বিকাল ৩:৩০
মঙ্গলবার
৫ ই আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
২১ শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১০ ই সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার আমিনুলের মনোনয়নপত্র বাতিল

রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

যাচাই-বাছাইকালে রোববার সকালে তার মনোনয়পত্র বাতিল করেন জেলা প্রশাসক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম আবদুল কাদের।

ব্যারিস্টার আমিনুল হকের সমর্থক ও গোদাগাড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি মুজিবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

মনোনয়নপত্রে তার মামলা সংক্রান্ত ফটোকপি দেয়া ছিলো মনোনয়নপত্রের সাথে। কিন্তু সার্টিফাইড কপি না থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তারা আশা করছেন, সার্টিফাইড কপি দাখিল করে মনোনয়ন ফিরে পাবেন।

এই আসনে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের স্ত্রী আভা হকের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন দপ্তর।

১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এ আসনে টানা তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য ছিলেন ব্যারিস্টার আমিনুল হক। ২০০৮ সালে আমিনুল হকের পরিবর্তে তার ভাই পুলিশের সাবেক আইজি এনামুল হক বিএনপির প্রার্থী হন। সেবার এনামুল হক পরাজিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর কাছে। এরপর থেকেই টানা দুই মেয়াদে এই আসনের এমপি ফারুক চৌধুরী।

জানা গেছে, রাজশাহী-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ১২ প্রার্থীরা। এরা হলেন-আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক চৌধুরী, বিএনপির ব্যারিস্টার আমিনুল হক, তার স্ত্রী আভা হক, শাহাদাত হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টির রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, ইসলামী আন্দোলনের আব্দুল মান্নান, বাসদের আলফাজ হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহ উদ্দিন বিশ^াস, সাইদুর রহমান, শহিদুল কবির শিবলী ও সুজা উদ্দিন।

নির্বাচন দপ্তর বলছে, বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলবে। রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে এবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ৬৭ জন। এর মধ্যে ২৪ জন বাদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ৪৩ প্রার্থী।

বিএ-০৪/০২-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

কাদের থাকেন স্ত্রীর বাড়িতে, ফখরুল ঘোরেন বউয়ের গাড়িতে!

কাদের থাকেন স্ত্রীর

দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। রাজনীতির দুই মেরুর এই দুইজনই স্ত্রীর দ্বারস্থ!

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জমা দেয়া হলফনামায় জানা যায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের রাজধানীতে কোনো বাড়ি বা ফ্ল্যাট নেই। থাকেন স্ত্রীর বাড়িতে। আর মন্ত্রী মির্জা ফখরুল ইসলামের নিজস্ব কোনো গাড়ি নেই। ব্যবহার করেন স্ত্রীর দেয়া গাড়ি।

মির্জা ফখরুল একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ এবং ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী-৫ আসন থেকে নির্বাচন করছেন।

তাদের দুজনের হলফনামা পর্যালোচনা করে জানা গেছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বার্ষিক আয় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের চেয়ে প্রায় তিনগুণ। কাদেরের বছরে আয় ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৬৫১ টাকা। আর ফখরুলের আয় ১১ লাখ ৩১ হাজার ৪৩৩টাকা। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। এছাড়া কাদের বিএ (অনার্স) আর ফখরুল এমএ পাস করেছিলেন।

এক নজরে ওবায়দুল কাদেরের হলফনামা

ঠিকানা

ওবায়দুল কাদেরের বাবা মৃত মোশারফ হোসেন, মাতা ফজিলাতুন্নেছা, ঠিকানা: মোশারফ হোসেন বাড়ি, গ্রাম: বড় রাজপুর, ১নং ওয়ার্ড, বসুরহাট পৌরসভা, ডাকঘর: বসুরহাট, উপজেলা: কোম্পানীগঞ্জ, জেলা: নোয়াখালী। তার নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫।

মামলা

হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেছেন- বর্তমানে তার নামে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। অতীতে ১২টি মামলা দায়ের হয়েছিল। যার মধ্যে নয়টি নিষ্পত্তি এবং তিনটিতে খালাস পেয়েছিলেন।

পেশা

বেসরকারি চাকরি (বর্তমানে এমপি ও মন্ত্রী হিসেবে বেতন ভাতা পাই এবং বই ও পত্রপত্রিকায় লিখে আয় করি)।

আয়

বাড়িভাড়া/এপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে বছরে আয় ১৩ লাখ ৬৮ হাজার, পেশা (শিক্ষকতা, চিকিৎসা, আইন, পরামর্শক ইত্যাদি) ১২ লাখ ৬০ হাজার, বই লিখে আয় ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬৫১টাকা। মোট ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৬৫১টাকা। মাসিক গড় আয় ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮০৪ টাকা ২৫ পয়সা।

এছাড়া স্ত্রীর আয়ের স্থানে তিনি উল্লেখ করেছেন- বাড়ি ভাড়া/এপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে বছরে আয় ২ লাখ ৬৬ হাজার ৪৩৬ টাকা। ব্যবসা থেকে আয় ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৬০টাকা। পেশার স্থানে লেখা আছে প্রযোজ্য নয়, অন্যান্য আয় দেখিয়েছেন-৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫১৯ টাকা।

সম্পত্তি

অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তার নিজের নগদ টাকা আছে ৫৫ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা করা অর্থের পরিমাণ ৮৩ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪২ টাকা। পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ১ কোটি ২৪ লাখ ২১ হাজার ২৭৮টাকা। বাস, ট্রাক, মোটর গাড়ি ও মোটরসাইকেল ইত্যাদি বিবরণী (পরিমাণ, অর্জনকালীন সময়ের মূল্যসহ) ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে। এছাড়া ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ২৫ তোলা স্বর্ণ আছে।

অস্থাবর সম্পদ

স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে- স্ত্রীর হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা আছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা করা অর্থের পরিমাণ ২৬ লাখ ৩৪ হাজার ৬১১ টাকা। পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৫৫ লাখ ৯ হাজার ৮৪৫ টাকা। ব্যক্তিগত কোনো গাড়ি নেই। ১ লাখ টাকা মূল্যের ২০ তোলা স্বর্ণ আছে। ১২ হাজার টাকার (টিএন্ডটি ও মোবাইল) আছে। আছে ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র।

স্থাবর সম্পদ

স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে- উত্তরায় অর্জনকালীন সময়ের ৫০ লাখ ৭৯ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি এবং পৈতৃক সম্পত্তি হিসেবে ৬০ শতাংশ অকৃষি জমি। ওবায়দুল কাদেরের নিজস্ব কোনো বাড়ি/এপার্টমেন্ট নেই। তবে স্ত্রীর অর্জনকালীন সময়ের ১৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ১ হাজার ৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট আছে।

আসবাবপত্র

তিনি উপহার পাওয়া মোবাইল ব্যবহার করেন। তবে নিজের নামে ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র আছে।

এক নজরে মির্জা ফখরুলের হলফনামা

ঠিকানা

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাবা মির্জা রুহুল আমিন, মাতা ফাতেমা আমিন, ঠিকানা- মহল্লা: কালিবাড়ী, ওয়ার্ড নং: ৬, ডাকঘর: ঠাকুরগাও, থানা: ঠাকুরগাও সদর, উপজেলা: ঠাকুরগাও সদর, জেলা: ঠাকুরগাও। তার নির্বাচনী এলাকা ঠাকুরগাও-১। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের আসনেও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তিনি।

পেশা

তিনি পেশা উল্লেখ করেছেন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক।

মামলা

বর্তমান ফৌজদারি মামলার পূর্ণাঙ্গ তালিকা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাওয়া যায়নি। তবে ‘আংশিক’ তালিকা অনুযায়ী ৩৮টি মামলার মধ্যে তিনটিতে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি।

অতীতে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছিল সাতটি। ছয়টিতে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। আর একটি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পর নথিজাত করা হয়েছে।

আয়

কৃষিখাত থেকে বছরে আয় ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা। বাড়িভাড়া/এপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া খাতে ফখরুলের কোনো আয় না থাকলেও এ খাতে তার স্ত্রী বছরে আয় করেন ৪ লাখ ২৬ হাজার ৯৮৮টাকা। তিনি ব্যবসা থেকে আয় করেন ১ লাখ ২৫ হাজার ৯৭৪টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত ১ লাখ ৪১ হাজার ১৮১/৮৭ টাকা। তার স্ত্রী শেয়ার থেকে ৮৪ হাজার ৮৯৫ টাকা এবং সঞ্চয়পত্র থেকে বছরে আয় করেন ২০ লাখ টাকা। পেশা (শিক্ষকতা, চিকিৎসা, আইন, পরামর্শক ইত্যাদি) থেকে বছরে আয় করেন ৬ লাখ টাকা। চাকরি করে বছরে সম্মানী ভাতা পান ১ লাখ ৬২ হাজার টাকা। তার স্ত্রী চাকুরি থেকে বছরে আয় করেন ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪০ টাকা। তিনি বছরে ব্যাংক সুদ পান ২ হাজার ৮০৫টাকা। তার স্ত্রী ব্যাংক সুদ থেকে ২৬ হাজার ৯০৭ টাকা এবং ডিপিএস থেকে পান ১১ লাখ ১৯ হাজার ৩৮৮টাকা।

মির্জা ফখরুলের বছরে আয় ১১ লাখ ৩১ হাজার ৪৩৩টাকা। মাসিক গড় আয় ৯৪ হাজার ২৮৬ টাকা।

অস্থাবর সম্পদ

অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নগদ টাকা আছে ৪২ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৫/৩২ টাকা। তার স্ত্রীর হাতে আছে ৫ হাজার ৩১২ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা করা অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ৪৩ হাজার ১৮১/৭৮ টাকা। তার স্ত্রীর আছে ২১ লাখ ৭২ হাজার ৮৭০/৭৪ টাকা। দি মির্জাস প্রা. লিমিটেডে উত্তরাধিকার সূত্রে তার শেয়ার আছে ৬৫৮টি।

নিজের নামে ফখরুলের সঞ্চয়পত্র না থাকলেও স্ত্রীর নামে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র আছে। স্ত্রীর কাছ থেকে প্রাপ্ত একটি প্রাইভেটকার আছে। তার স্ত্রীর ১৭ লাখ ৫৮ হাজার ১৪০ টাকার একটি গাড়ি আছে। আছে ১০ ভরি সোনা, যা বিয়ের সময় দান হিসেবে পেয়েছেন। এছাড়া তার স্ত্রীর ২ লাখ টাকার স্বর্ণ আছে।

স্থাবর সম্পদ

স্থাবর সম্পদের হিসেবে অর্জনকালীন মূল্যের ৬০ হাজার টাকার ৫ একর কৃষি জমি আছে। তার স্ত্রীর আছে অর্জনকালীন মূল্যের ৫০ হাজার টাকার জমি। ৫ লাখ টাকার অর্জনকালীন সময়ের মূল্যের ৪ শতক অকৃষি জমি। স্ত্রীর আছে ৮ লাখ ৫৪ হাজার টাকা মূল্যের ৫ কাঠা অকৃষি জমি।

অর্জনকালীন ১০ লাখ টাকার দোতলা বাসার একাংশ আছে। নিজের কোনো এপার্টমেন্ট না থাকলেও তার স্ত্রীর ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের এপার্টমেন্ট আছে।

আসবাবপত্র

১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ১টি টিভি, ২টি ফ্রিজ, ১টি এসি, ২টি ডেকসেট আছে। এছাড়া তার স্ত্রীর ১ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী আছে।

১ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের খাট, সোফা সেট ও ডাইনিং টেবিল আছে। স্ত্রীর ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র আছে।

আরএম-২২/০২/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

পর্যবেক্ষকদের নির্বাচনী আইন মেনে চলতে হবে: এইচ টি ইমাম

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক যারা আসবে, তাদের নির্বাচনী আইন ও পর্যবেক্ষক নীতিমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

রোববার এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বেরিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন এইচ টি ইমাম।

আওয়ামী লীগ সবার জন্য সমান সুযোগ চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সবার জন্য স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। দেশে ১১৮টি নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থা রয়েছে। বিদেশ থেকেও যদি এ রকম পর্যবেক্ষক আসতে থাকে, তাহলে তাদের নিরাপত্তা দিতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনেক ব্যস্ত থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগ বিদেশি পর্যবেক্ষক আসাকে নিরুৎসাহিত করছে কি না— জানতে চাইলে এইচ টি ইমাম বলেন, আমরা এটা নিরুৎসাহিত করছি না। তবে সবাইকে আচরণবিধি ও আইন মেনে চলতে হবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সমাবেশ করেছেন। এটি নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। আমরা এটা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। তারা বিষয়টি অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেবেন।

এইচ টি ইমাম আরও বলেন, কিছুদিন ধরে সরকার ও ইসিকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয় ও নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির জন্য কথা বলতেই আমরা নির্বাচন কমিশনে এসেছি।

খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করবে কি না— এ প্রশ্নের জবাবে এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, আমি তো মনে করি, এটাই লেবেল প্লেয়িং গ্রাউন্ড। খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিলের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, সবার জন্য সমান সুযোগ আছে। আইন সবার জন্য এক। কোনো দলের প্রধান বলে তার জন্য আইন তো অন্য রকম হবে না।

বিএ-০৩/০২-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

জিয়ার জন্মস্থানে ধানের শীষের প্রার্থী রইলো না

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি খ্যাত বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির কোন প্রার্থী আর রইল না। ঐ আসনে দাখিল হওয়া বিএনপির ৩ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছে জেলা রিটার্নিং অফিসার।

রোববার দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে যাচাই বাছাইকালে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী হওয়ায় খালেদা জিয়ার মনোনয়ন, উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করায় অপর দুই প্রার্থী মোরশেদ মিলটন ও সরকার বাদলের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা হয়।

এদিকে মোরশেদ মিলটনের মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ করেছে। এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, সিপার আল বখতিয়ার, মেহেদী হাসান হিমু প্রমুখ।

জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ জানান, মামলায় সাজা হওয়ায় দণ্ডিত অপরাধী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করায় অপর দুই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিলকারী মোরশেদ মিলটন জানান, তিনি ২৮ নভেম্বর পদত্যাগ করেছেন। তার মনোনয়ন অন্যায়ভাবে বাতিল করা হয়েছে। তিনি আপিল করবেন বলে জানান।

এসএইচ-০৯/০২/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল

কাদের সিদ্দিকীর

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ (সখিপুর-বাসাইল) আসনে ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

আজ রবিবার (২ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার শহিদুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।

ঋণ খেলাপীর দায়ে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এছাড়াও আরও ১২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে জানা যায়।

আগে থেকেই প্রার্থিতা বাতিলের আশঙ্কায় ছিলেন কাদের সিদ্দিকী। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের দলীয় সূত্রে জানা যায়, যদি কোনো কারণে কাদের সিদ্দিকীর প্রার্থিতা বাতিল হয়; তাহলে তার মেয়ে কাজী আশরাফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ আসনে কৃষক শ্রমিক ও জনতা লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন করবেন।

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল-৮ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪৫ জন। বিএনপির হেভিয়েট প্রার্থী বলে পরিচিত দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান। তবে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী কাদের সিদ্দিকী থাকায় তিনি এবার নির্বাচন করছেন না।

অন্যদিকে এই আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের।

আরএম-২১/০২/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

৪২ মামলা নিয়েও মির্জা আব্বাসের মনোনয়ন বৈধ

৪২ মামলা

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে মনোনয়ন যাচাই-বাছাই চলছে। সেখান থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা-৭ আসনের ১৯ জনের মধ্যে চারজনের ও ঢাকা-৮ আসনের মধ্যে ২২ জনের মধ্যে সাতজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তবে ৪২ মামলা ঘাড়ে নিয়েও বৈধতা পেয়েছে মির্জা আব্বাসের মনোনয়ন।

রোববার (২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ঢাকা বিভাগের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ কার্যক্রম চলছে। সকাল নয়টা থেকে এ যাচাই-বাচাই শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।

ঢাকা-৭ আসনে ১৯ জনের মধ্যে ১৫ জনকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে চারজনের মনোনয়ন। ঋণখেলাপি হওয়ায় বিএনপির প্রার্থী নাসির উদ্দিন পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আক্তারের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাজি মোহাম্মদ সেলিম, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু বৈধ, বিএনপির মীর নেওয়াজ আলী, স্বতন্ত্র সাবেক এমপি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাজি আবুল হাসনাতের মনোনয়ন বৈধ।

অন্যদিকে ঢাকা-৮ আসনে প্রাথী রয়েছেন ২২ জন। এর মধ্যে ১৪ জনের বৈধ ও ৭ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তবে মির্জা আব্বাসের মনোনয়ন বৈধ। যদিও তার নামে মামলা রয়েছে ৪২টি। ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন মনোনয়ন বৈধতা পেয়েছে।

তবে আগামী ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আপিল করতে পারবেন বলে জানা গেছে।

আরএম-২০/০২/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

যে কারণে বাতিল হল গোলাম মাওলা রনির মনোনয়ন

যে কারণে বাতিল হল

বহুল আলোচিত আওয়ামী লীগ থেকে সদ্য বিএনপিতে যোগ দেয়া নেতা গোলাম মাওলা রনির মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রনির অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ল।

রোববার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মাওলা রনির মনোনয়নপত্র বাতিলের ঘোষণা দেন।

একই আসনে বিএনপির অপর প্রার্থী মো. শাহজাহান খানের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে ঋণখেলাপির অভিযোগে।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার।

বিএনপির দুজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় এই আসনে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাসান আল মামুন।

গলাচিপা ও দশমিনা নিয়ে পটুয়াখালী-৩ আসন। এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন গোলাম মাওলা। মনোনয়ন না পেয়ে বিএনপিতে যোগ দেন। বিএনপি তাকে মনোনয়নও দেয়। এই আসন থেকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

আরএম-১৯/০২/১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

বিএনপির কোনো ‘প্রার্থী নেই’ বগুড়া-৭ আসনে!

বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাহজাহানপুর) আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাশাপাশি দু’জন বিকল্প প্রার্থীও রেখেছিল বিএনপি। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা তিনজনের মনোনয়নপত্রই বাতিল ঘোষণা করায় এই আসনে এখন বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই।

অবশ্য তিন প্রার্থীরই তাদের মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা সুযোগ রয়েছে।

রোববার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের নির্ধারিত দিনে বগুড়া-৭ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়েজ আহমদ বিএনপির তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্রই বাতিল ঘোষণা করেন।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া বিএনপি অপর দুই প্রার্থী হলেন গাবতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোর্শেদ লিটন ও শাহজাহানপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরকার বাদল।

বিএনপির তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করার কারণ ব্যাখ্যা করে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়েজ আহমদ জানান, খালেদা জিয়া মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। মোর্শেদ লিটন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করলেও তার পদত্যাগপত্র এখনও গৃহীত হয়নি। আর সরকার বাদল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেননি।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী দুই বছরের বেশি কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। এছাড়া স্থানীয় সরকারের পদে থাকা অবস্থায় কারো সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।

বিএ-০২/০২-১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

পোশাক ছাড়াই বিয়ের আসরে যাবেন রাখি!

পোশাক ছাড়াই

কিছুদিন আগে বিয়ে করেছেন রণবীর কাপুর ও দীপিকা পাড়ুকোন। আর ডিসেম্বরে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন বিতর্কিত অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত। এখন রাখি সায়ন্তকে নিয়ে সরগরম। তার একের পর এক অদ্ভুত ঘোষণায় এই অবস্থা। সম্প্রতি বিয়ের ঘোষণা দেন নানা সময়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে আসা এই অভিনেত্রী। একথা জানান রাখি নিজেই। জানান, বিয়ের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর। পাত্র দীপক কালাল।

এবার জানা গেল, রাখি ও দীপক সম্পূর্ণ নগ্ন হয়েই নাকি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন! রাখির ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে জানা যাচ্ছে, দীপক ও তিনি নগ্ন হয়ে বিয়ে করবেন। বিয়ের পোশাক না কিনে সেই টাকায় কম্বোডিয়া ও সোমালিয়ার দরিদ্র মানুষদের অর্থ সাহায্য করবেন। স্বাভাবিক ভাবেই এমন অদ্ভুত ঘোষণার পরে সেই পোস্ট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, দীপক ‘ইন্ডিয়া গট ট্যালেন্ট’ রিয়েলিটি শো-র প্রতিযোগী। সেই শো’তেই দীপক রাখিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। রাখির হবু বর ইউটিউবের শিল্পী। তিনি নিজেকে ‘সুপার স্টার অফ কাশ্মীর’ বলে দাবি করেন।
এদিকে, নিজের বিয়ের কার্ড ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন রাখি। সেখানে তিনি লিখেছেন, তাঁর বিয়ে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে লস অ্যাঞ্জেলসে।

তিনি ইনস্টাগ্রামে এক ভিডিওতে বলেন, ‘আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি। চাইলেই সবাই বিয়েতে আসতে পারেন।

আরএম-১৮/০২/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

খালেদাসহ মনোনয়ন বাতিল হলো যাদের

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আজ থেকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে। সব হিসাব-নিকাশ শেষে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বরে।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে যাদের মনোনয়ন বাতিল হলো-

• ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম) আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জমা দেয়া মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের প্রথম দিন আজ রোববার সকালে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. ওয়াহিদুজ্জামান খালেদার মনোনয়নপত্রটি বাতিল ঘোষণা করেন।

•ঋণ খেলাপের অভিযোগে হবিগঞ্জ-১ আসনে গণফোরাম মনোনীত প্রার্থী সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড বিভাগ থেকে ঋণ খেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

এ ছাড়া একই আসনে আরও ৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তারা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হান্নান, ইসলামী ফ্রন্টের জুবায়ের আহমেদ, ইসলামিক ফ্রন্টের বদরপুর রেজা সেলিম ও ইসলামী আন্দোলনের আবু হানিফ আহমদ হোসেন।

• হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় পটুয়াখালী-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মাওলা রনির মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। রোববার দুপুর ১২টায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় এ ঘোষণা দেয়া হয়।

• আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। রোববার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাচন অফিসার আশরাফ হোসেন।

• রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও আংশিক সিটি) আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলুর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে দেয়া পদত্যাগপত্র জমা দিলেও গেজেট প্রকাশিত না হওয়ায় তার মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

• রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মামলাসংক্রান্ত সার্টিফাইড কপি না থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

• কুড়িগ্রাম-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরান এইচ সরকারের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং অফিসার। মনোনয়নপত্রে এক শতাংশ ভোটারের তালিকায় ত্রুটি থাকায় রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন।

•বাগেরহাটের ৪টি সংসদীয় আসনে মহাজোট, ঐক্যফ্রন্ট ও বিভিন্ন দলসহ সর্বমোট ২৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। বাগেরহাট-১ আসনে ঋণ খেলাপের দায়ে জাতীয় পার্টির আহমেদ জোবায়েরের এবং বাগেরহাট-২ আসনে একই দলের প্রার্থী শেখ মোস্তাফিজুর রহমানের মনোনয়নপত্র ত্রুটিপূর্ণ থাকায় তা বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া বাগেরহাট-৪ আসনে মো. আমিনুল ইসলাম খানের (এনপিপি) মনোনয়নপত্রে ত্রুটির জন্য তা বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার।

•চট্টগ্রামে বিএনপির তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরা হলেন- কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দীন কাদের চৌধুরী, তার ছেলে সামির কাদের চৌধুরী এবং যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে গিয়াস কাদের চৌধুরী ও আসলাম চৌধুরী ঋণ খেলাপি এবং সামির কাদের চৌধুরী দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

• সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চার প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র পাঁচজনের মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল। এরা হলেন- জেলা কৃষক লীগ সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এসএম মুজিবর রহমান, তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম, ন্যাপের হায়দার আলী, আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম।
এ ছাড়া সাতক্ষীরা-২ আসনে জেএসডির প্রার্থী আফসার আলী এবং সাতক্ষীরা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খলিলুর রহমানের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার।

• কুষ্টিয়ার ৪টি আসনে ৯ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন এ ঘোষণা দেন। এদের মধ্যে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না থাকায় সাবেক এমপি আফাজ উদ্দিন আহমেদের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়। এ ছাড়া একই আসন থেকে ঋণ খেলাপীর দায়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের (বাদল গ্রুপ) প্রার্থী রেজাউল হক ও আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় মুসলীম লীগ প্রার্থী আব্দুল খালেক সরকারের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে।

অন্যদিকে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা না দেয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুল গফুর ও বশির আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না থাকায় বর্তমান এমপি আব্দুর রউফের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। একই আসন থেকে ঋণ খেলাপের দায়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মেহেদী হাসান, জাকের পার্টির তসির উদ্দিন ও সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ প্রার্থী রোকনুজ্জামান রোকনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

• শেরপুর-১ (সদর) আসনে বিএনপির তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। চারটি ব্যাংকের ঋণ খেলাপির দায়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এছাড়া জেলা যুবদল সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফজলুল কাদের মনোনয়নপত্রে বিএনপির প্রার্থী বলে উল্লেখ করলেও এর সঙ্গে দলীয় মনোনয়নের চিঠি সংযুক্ত না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

• আদালতে দণ্ডিত হওয়ায় খাগড়াছড়িতে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী ওয়াদুদ ভুইয়া, দলীয় মনোনয়ন না থাকায় আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী ও দাখিলকৃত ভোটার তালিকায় অসঙ্গতির কারণে ইউপিডিএফ সমর্থিত দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মনোনয়ন বাতিল হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভুইয়া, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সমীর দত্ত চাকমা, ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় নেতা সচিব চাকমা ও নতুন কুমার চাকমা।

• নওগাঁর ৬টি আসনে মোট নয়জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া একজন প্রার্থী তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা হলেন- নওগাঁ-১ আসনের আবু হেনা মোস্তফা কামাল (এলডিপি/বিকল্পধারা), নওগাঁ-২ আসনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ড. ইঞ্জিনিয়ার আখতারুল আলম (স্বতন্ত্র), আব্দুর রউফ মান্নান (বিকল্পধারা), মতিবুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)। নওগাঁ-৪ আসনে আব্দুর রাকিব (স্বতন্ত্র) ও আফজাল হোসেন (স্বতন্ত্র)।

নওগাঁ-৫ আসনে নওগাঁ পৌরসভা মেয়র আলহাজ্ব নজমুল হক সনি (বিএনপি) ও ইফতারুল আলম বকুল (জাপা) এবং নওগাঁ-৬ আসনে আনোয়ার হোসেন হেলাল (স্বতন্ত্র)। নওগাঁ পৌরসভা মেয়র আলহাজ্ব নজমুল হক সনি মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ফলে তাকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।

• ঢাকা-৪ (শ্যামপুর ও কদমতলী) আসনের মোট ১৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এদের একজন বিকল্পধারা বাকিদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা ছিল। ঢাকা-৪ আসনে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা হচ্ছেন বিকল্পধারার কবির হোসেন (ব্র্যাক ব্যাংকে ঋণ খেলাপি), স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মালেক (ঋণ-সংক্রান্ত তথ্য দেননি, সিটি ব্যাংকে ঋণ খেলাপি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম (সোনালী ব্যাংকে ঋণ খেলাপি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোশারফ হোসেন (১ শতাংশ ভোটারের নাম-ঠিকানা দেননি, এছাড়াও ২২৪১ জনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি)।

মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর না থাকায় নাটোর-১ আসনে সাম্যবাদী দলের বীরেন্দ্রনাথ সাহা, নাটোর-৪ আসনে মুসলিম লীগের শান্তি রিবেরু, জাসদ (ইনু) দলের রনি পারভেজ, ঋণ খেলাপির কারণে জাতীয় পার্টির আলাউদ্দিন মেধা, জাল স্বাক্ষরের কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী দোলেয়ার হোসেন খান এবং নাটোর-২ আসনে মামলায় সাজা হওয়ার কারণে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলা বিএনপির সভাপতি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

আরও আসছে…

বিএ-০১/০২-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)