রামে। বাবার নাম মো. ওহাব মাতুব্বর, মায়ের নাম মঞ্জু বিবি।

নব্বই দশকের শেষ দিকে চলচ্চিত্রের অস্থির সময়ে বেশ কিছু সমালোচিত ছবিতে অভিনয় করেন শায়লা। এসব ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো, ওরা কারা, ফুটপাতের শায়েনশাহ, নষ্টা মেয়ে, জ্বলন্ত নারী, ধর মফিজ, তেজী মেয়ে, যৌথ হামলা, ছিন্নভিন্ন। মোট ষাটটি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ছোটবেলায় বেশ দুরন্ত স্বভাবের ছিলেন শায়লা। তবে পড়ালেখা ও স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি ছিলেন সেরা। সব সময়ই প্রথম বা দ্বিতীয় হতেন। অভিনয় ও রাজনীতিতেও বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। রাজনীতিতে পুরোপুরি যুক্ত হয়ে গেলে শিল্প অঙ্গনে তেমন সময় দিতে পারেননি।

২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে উপজেলা নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। তিনি বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে সেখান থেকে ২৩ হাজার ৩৪১ ভোট পেয়েছেন। মাত্র কয়েক মাস কাজ করে তিনি এই বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়েছেন।

শায়লা লন্ডনের ওয়েস্ট মিনিষ্টার ইউনিভার্সিটি থেকে বিজনেস ইকোনোমিক্সে পড়ালেখা করেছেন। ঢাকার ইস্টার্ণ ইউনিভার্সিটি থেকে এল এলবি অনার্স কমপ্লিট করেছেন।

শায়লা ১৯৯৮ সাল থেকে বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি ছাত্রদল ও জাসাসের সঙ্গে কাজ করছেন। জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতিও তিনি। এছাড়া এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গেও যুক্ত শায়লা।

আরএম-১৫/০৪/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

বালামের মিউজিক ভিডিওতে ভিন্নরূপে সুজানা

মিউজিক ভিডিওতে

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বালামের নতুন মিউজিক ভিডিওতে ব্যতিক্রমী লুকে দেখা যাবে মডেল-অভিনেত্রী সুজানা জাফরকে। চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হেয়ারস্টাইল ও পোশাকের দিকে বিশেষ নজর দিতে হয়েছে সুজানাকে।

মিউজিক ভিডিওতে কাজ করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে সুজানা বলেন, মিউজিক ভিডিওটির কাহিনী একটু অন্যরকম। গতানুগতিক মিউজিক ভিডিওর মতো নয়। সে জন্যই রাজি হয়েছি।

এতে নিজের চরিত্র নিয়ে সুজানা বলেন, তিনদিন ধরে শুটিং হয়েছে মিউজিক ভিডিওটির। আমার চরিত্রটা বেশ মজার একটা চরিত্র। তবে কাজটি করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। রোদ্রে ত্বক পুড়ে গেছে। এত কষ্ট করেও ভালো লাগছে কারণ কাজটি ভালো হয়েছে।

এর আগে সঙ্গীতশিল্পী ইমরান, ন্যান্সি, তাহসান খানের গানের ভিডিওতে মডেল হিসেবে দেখা গিয়েছিল জনপ্রিয় এই তারকাকে। সবগুলো গানই সাড়া ফেলেছিল।

আরএম-১৪/০৪/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

সমুদ্রের নিচে রেললাইন! মুম্বাই থেকে আরব আমিরাত

সমুদ্রের নিচে রেললাইন

যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক অনন্য নজির? সমুদ্রের নিচ দিয়েই চলবে ট্রেন! এমনটাও কী হতে পারে? আস্ত একটা সাবমেরিন নাকি ট্রেনটা!

মুম্বাই থেকে ফুজাইরাহ পর্যন্ত চালু হওয়ার কথা চলছে এই ট্রেনের। দ্রুতগতির এই ট্রেনের কথা প্রথম উঠে আসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে-ভারত কনক্লেভে।

আমিরাতের জাতীয় উপদেষ্টা কমিশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানিয়েছেন এই ট্রেনের ভাবনার কথা।
আমিরাতের মাসদারের এক স্টার্ট আপ সংস্থা তৈরি করছে এই প্রযুক্তি। তারাই প্রথম এই প্রস্তাব দেয়।

আলশেহি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পে প্রথমেই সমীক্ষা করে দেখতে হবে এই ধরনের কোনও রেললাইন পাতা যাবে কিনা। দূরত্বটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে। ২০০০ কিলোমিটার বিস্তৃত হবে এই রেলপথ। ৩০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় পানির স্তরের ভারসাম্য বজায় রেখেই এই ট্রেনে পরিষেবা চালু হতে পারে।

ট্রেনগুলোতে যাত্রী পরিবহন ছাড়াও পানি, তেল বিনিময় হবে এই পথে। ফুজাইরাহ থেকে তেল আসবে মুম্বাই বিমানবন্দরে আর নর্মদা নদীর পানি যাবে ওই দেশে।

আবদুল্লা আলশেহি এই সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই বিপুল গতি সম্পন্ন ট্রেনটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে দৃঢ় করবে।

ম্যাগনেটিক ফ্লোটিং ট্রেন (মাগলিভ) রেললাইন ও ইঞ্জিনের মধ্যে কোনও ঘর্ষণ থাকবে না। ম্যাগনেটিক রিপালশন সিস্টেম বেসড সুইফ্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন (চৌম্বকীয় বিকর্ষণ সম্পন্ন) পদ্ধতিতে চলবে এই ট্রেন। দুই জোড়া চুম্বক ঠেলে এগিয়ে দেবে ট্রেনটিকে। ফলে যাত্রা হবে আরামদায়ক ও দ্রুত।

জাপান, কোরিয়া, কানাডায় রয়েছে এই ধরনের ব্যবস্থা। অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, ইজরায়েল, ব্রিটেনও চেষ্টা করছে এই রেলপথকে তাদের দেশে চালু করার।

সম্প্রতি নিনগোবো-সাংহাই ও জেসুহান সমুদ্রের নিচ দিয়ে রেল পথ স্থাপনে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে চীন সরকার।

আরএম-১৩/০৪/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

মাশরাফিকে দেশের জনগণ মনে রাখবে না?

আগে কখনো সে অর্থে রাজনীতি করেননি। জীবনের দেড়যুগ কাটিয়ে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনেই। ক্যারিয়ার সায়াহ্নে এসে নাম লিখিয়েছেন পুরোদস্তুর জাতীয় রাজনীতিতে। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে লড়বেন নিজের জন্মস্থান নড়াইলের সাংসদ হওয়ার দৌড়ে।

কিন্তু ঠিক কি কারণে এমন সিদ্ধান্ত মাশরাফির? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ক্রিকেটার মাশরাফির ওজন অনেক বেশি। অন্য যে কোনো ক্রিকেটারের চেয়ে মাশরাফির জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। কিন্তু নির্বাচন করবেন তথা রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন তার পার ভক্তদের অনেকেও মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন।

এমন হবে জানতেন মাশরাফিও। এক দলের হয়ে নির্বাচন করায় অন্য দল মুখ ঘুরিয়ে নেবেন সেটি জেনেই নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এমন ঘটনাকে অস্বাভাবিক মনে করছেন না বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক।

মঙ্গলবার ঢাকা মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে করা সংবাদ সম্মেলনে তার কাছে প্রশ্ন ছিলো, ‘এতদিন আপনি ছিলেন সারাদেশের। এখন একটি বিশেষ অংশের। দেশের এক অংশের রোষানলে পড়েছেন। এ বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?

মাশরাফির সোজাসাপটা জবাব, ‘এমনটা আমি স্বাভাবিকভাবেই দেখছি। নির্বাচনে দাড়ালে এমনটা হবে আমি ধরেই এসেছি। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এক পক্ষ থেকে দাঁড়ালে অন্য পক্ষ বিমুখ হবে তা আমি অস্বাভাবিক মনে করছি না।’

প্রশ্নের উত্তরে সন্তুষ্ট না হয়ে উপায় নেই। তো এবার আসা যাক ঠিক কি কারণে রাজনীতিতে এলেন তিনি? এমন হওয়ার উপায় নেই যে জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে তার কিংবা ক্রিকেটার মাশরাফির আবেদন কমেছে কোনো অংশে। তাহলে কেনো রাজনীতিতে এলেন, কেনইবা লড়ছেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে?

এ প্রশ্নের উত্তরে মাশরাফি বলেছেন দারুণ কথা। দেশের ক্রিকেটে এখন তিনি বড় মুখ হলেও, কয়েক বছর কিংবা কয়েক দশক পর তাকে মানুষ মনে রাখবে- এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই মানুষের জন্য ভালো কাজ করে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান তিনি।

মাশরাফি বলেন, ‘আমার রাজনীতিতে আসার কারণ প্রথমত নড়াইলবাসীর জন্য কিছু করা এবং আমার এলাকার উন্নয়নে নিজেকে জড়িয়ে রাখা। আমি হয়তো আগামী ৭-৮ মাস তথা বিশ্বকাপের পর আর ক্রিকেটে থাকবো না। আমি শচীন টেন্ডুলকার বা গ্লেন ম্যাকগ্রা নই যে ক্রিকেট বিশ্ব আমাকে মনে রাখবে। আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী খেলেছি, আমার সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করেছি।’

‘এখন আমার ক্যারিয়ার শেষের দিকে। একটা সুযোগ এসেছে নিজের এলাকার জন্য কিছু কাজ করার এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা, আওয়ামী লীগ চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা আমাকে এ সুযোগটা দিয়েছেন। এটা আমার জন্য অনেক বড় সুযোগ এবং আমি চেষ্টা করবো যদি জিততে পারি, আমি এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’

কথার ছলে মাশরাফি যেন জানিয়ে দিলেন বিশ্বকাপের পর আর খেলবেন না তিনি। যদি সাংসদ হয়ে যান তাহলে কি মাশরাফি পুনঃবিবেচনা করবেন নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত? এব্যাপারে মাশরাফির ভাষ্য, ‘আমি আগেই বলেছি প্রথম লক্ষ্য বিশ্বকাপ। সেটি আগে খেলে নেই। তারপরে বলতে পারবো আরও কতদিন খেলি।’

এসএইচ-১৬/০৪/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

ভিকারুননিসার প্রভাতী শাখার প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

স্কুলে ডেকে নিয়ে বাবা-মাকে অপমান করায় নবম শ্রেনির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর (১৫) আত্মহত্যার ঘটনায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাতী শাখার প্রধান শিক্ষক জিন্নাত আরাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস বলেন, পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ওই শিক্ষককে মঙ্গলবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নকলের অভিযোগ তুলে বাবা-মাকে ডেকে অপমান ও টিসি দেয়ার কথা বলায় রাজধানীর শান্তিনগরে নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি আত্মহত্যা করেন।

স্কুলের অধ্যক্ষ অরিত্রির বাবা-মাকে ডেকে মেয়ের সামনেই অপমান করে বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে অরিত্রিকে নকলের অভিযোগে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়া হবে।

এ অপমান সইতে না পেরে বাসায় এসে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন অরিত্রি। আত্মহত্যার কিছুক্ষণ আগে সে তার মাকে জানায়, ‘মা এ লজ্জা নিয়ে বাঁচতে চাই না।’ তার ছোট বোনও একই স্কুলে পড়ে।

অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস বলেন, অরিত্রী প্রভাতী শাখায় পড়ত। দায়িত্বরত শিক্ষক তার নকল ধরে শাখা প্রধানের কাছে যান। পরে শাখা প্রধান তাকে বহিষ্কার করে পরীক্ষা স্থগিত করেন। পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে শাখা প্রধানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এদিকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, স্কুলে শিক্ষকের কথায় অপমানিত হয়ে ছাত্রীর আত্মহত্যা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন, প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিএ-১০/০৪-১২ (শিক্ষা ডেস্ক)

কেন দেশের বাইরে যাচ্ছেন এরশাদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আগামী ১০ ডিসেম্বর দেশের বাইরে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তার দলের নবনিযুক্ত মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা।

মঙ্গলবার বনানীতে পার্টির চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।

রাঙ্গা বলেন, ‘একাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যেই মহাজোটের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। এরপরই দেশের বাইরে যাবেন এরশাদ। সম্ভবত ১০ ডিসেম্বর।’

তবে কি কারণে এরশাদ দেশের বাইরে যাবেন, তা তিনি জানাতে রাজি হননি।

রাঙ্গা বলেন, ‘যদিও স্যারের এখন দেশের বাইরে যাওয়া জরুরি। তবে আমরা মনে করছি, অতটা জরুরিও নয়।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্যার শতভাগ সুস্থ আছেন। নিজে হেঁটে আমার কাছে এসেছেন। কিন্তু, কাল (সোমবার) রাত ১টার দিকে সিএমএইচে গেছেন।’

জাপা মহাসচিব আরও বলেন, ‘বাসায় একা একা থাকতে ভয় পান। এজন্য একটু অসুবিধাবোধ করলে নার্সসহ চিকিৎসা সেবা পেতে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে সিএমএইচে গিয়ে থাকছেন।’

বিএ-০৯/০৪-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

প্রার্থীদের আপিলে পক্ষপাতিত্ব দেখাবে না ইসি

প্রার্থীতা ফিরে পেতে যারা আপিল করছেন তাদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখানো হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার। ঢাকার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবন চত্ত্বরে আপিল জমা দেওয়ার দ্বিতীয় দিন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় মাহবুব তালুকদার বলেন, আমরা যা কিছু করব, তা আমাদের আইনানুগভাবেই করতে হবে। কারো প্রতি পক্ষপাতিত্ব আমরা অবশ্যই দেখাব না। প্রতিটি কেসেরই (আপিল) মেরিট আমরা দেখব। আমি যেটা মনে করি, নির্বাচন কমিশন সব ব্যাপারেই একটা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে।

উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে কি না এবং আপিলে কমিশন নিরপেক্ষতার পরিচয় দেবে কি না– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব তালুকদার বলেন, এ ব্যাপারে আমার এককভাবে কোনো বক্তব্য দেওয়ার কথা নয়। যারা আপিল করেছেন বা করছেন, শুনানিতে তারা তাদের তথ্যগুলো উপস্থাপন করবেন। আমরা অবশ্যই ন্যায় বিচারে প্রত্যাশী।

নির্বাচনের পরিবেশের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ আছে কি নেই, আমরা এই বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে দেখতে পারি। তবে নির্বাচনী পরিবেশ আছে কি নেই, এই মুহূর্তে আমি কোনো কিছু বলার জন্য প্রস্তুত নই।

মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা হওয়ার বিষয়ে এই কমিশনার বলেন, যাদের যা কিছু অভিযোগ, লিপিবদ্ধ করে আমাদের এখানে দেবেন, তাদের প্রত্যেকটি অভিযোগের বিষয়ে আমরা শুনানি করব। এরপর আমরা এটার বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।

দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাজি সেলিম ও পঙ্কজ দেবনাথ নির্বাচন করতে পারবেন কি না জানতে চাইলে এই কমিশনার বলেন, আমার কথা হলো, এসব অভিযোগের প্রশ্নের উত্তর আমি এই মুহূর্তে দিতে পারি না। এই মুহূর্তে আমি এটার জন্য প্রস্তুত না। আমি কেবল দেখতে এসেছি, যারা আপিল করতে আসছেন, তাদের কোনো অভিযোগ আছে কি না। জমা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো অসুবিধা হচ্ছে কি না।

ন্যায়বিচারের ব্যাপারে কমিশন স্বচ্ছ থাকবে কি না, এ বিষয়ে মাহবুব তালুদকার বলেন, ন্যায়বিচার তো আপেক্ষিক বিষয়। এটার উত্তর আমি এখনই দিতে পারি না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে একজন সাজাপ্রাপ্ত হন, পরে আবার তিনি খালাসও পান। সেক্ষেত্রে আমি বলব, ন্যায়বিচার বিষয়টি পুরোপুরি আপেক্ষিক। কোনটা ন্যায়বিচার আর কোনো ন্যায়বিচার নয়, সেটার বিচারক তো আমি নই।

রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের বিষয়ে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আমিও পত্রিকায় দেখেছি। এ বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী আপিল করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।

যাদের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে তারা ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল করতে পারবেন। আগামী ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর আপিলের শুনানি হবে। শুনানি শেষে আমরা আমাদের জাজমেন্ট (রায়) দেব। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এরপর আমরা প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেবো।

প্রসঙ্গত, রোববার ছিল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন। সারাদেশে দাখিল করা ৩ হাজার ৬৫ টি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

বিএ-০৮/০৪-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

ভারতে উচ্ছেদ আতঙ্কে বাঙ্গালীরা !

আসামে এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই ভারতের নানা প্রান্তে ‘অবৈধ বিদেশি’ তাড়ানোর যে হিড়িক পড়েছে, সেই তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু শহরের নামও। উচ্ছেদ-আতঙ্কে থাকা এসব মানুষের বেশির ভাগই মুসলিম। তবে তারা নিজেদের পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক বলে দাবি করেছে। তাদের কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের পরিচয়পত্রও রয়েছে। এরপরও রাজ্য বিজেপির নেতা-বিধায়কদের দাবি সেগুলো বেশির ভাগই জাল এবং তাদের কর্নাটক থেকে তাড়াতেই হবে।

এদিকে এরকম নিম্ন আয়ের বাঙালিদের ব্যাঙ্গালুর থেকে তাড়ানোর জন্য সোমবার চূড়ান্ত সময়সীমা নির্ধারিত থাকলেও বামপন্থীদের আন্দোলনের মুখে সেই ‘ডেডলাইন’ আরও দুই দিন বাড়ানো হয়েছে। প্রায় তিন মাস আগে ভারতের শীর্ষস্থানীয় একটি (টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ব্যাঙ্গালুরের নানা বস্তিতে হাজার হাজার ‘বাংলাদেশি’ অবৈধভাবে বসবাস করছেন এবং তারা প্রায় প্রত্যেকেই অবৈধ উপায়ে ভারতের পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছেন।

এর পরপরই ব্যাঙ্গালুরে বাংলাদেশি তাড়ানোর অভিযান ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। যার নেতৃত্ব দেন কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী নেতা হিসেবে পরিচিত মহাদেবপুরার বিজেপি এমএলএ ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অরবিন্দ লিম্বাভালি।

তিনি কয়েক দিন আগে টুইট করেন ‘অবৈধ বাংলাদেশিরা’ ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিরাট হুমকি – কোনো শিল্পমালিক তাদের কারখানায় বা সাইটে কাজে লাগালে কড়া শাস্তি পেতে হবে। তাদের তাড়ানোর জন্য শহরের সোনডেকোপ্পাতে ডিটেনশন সেন্টার তৈরি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে কর্নাটক বিজেপির মুখপাত্র ড. ভামান আচার্য বলেছেন, ‘আসলে আগে আমাদের রাজ্যে অভিবাসী শ্রমিকরা আসতেন বিহার বা উড়িষ্যা থেকে। কিন্তু গত দুই-তিন বছর ধরে যারা আসছেন তাদের বেশির ভাগই বাংলাদেশি।’

তিনি আরও বরেন, ‘সীমান্ত পেরিয়ে তারা প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে আসেন, সেখান থেকে পাড়ি দেন দক্ষিণ ভারতে। কিন্তু পুলিশ এখন দেখতে পাচ্ছে তাদের বেশির ভাগ পরিচয়পত্রই জাল, তারা এদেশে অবৈধভাবে বাস করছেন।’

এসএইচ-১৫/০৪/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)