রাত ১০:২৮
বুধবার
৬ ই আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
২২ শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১১ ই সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

প্রিয়াঙ্কা ও নিকের কাঙ্ক্ষিত বিয়ের অনুষ্ঠান

প্রিয়াঙ্কা ও নিকের

বিয়ে করলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও মার্কিন সংগীতশিল্পী নিক জোনাস।

১ ডিসেম্বর, শনিবার ভারতের যোধপুরের উমেদ ভবনে রাজকীয়ভাবে সম্পন হয়েছে তাদের বিয়ে। প্রিয়াঙ্কা ও নিকের বিয়ে নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে বিভিন্ন দেশের মানুষদের। থেমে নেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোও।

যদিও এখন পর্যন্ত এ তারকা জুটির বিয়ের কোন ছবি প্রকাশ্যে আসেনি। তবে ভারতীতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত খবরের তাদের বিয়ের হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানান হয়, বলিউডের অভিনয়শিল্পী দম্পতি দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিং-এর মতো দুই রীতেতে বিয়ে করার কথা ছিল প্রিয়াঙ্কা-নিকের। হিন্দু ও খ্রিস্টান বিয়ের কথা ছিল তাদের। অবশেষে শনিবার খ্রিস্টান মতে বিয়ে হয় তাদের। ২ ডিসেম্বর হিন্দু রীতিতে সাত পাকে বাঁধা পড়বেন তারা। তারকা যুগলের বিয়েতে অতিথি সংখ্যা ছিল ২৫o জন ৷ দীপিকা-রণবীরের মতো প্রিয়াঙ্কা-নিকও আমন্ত্রিত অতিথিদের মোবাইল ফোন বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন। অতিথিদের ক্যামেরা আনাও নিষিদ্ধ ছিল।

প্রিয়াঙ্কা ও নিকের বিয়ের হলুদ অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

বিয়ের আগের দিন ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় তাদের হলুদ অনুষ্ঠান। এদিন ভারতীয় ঐতিহ্য মেনে হলুদ উদযাপন করতে দেখা গেছে তাদের। তাদের পরনেও ছিল ভারতের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। হলুদে সাদা পাঞ্জাবি পরেন নিক। আর চুলে ফুল গুঁজে রঙিন গাউন পরেন ‘দেশি গার্ল’ খ্যাত অভিনেত্রী। হলুদ, সবুজ ও গোলাপি রঙের গাউনের সঙ্গে গলায় ছিল ভারি গয়না। সঙ্গে ছিল টিকলি ও দুল। হলুদের নজরকাড়া ছবি প্রকাশ হলেও সবার আগ্রহ তাদের বিয়ের ছবি দেখার। জনপ্রিয় মার্কিন সিরিয়াল ‘কোয়ান্টিকো’র এ অভিনেত্রীর বিয়ে ছবি দেখার জন্য অপেক্ষা করছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা অসংখ্য মানুষ।

আরএম-৩৪/০২/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

মাশরাফিকে অধিনায়ক করে ওয়ানডে দল ঘোষণা, ফিরেছেন তামিম

মাশরাফি বিন মর্তুজাকে অধিনায়ক করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

রোববার এই ঘোষনা দেয়া হয়।

১৬ সদস্যের এই দলে ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল।

তামিম ছাড়াও দলে রয়েছেন আরও তিন ওপেনার।

বাংলাদেশ ওয়ানডে দল: মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান (সহ অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল ইসলাম অপু, মোহাম্মদ মিঠুন সাইফ উদ্দিন, আবু হায়দার রনি ও আরিফুল হক।

এসএইচ-১৫/০২/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

যে শর্ত মেনে নিলে তাওবা কবুল হয়

যে শর্ত মেনে

তাওবা আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের অন্যতম উপায়। এ তাওবার মাধ্যমেই মানুষ নিজেকে সব অন্যায় অপরাধ থেকে মুক্ত রাখে। এ কারণেই ইলমের অধিকারী আলেমগণ বলেন, ‘(মানুষের) প্রতিটি গোনাহ থেকে তাওবা করা আবশ্যক কর্তব্য (ওয়াজিব)।

> মানুষের কোনো গোনাহ বা অপরাধ যদি আল্লাহর সঙ্গে হয়ে থাকে এবং বান্দার কোনো হক বা অধিকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়, তবে সে কাজের গোনাহ থেকে মুক্ত থাকতে ৩টি শর্ত পালন জরুরি। শর্ত ৩টি হলো-

প্রথম শর্ত : বান্দা সব সময় গোনাহ থেকে বিরত থাকবে এ চিন্তা স্থির করা।

দ্বিতীয় শর্ত : যে গোনাহের জন্য তাওবা করা, সে গোনাহ সংঘটিত হওয়ার কারণে অন্তর থেকে অনুতপ্ত বা দুঃখ প্রকাশ করা।

তৃতীয় শর্ত : এ গোনাহটি যেন পুনরায় করা না হয় সে ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করা।

যদি কোনো মানুষের মনে উল্লেখিত ৩টি শর্তের কোনোটি অপূর্ণ থাকে, তবে তার তাওবা শুদ্ধ হবে না।

> কিন্তু মানুষের কোনো গোনাহ বা অপরাধ যদি আল্লাহর সঙ্গে না হয়ে অন্য কোনো মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়, তবে সেক্ষেত্রে উল্লেখিত তিনটি শর্তের সঙ্গে অপরাধী বা গোনাহগার ব্যাক্তিকে আরো একটি শর্ত যুক্ত করে তা পালন করতে হবে। আর তাহলো-

চতুর্থ শর্ত : সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে (যার সঙ্গে অপরাধ বা গোনাহটি জড়িত) ক্ষমা প্রার্থনা করা। যেমন- কোনো ব্যক্তি ধন-সম্পদ বা কোনো জিনিস অন্যায়ভাবে ছিনিয়ে নেয়া হয় তবে তাকে তা ফেরত দিতে হবে। অনুরূপভাবে যদি কারো প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করা হয় তবে অপরাধীকে নির্ধারিত শাস্তি (হদ) ভোগ করতে হবে অথবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।

মনে রাখতে হবে

সব গোনাহের কাজ থেকেই তাওবা করতে হবে। আর তাওবার ব্যাপারে মহান আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন-

‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তাওবা কর, তাহলে তোমরা কল্যাণ লাভ করবে।’ (সুরা নুর : আয়াত ৩১)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন-

তোমরা আপন প্রভুর কাছে ক্ষমা চাও, অতঃপর তার কাছে তাওবা কর।’ (সুরা হুদ : আয়াত ৩১)

খাঁটি বা একনিষ্ঠতার সঙ্গে উল্লেখিত শর্তগুলোর সঙ্গে তাওবা করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন-

‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর কাছে খাঁটি মনে তাওবা (তাওবাতুন নাসুহা) কর।’ (সুরা তাহরিম : আয়াত ৮)

আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকে আয়াত নাজিল করে প্রিয়নবির আগের-পরের সব গোনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন মর্মে ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন নিষ্পাপ। তারপরও উম্মতের শিক্ষার জন্য প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, আল্লাহর শপথ! আমি প্রতিদিন সত্তর বারেরও বেশি তাওবা করি এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।’ (বুখারি)

সুতরাং গোনাহমুক্ত জীবন লাভে তাওবার বিকল্প নেই। গোনাহ হোক আর না হোক তারপরও বারবার অনাকাঙ্খিত অন্যায়ের কাজের জন্য সব সময় তাওবা করা একান্ত আবশ্যক।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব সময় তাওবায়ে নাসুহা করার তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহর হুকুম যথাযথ পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরএম-৩৩/০২/১২ (ধর্ম ডেস্ক)

আরও একটি সম্মানসূচক পদক হারালেন সু চি

মিয়ানমারের কার্যত সরকার প্রধান ও গণতন্ত্রপন্ত্রী নেত্রী অং সান সু চিকে দেওয়া সম্মানসূচক পদক প্রত্যাহারের ঘোষণা দিল প্যারিস। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুচি কার্যকর ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হওয়ায় ‘ফ্রিডম অব প্যারিস’ সম্মাননা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্যারিসের মেয়র অ্যানা হিদালগো।

শনিবার মেয়র অ্যানা হিদালগোর এক মুখপাত্র এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সিটি কাউন্সিল এ বিষয়টি চূড়ান্ত করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্যারিস শহরের মেয়রের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, গত বছর মেয়র অ্যানা মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে লেখা এক চিঠিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তার উদ্বেগ এবং তাদের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু মিয়ানমারের পক্ষ থেকে সেই চিঠির কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি।

এর আগে একই ইস্যুতে অং সান সু চিকে দেওয়া একই রকম পদক কেড়ে নিয়েছে গ্লাসগো, এডিনবার্গ ও অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষ। সেই একই ধারায় ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের দেওয়া পদক কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।

ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বরতার দায়ে সু চিকে দেওয়া কানাডার সম্মানজনক নাগরিকত্ব এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ‘অ্যাম্বাসেডর অব কনসাইন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রত্যাহার করা হয়।

এসএইচ-১৪/০২/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

নামাজ দিয়ে দিন শুরু করা না-করার পরিণতি কী?

নামাজ দিয়ে দিন

নামাজ মানুষকে কল্যাণের পথে পরিচালিত করে, রিজিকের ফয়সাল দান করে। কুরআনের আয়াত দ্বারা তা প্রমাণিত। তারপরও এমন অনেক মুসলিম রয়েছে যারা নামাজ দ্বারা দিন শুরু করে না। অথচ নামাজ দ্বারা দিনের কাজ শুরু করায় রয়েছে অনেক বড় মর্যাদার ঘোষণা।

ভালো কাজ দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু করায় রয়েছে কল্যাণ। হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভোরে নামাজ দিয়ে দিন শুরু করা ব্যক্তির প্রশংসা ও মর্যাদা ঘোষণা করেন বলেন-

হজরত সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ভোরে ফজরের নামাজের দিকে গেল, সে ঈমানের পতাকা বহন করলো। আর যে ভোরে (নামাজ না পড়ে) বাজারের (অন্য কাজের) দিকে গেল, সে ইবলিসের (শয়তানের) ঝাণ্ডা বহন করে নিলো।’ (ইবনে মাজাহ, মিশকাত)

এ হাদিসের ব্যাখ্যায় আল্লামা তিবি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, এ হাদিসের মাধ্যমে দু’টি দলের সুস্পষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়।
তাদের প্রথম দলটি হলো- ‘হিজবুল্লাহ’ বা আল্লাহর দল। যারা ভোরে নামাজ দিয়ে দিনটি শুরু করে।

আর দ্বিতীয় দলটি হলো- ‘হিজবুশ শায়তান’ বা শয়তানের দল। যারা দিনের শুরুতে নামাজ বাদ দিয়ে দুনিয়াবি অন্যান্য কাজের মাধ্যমে নিজেদের ব্যস্ত করে তোলে।

সুতরাং ভোর বেলা ঘুম থেকে ওঠে অন্য কোনো কাজ নয়, পাক-পবিত্র হয়ে নামাজ আদায় করাই ঈমানের একান্ত দাবি। কেননা ভোরের নামাজ আদায়কারী ব্যক্তির নামাজ আদায় কিংবা নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদের দিকে গমন ঈমানের পতাকা ওড়ানোর শামিল। আর তারাই আল্লাহর দল হিসেবে পরিচিত।

আর যারা এর বিপরীত কাজে নিজেদের দিন শুরু করে তারা শয়তানের দলে পরিণত হয় এবং নিজেদের দ্বীনকে পর্যদুস্তকারী হিসেবে পরিচিতি পায়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিয়মিত ভোরবেলা নামাজের মাধ্যমে তাদের দিন শুরু করার তাওফিক দান করুন। শয়তানের সঙ্গী হওয়ার অপবাদমুক্ত হয়ে আল্লাহর সঙ্গী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরএম-৩২/০২/১২ (ধর্ম ডেস্ক)

কোন কীর্তি গড়লেন রোনালদো

জুভেন্টাসের জার্সিতে টানা তিন ম্যাচে গোল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর৷ সিআর সেভেন ম্যাজিকে শনিবার ফ্লোরেন্তিনার বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে ম্যাচ জিতল জুভেন্টাস৷ সাদা-কালো আর্মির হয়ে একটি গোল পেয়েছেন পর্তুগিজ তারকা৷ দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে রোনালদোর গোল আসে পেনাল্টি থেকে৷ ফ্লোরেন্তিনার কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন তারকা স্ট্রাইকার৷ সেই সঙ্গে নয়া এক কীর্তি ছুঁয়ে ফেললেন ক্রিশ্চিয়ানো।

নতুন ক্লাবের জার্সিতে ইতালিয় লিগে এটি রোনালদোর দশম গোল৷ তুরিনের ক্লাবের হয়ে সিরি এ লিগে ১৪ ম্যাচে ধাপে ধাপে দুই অঙ্কের গোলসংখ্যা ছুঁয়ে ফেললেন ক্রিশ্চিয়ানো৷ এর আগে জুভেন্টাসের হয়ে এই কীর্তি ছিল জন চালর্সের৷ ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে ১৪ ম্যাচের মধ্যে দশ গোল ছিল ওয়েলস ফুটবলারের৷

এই জয়ের ফলে চলতি মৌসুমে টানা ১৪ ম্যাচে অপরাজেয় সিরিএ’র এই দল৷ সেই সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলে দু’নম্বরে থাকা নাপোলির সঙ্গে ১১ পয়েন্টের পার্থক্য তৈরি করে মগডালে জাঁকিয়ে বসল তুরিনের ক্লাব৷

ম্যাচের প্রথমার্ধে ১৮ গজ দূর থেকে গোলের দরজা খোলেন বেন্টাঙ্কুর৷ দিবালার সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে ফ্লোয়ান্তিনার ডিফেন্সকে কার্যত দাঁড় করিয়ে বাঁ-পায়ে জোরালো শটে জাল কাঁপান জুভেন্টাস মিডিও৷ বিপক্ষের গোলকিপার শরীর ছুঁড়ে গোল বাঁচানোর কোনও রকম সুযোগ পাওয়ার আগেই জুভেন্টাসকে এগিয়ে দেন বেন্টাঙ্কুর৷

ম্যাচের বাকি দুই গোল এল দ্বিতিয়ার্ধে৷ ৬৯ মিনিটে গোল চিয়েলিনি’র৷ বক্সের ভিতর চিয়েলিনির স্লাইডিং শট গোলকিপারের গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে জালে ঢুকে যায়৷ চলতি মৌসুমে এটাই চিয়েলিনির প্রথম গোল৷ ৭৭ মিনিটে এরপর বক্সের ভিতর মান্দুকিচের বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে হ্যান্ডবল করলে পেনাল্টি পায় জুভেন্টাস৷ সহজ সুযোগে জাল কাঁপিয়ে জুভেন্টাসের হয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করে দেন রোনালদো৷

এসএইচ-১৩/০২/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

দুনিয়া কি চিরস্থায়ী নাকি ধ্বংসশীল?

দুনিয়া কি চিরস্থায়ী

মানুষ ও জ্বীনকে সৃষ্টি করার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো আল্লাহ তাআলার ইবাদত-বন্দেগি তথা তার দাসত্ব করা। তাই মানুষের একান্ত কর্তব্য হলো আল্লাহর ইবাদত ও দাসত্বে নিজেদের নিয়োজিত রাখা। দুনিয়ার লোভ-লালসা ও চিন্তা-চেতনা থেকে নিজেদের মন-মানসিকতাকে ফিরিয়ে রাখা।

মানুষকে এ কথা সব সময় মনে রাখা জরুরি যে, সৃষ্টি জগতের যা কিছু আছে, তার সব কিছুই ধ্বংসশীল। যার চিরস্থায়ীত্ব নেই। আবার এটি আনন্দ-উৎসবের জায়গাও নয়।

সুতরাং দুনিয়া সে সব মানুষের জন্য উত্তম স্থান, যারা নিজেদেরকে দুনিয়ার চাকচিক্য ও আকর্ষণ থেকে দূরে রেখে বুদ্ধি ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে এগিয়ে যায়।

আল্লাহ তাআলা দুনিয়াকে দ্রুত ধাবমান সাওয়ারী ও পানির সরোবরের সঙ্গে তুলনা করেছেন। একটা সময় সাওয়ারীর গতি থেমে যাবে আবার পানির সরোবরের পানিও একদিন শুকিয়ে যাবে।

আল্লাহ তাআলা ধ্বংসশীল এ দুনিয়া সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করে বলেন-

‘নিশ্চয় দুনিয়ার জীবনের তুলনাতো পানির ন্যায় যা আমি আকাশ থেকে নাজিল করি অতঃপর তার সঙ্গে জমিনের উদ্ভিদের মিশ্রণ ঘটে। যা মানুষ ও চতুষ্পদ জন্তু ভোগ করে থাকে। অবশেষে যখন জমিন শোভিত ও সজ্জিত হয় এবং অধিবাসীরা মনে করে জমিনে উৎপন্ন ফসল করায়ত্ব করতে তারা সক্ষম, তখন তাতে রাতে কিংবা দিনে আমার আদেশ চলে আসে। অতঃপর আমি সেগুলোকে কর্তিত ফসল বানিয়ে দেই। আর তাতে মনে হয়, গতকালও এখানে কোনো কিছু ছিল না। এভাবে আমি চিন্তাশীল মানুষের জন্য নিদর্শনসমূহ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করি।’ (সুরা ইউনুস : আয়াত ২৪)

সুতরাং দুনিয়ার চাকচিক্য, সৌন্দর্য, লোভ ইত্যাদি বিষয়ে নিজেকে নিয়োজিত করার মারাত্মক ভুল ও বিপথগামী হওয়া ছাড়া কিছুই নয়। আল্লাহ তাআলা ছাড়া সৃষ্টি জগতের সব কিছুই ক্ষনস্থায়ী।

দুনিয়ার সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও ঐশ্বর্যের তুলনায় আখেরাতের নেয়ামত অনেক বেশি। এ কারণে যারা দুনিয়ার আরাম আয়েশের পরিবর্তে দুঃখ ও কষ্ট জীবন যাপন করবে, তারা পরকালের নেয়ামত লাভে দুনিয়ার সব দুঃখ ও কষ্ট ভুলে যাবে। হাদিসে পাকে এসেছে-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি নেয়ামতের অধিকারীকে কেয়ামতের দিন নিয়ে আসা হবে। তারপর তাকে জাহান্নামের আগুনে একবার প্রবেশ করানোর পর বের করে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করা হবে, তুমি কি তোমার দুনিয়ার জীবনে কোনো ভালো বা কল্যাণ কিছু পেয়েছিলে? তুমি কি কোনো নেয়ামত পেয়েছিল? সে বলবে, ‘না’।

পক্ষান্তরে দুনিয়াতে সবচেয়ে কঠিন কষ্টের মধ্যে থাকা এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হবে, তারপর তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। অতঃপর তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে, তুমি কি কোনো দুঃখ কষ্ট দেখেছিলে? সে বলবে, ‘না’। (মুসলিম)

এ কারণেই আল্লাহ তাআলা চিন্তাশীল লোকদের ব্যাপারে বলেছেন যে, তারা দুনিয়ার চাকচিক্য, ধোঁকাবাজি ও ক্ষণস্থায়ীত্ব বুঝতে পারে। আর দুনিয়ার এসব চাকচিক্য ও ধোঁকাবাজি চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শন। যা থেকে তারা দূরে থাকে।

মনে রাখতে হবে

যারা দুনিয়ার পেছনে বেশি ছুটতে থাকে, দুনিয়ার চাকচিক্য তাদের থেকে দূরে চলে যায়। আর যারা দুনিয়া বিমুখ হয়, দুনিয়া তাদেরকে পেছন থেকে ধাওয়া করে। এটা দুনিয়ার চরিত্র। দুনিয়ার পরিচয় তুলে ধরে আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘তাদের কাছে দুনিয়ার জীবনের উপমা বর্ণনা কর। তাহলো পনির ন্যায়, যা আমি আকাশ থেকে বর্ষণ করি। যার সংমিশ্রণে মাটির গাছপালা সবুজ শ্যামল হয়ে ওঠে। অতঃপর সেটা শুষ্ক হয়ে এমন চূর্ণ-বিচূর্ণ হয় যে, বাতাস তাকে ওড়িয়ে নিয়ে যায়। আল্লাহ সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা কাহফ : আয়াত ৪৫)

সুতরাং মানুষের উচিত পরকালের চিরস্থায়ী কল্যাণে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার ইবাদতে নিজেকে নিয়োজিত রাখা। তাকওয়ার কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করা। সব সময় এ কথাগুলো স্মরণ রাখা জরুরি-

> দুনিয়া চিরস্থায়ী নয়, একদিন তা শেষ হয়ে যাবে।

> দুনিয়াকে কোনোভাবেই পরকালের ওপর প্রাধান্য দেয়া যাবে না।

> দুনিয়াতে কেউই স্থায়ী হবে না। যতই সুন্দর করে দুনিয়াকে সাজানো হোক না কেন, একদিন সব সাজ-সজ্জা ত্যাগ করে এ দুনিয়া ছেড়ে পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে ফিরে যেতে হবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের যাবতীয় কল্যাণের লক্ষ্যে দুনিয়ায় মহান আল্লাহর পথে নিজেদের নিয়োজিত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরএম-৩১/০২/১২ (ধর্ম ডেস্ক)

মৃত্যুর আগে কী পরিমাণ সম্পদ ওসিয়ত করা যাবে?

মৃত্যুর আগে

সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য জীবন ব্যবস্থা নাম ইসলাম। এর প্রতিটি দিকই মানুষের জন্য কল্যাণের। মানুষের জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এমন কোনো বিষয় নেই যা ইসলাম তুলে ধরেনি। এমনকি মানুষ মৃত্যুকালে তার সম্পদের কী পরিমাণ ওসিয়ত কিংবা দান করবে সে ব্যাপারে দিক-নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম।

যদি কারো স্ত্রী, সন্তান-সন্তুতিসহ অন্যান্য উত্তরাধিকারী থাকে তবে সে ব্যক্তি কি ইচ্ছা করলেই তার সব সম্পদ দান বা ওসিয়ত করতে পারবে? আর মৃত্যুর আগে সমূদয় সম্পদ দান বা ওসিয়ত করলেও তা গ্রহণযোগ্য হবে কি? প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে তা সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন-

হজরত সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি মক্কায় অসুস্থ হয়ে পড়লে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে দেখার জন্য আসতেন। আমি (প্রিয়নবিকে) বললাম, আমার তো ধন-সম্পদ আছে, আমি সব ধন-সম্পদ ওসিয়ত (দান) করে যাই? তিনি (প্রিয়নবি) বললেন, ‘না’।

আমি বললাম, তাহলে অর্ধেক (সম্পদ)? তিনি (প্রিয়নবি) বললেন, ‘না’।

আমি বললাম, তবে (ধন-সম্পদের) তিন ভাগের একভাগ? তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ’ তিন ভাগের একভাগ (সম্পদ দান) করতে পার। তিন ভাগের এক ভাগই বেশি।

তোমার ওয়ারিশদেরকে এমন অসহায় অবস্থায় রেখা যাওয়া যাবে না, যে কারণে তারা মানুষের কাছে হাত পেতে ফিরবে। বরং তার চেয়ে তাদেরকে (উত্তরাধিকারীদের) ধনী অবস্থায় রেখে যাওয়া উত্তম।

আর যা-ই তুমি খরচ করবে, তাই তোমার জন্য সাদকা হবে। এমনকি যে (খাবারের) লোকমাটি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দিবে, তাও (তোমার জন্য সাদকা বা দান)।

আশা করি, আল্লাহ তোমাকে দীর্ঘজীবী করুন। তোমার দ্বারা অনেক লোক উপকৃত হবে। আবার অন্যেরা (কাফের সম্প্রদায়) ক্ষতিগ্রস্তও হবে। (বুখারি)

উল্লেখিত হাদিসটি মুসলিম উম্মাহর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এমন অনেক মানুষ আছে, যারা মৃত্যুর আগে অজ্ঞতাবশঃত নিজেদের সমূদয় সম্পদ দান-সাদকা কিংবা ওসিয়ত করে থাকেন। তাদের জন্য এ হাদিসে সম্পদ দানের সুস্পষ্ট ধারণা দেয়া হয়েছে।

হাদিসের শিক্ষা

> কেউ অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া সুন্নাত।

> পরিবার-পরিজন থাকলে সম্পদের মালিক তার সমূদয় সম্পদ দান, ওয়িসত কিংবা ইসলামের পথে ব্যয় করবে না।

> কমপক্ষে তিন ভাগের দুই ভাগ সম্পদ পরিবার পরিজনের জন্য রেখে শুধু এক ভাগ সম্পদ দান কিংবা ওসিয়ত করবে।

> পরিবার-পরিজনের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ যাবতীয় খরচাদি বহন করলেও সম্পদের মালিক ব্যক্তি সাদকা বা দানের সাওয়াব লাভ করবে।

> পরিবার তথা সন্তান-সন্তুতিকে অসহায় অবস্থায় ছেড়ে যাওয়া যাবে না। যাতে তারা সম্পদশালী পরিবারের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও অন্যের দারস্থ হতে না হয়।

> এ হাদিস দ্বারা প্রত্যেককেই আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।

> আবার আল্লাহর রাস্তায় সম্পদ দান-সাদকা করার নির্দেশনাও রয়েছে।

সুতরাং উল্লেখিত বিষয়গুলো নিজেদের জীবনে বাস্তবায়নে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের জন্য জরুরি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী ধন-সম্পদ দান-সাদকা এবং ওসিয়ত করার তাওফিক দান করুন। প্রিয়নবি ঘোষিত পন্থায় সম্পদ বণ্টনের ফয়সালা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরএম-৩০/০২/১২ (ধর্ম ডেস্ক)

আলোচিতদের মধ্যে নির্বাচনে অযোগ্য হলেন যারা

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে ৩ হাজার ৬৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। রোববার সকাল থেকেই প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলছে। এই প্রক্রিয়া শেষে বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করবে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়। আগামী ৯ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম জানা যাবে।

নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়ার তিনটি আসনেরই মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আলোচিত প্রার্থীদের মধ্যে বাদ পড়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কাদের সিদ্দিকী, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রেজা কিবরিয়া, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও ছেলে সামির কাদের চৌধুরী, আমানউল্লাহ আমান, বিএনপির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খান, গোলাম মাওলা রনি, অাসলাম চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ প্রমূখ।

খালেদা জিয়া : সকালে ফেনী-১ আসন ও দুপুরে ‘জিয়া পরিবারের আসন’ হিসেবে পরিচিত বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে বগুড়া-৭ আসনে খালেদা জিয়ার বিকল্প প্রার্থী মোরশেদ মিল্টনেরও মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে বাকি দুটো আসনে খালেদা জিয়ার বিকল্প প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বগুড়া-৬ আসনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

কাদের সিদ্দিকী : ঋণ খেলাফি হওয়ায় টাঙ্গাইল-৪ ও ৮ আসনের প্রার্থী বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

রুহুল কুদ্দুস তালুকদার : দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের দুই মামলায় সাজা হওয়ায় নাটোর-২ আসনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে বিএনপির রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর।

রেজা কিবরিয়া: ক্রেডিট কার্ডের বিল না দেওয়ায় হবিগঞ্জ-১ আসনে গণফোরামের প্রার্থী রেজা কিবরিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। রোববার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার। রেজা কিবরিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে।

গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর হাওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ভাই বিএনপিনেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়) আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা হয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) গিয়াসপুত্র সামির কাদের চৌধুরীর মনোনয়নপত্রও বাতিল হয়েছে। এর ফলে নির্বাচনে চট্টগ্রামের রাজনীতিতে এক সময় প্রবল প্রভাব বিস্তার করা বিএনপি নেতা যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর পরিবার ও স্বজনদের কারো প্রতিনিধিত্ব রইলো না।

আমানউল্লাহ আমান: ঢাকা-২ আসনের দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপির আমানউল্লাহ আমানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

গোলাম মাওলা রনি: হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় সদ্য বিএনপিতে যোগ দেয়া গোলাম মাওলা রনির মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। রোববার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর এই ঘোষণা দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিউল ইসলাম চৌধুরী। রনি পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা-গলাচিপা) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

ইমরান এইচ সরকার: কুড়িগ্রাম-৪ আসন (রাজিবপুর,রৌমারী ও চিলমারী উপজেলা) থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন তার মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করেন।

খোকাপুত্র ইশরাক হোসেন : ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

আসলাম চৌধুরী: বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আসলাম চৌধুরী চট্টগ্রাম-৪ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। ঋণখেলাপি হওয়ায় আজ রোববার দুপুরে যাচাই–বাছাইয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

আফরোজা আব্বাস: ঢাকা-৯ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আফরোজা আব্বাসের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় ঋণখেলাপির অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে ঢাকা জেলা রিটার্নিং কার্যালয়।

মেজর (অব.) অাকতারুজ্জামান: কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি প্রার্থী (অব.) মেজর আকতারুজ্জামানের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে

শফি আহমেদ: নেত্রকোনা-৪ আসনে হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে থাকা শফী আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। রোববার বেলা আনুমানিক ১২।টার দিকে মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ের সময় এই বাতিল আদেশ দেন জেলা রিটার্নিং অফিসার মইনুল হোসেন।

হিরো আলম : আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলমের বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারদের তালিকা জমা দেওয়ায় উপজেলা নির্বাচন অফিসার আশরাফ হোসেন তার মনোনয়ন বাতিল করেন।

আসাদুজ্জামান বাবলু: রংপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলুর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে দেয়া পদত্যাগপত্র জমা দিলেও গেজেট প্রকাশিত না হওয়ায় তার মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

আমিনুল হক: রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মামলাসংক্রান্ত সার্টিফাইড কপি না থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

আবু সাঈদ চাঁদ : রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির প্রার্থী ও চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ চাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে রিটানিং অফিসার। মামলার তথ্য গোপন ও উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ পত্র গ্রহনের কপি দাখিল না করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আবু সাঈদ চাঁদ চারঘাট থানার একটি মামলার তথ্য মনোনয়নপত্র দেয়নি। এছাড়াও পদ ত্যাগ পত্রও এখনো গ্রহন হয়নি। ফলে পদত্যাগ পত্র গ্রহনের কপি তার মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেনি।

নাদিম মোস্তফা : রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে রিটানিং অফিসার। ঋণখেলাপী ও তার বিরুদ্ধে ১০ মামলার তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি ১০ মামলার কোন তথ্য মনোনয়নপত্রে দেনটি। ফলে তথ্য গোপন ও ঋণখেলাপীর কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

এছাড়াও জাতীয় পার্টির মনির হোসেন সরকারের ঢাকা-৩ আসনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। বাগেরহাট-১ আসনে ঋণ খেলাপের দায়ে জাতীয় পার্টির আহমেদ জোবায়েরের এবং বাগেরহাট-২ আসনে একই দলের প্রার্থী শেখ মোস্তাফিজুর রহমানের মনোনয়নপত্র ত্রুটিপূর্ণ থাকায় তা বাতিল করা হয়েছে।

এসএইচ-১২/০২/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

‘হঠাৎ জামাকাপড় খুলে জড়িয়ে ধরলেন তিনি’

হঠাৎ জামাকাপড়

হ্যাশট্যাগ মিটুর অভিযোগ ক্রমেই চেপে বসছে অভিনেতা অলোক নাথের ওপর। বিনতা নন্দা, সন্ধ্যা মৃদুলের পর তার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন এবার ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’র এক ক্রু। তিনি দাবি করেছেন, অলোক নাথ তার সামনে নগ্ন হয়ে তাকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেছিলেন।

এর আগে অলোক নাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন লেখক-পরিচালক বিনতা নন্দা। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আর একটা বোমা ফাটান পেজ থ্রি অভিনেত্রী সন্ধ্যা মৃদুল।

সন্ধ্যা টুইটারে লিখেছিলেন, একটি ছবির শুটিং চলাকালীন মদ খেয়ে তার ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অলোক নাথ। রাতে জোর করে তাকে হোটেলে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন তিনি। আতঙ্কে হেয়ারড্রেসারকে ঘরে ডেকে নিতে হয়েছিল বলে দাবি করেছেন সন্ধ্যা।

অভিনেত্রীর দাবি, হোটেলের ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে অলোক নাথ বলছিলেন, ‘তোমাকে আমার চাই। তুমি আমার।’ ভয়াবহ অভিজ্ঞতা লেখার পর অভিনেতার উদ্দেশে সন্ধ্যার মন্তব্য, ‘আপনার খেলা শেষ স্যার।’

সেই খেলার সমালোচনা চলতে চলতে এবার মুখ খুলেছেন আরও এক মহিলা। মিড-ডে পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ের সময় তার সামনেই পোশাক খুলেছিলেন অলোক নাথ।

তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে হাত ধরে তাকে কাছে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘রাতের একটি দৃশ্যের শুটিং চলছিল তখন। আমি অলোক নাথের কস্টিউম নিয়ে গিয়েছিলাম। তার হাতে কস্টিউমটা দিতেই তিনি আমার সামনে জামাকাপড় খুলতে শুরু করলেন। অস্বস্তিতে পড়ে আমি পিছন ফিরে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম।

তখন তিনি আমার হাত ধরে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেন। কোনোক্রমে হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে পালিয়ে যাই।’

অভিযোগ করলেও, পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি ওই মহিলা। এই অভিযোগ নিয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি অলোক নাথের কাছ থেকে।

আরএম-২৯/০২/১২ (বিনোদন ডেস্ক)