রাত ১১:১৫
সোমবার
৪ ঠা আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
২০ শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৯ ই সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

দাউদ-হাফিজের দায়িত্ব নেবেন না ইমরান খান

মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম এবং জঙ্গি সংগঠন লস্কর-তাইয়েবার নেতা হাফিজ সাইদের মতো সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়ার দায় নিজের ঘাড়ে নিতে অনিহা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইসলামাবাদে একটি ভারতীয় টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাত্‍কারে দাউদ ও হাফিজ সইদকে আশ্রয় দেওয়াকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সমস্যা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

ভারতের সঙ্গে শান্তির সম্পর্ক তৈরি করতে নিজের আগ্রহের কথা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মহলে জানিয়ে চলেছেন সদ্য নির্বাচিত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু শুধু কথায় যে চিঁড়ে ভিজবে না, সেই কথাও ইসলামাবাদকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি।

বুধবারই সার্ক সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে সুষমা জানিয়েছিলেন, ‘আমন্ত্রণ এসেছে কিন্তু তাতে আমরা সাড়া দিচ্ছি না। ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ না করা পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও আলোচনা হবে না। আমরা সার্ক সম্মেলনে যোগ দিচ্ছি না।’

দাউদ ইব্রাহিম এবং হাফিজ সাইদের বিষয়টি আগের জমানার সূত্রে তার কাছে এসেছে। সেই ইতিহাসের জন্য তাকে দায়ী করা ঠিক হবে না। একই সঙ্গে তার মন্তব্য, ‘ইতিহাস আঁকড়ে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে হবে। পাকিস্তানের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা অনেকেও এই মুহূর্তে আছে ভারতের আশ্রয়ে।’

দাউদের পাকিস্তানে থাকার খবর ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে থাকলেও তা বিভিন্ন সময় অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। ১৯৯৩ সালে মুম্বাইতে সব মিলিয়ে ১২টি বিস্ফোরণ ঘটানো হয় দাউদের নেতৃত্বে। নিহত হন ২৫৭ জন, আহত হন প্রায় ৭০০ সাধারণ মানুষ। এরপরই ভারত থেকে পালিয়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নেয় দাউদ। তাকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা করে জাতিসংঘ।

এসএইচ-১৯/০১/১১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

নিজের মেয়েকেই ধর্ষণ করে পালালো বাবা

নিজের মেয়েকেই

ঘটনা গুরুগ্রামের। সেখানের কাশগঞ্জের বাসিন্দা এক মহিলা, ২৮ অক্টোবর সন্ধেবেলা নিজের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান। সঙ্গে ছিল তাঁর এক বছরের কন্যাসন্তান।

সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ওই দিন সন্ধেয় মহিলার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার পরেই তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। লোকটি তখন মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলেই পরে পুলিশকে জানান ওই মহিলা। সঙ্গে ছোট মেয়েকে নিয়ে গেলেও, বড় মেয়ে বাড়িতেই ছিল।

পর দিন সকাল ১০টা নাগাদ কাশগঞ্জের বাড়িতে ফিরে আসেন মহিলা। এবং দেখেন যে, তাঁর বড় মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে রয়েছে খাটের উপর।

মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানা যায় যে, তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। মহিলা নিজের স্বামীর বিরুদ্ধেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। কারণ লোকটি বাড়ি ছেড়ে তত ক্ষণে পালিয়ে গিয়েছিল।

এক মাসেরও বেশি সময় পরে, ৩০ নভেম্বর সকালে, পুলিশ ওই মহিলার স্বামীকে গ্রেফতার করে। পকসো আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক শামশের সিংহ।

আরএম-১১/০১/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্যসূত্র: এবেলা)

সৌদির রাজপরিবারে অভ্যুত্থানের চেষ্টা!

সৌদি রাজপরিবারের সদস্যরা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যুবরাজকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করছেন-আমিরাতভিত্তিক গণমাধ্যম থেকে এমন দাবি করার পর সেনাবাহিনীকে তলব করার ঘটনা ঘটল। সৌদির অন্যান্য অঞ্চল থেকে সেনাবাহিনীকে রাজধানী রিয়াদে তলব করেছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অভ্যুত্থানের বিষয়টি কিছুটা হলেও আমলে নিয়েছেন যুবরাজ। সে কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামলাতে রিয়াদে সেনাবাহিনীকে তলব করা হয়েছে। বর্তমানে জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে আর্জেন্টিনা রয়েছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এমতাবস্থায় দেশটির পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে সেনাসদস্যদের রাজধানীতে জড়ো হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এর আগে আমিরাতের এক সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌদি রাজতন্ত্রবিরোধী এক যুবরাজ বলেন, ‘রাজপ্রাসাদে অভ্যুত্থান খুব সন্নিকটে এবং বিরোধীরা যুবরাজের বিরুদ্ধে লড়তে একত্রিত হচ্ছেন।’

যুবরাজ খালিদ বিন ফারহান আল-সৌদ, যিনি বর্তমানে জার্মানিতে নির্বাসন জীবনযাপন করছেন, তিনি বলেন, ‘সৌদিতে ইতোমধ্যে একটি বিরোধী গ্রুপ দাঁড়িয়ে গেছে। তাদের লক্ষ্য একটাই-যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে তার পদ থেকে সরানো। যুবরাজ খালিদ আমিরাতভিত্তিক দৈনিক আল-খালিজ অনলাইনকে এই বিশেষ সাক্ষাৎকারটি দেন। সাক্ষাৎকারে তিনি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সরকার পরিচালনার পদ্ধতিকে ‘অজ্ঞ ও বিভ্রান্তিকর’ বলে মন্তব্য করেন।

যুবরাজ খালিদ বলেন, ‘যদি সৌদি রাজপরিবার ও অন্যান্য দেশ বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে চলতে যায় তাহলে সেখানে সংঘর্ষ বেধে যাবে। কারণ যারাই তাদের বিরুদ্ধে চলতে যাবে তাদের দমনে বর্বর পদ্ধতি বেছে নেয়া হবে। কারণ সৌদি রাজপরিবারতো এভাবেই চলছে।’

‘আমি আশা করি, খুব শিগগিরই সৌদি রাজপরিবারে অভ্যুত্থান হবে এবং বিদ্রোহীরা বিশেষ বিশেষ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবে। তারপর তারা বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে উৎখাত করবে’-যোগ করেন খালিদ। পশ্চিমা বিশ্বে ‘এমবিএস’ বলে পরিচিত ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে যুবরাজ মোহম্মদ বাবার মৃত্যুর পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন-এটাই ছিল সহজ হিসাব-নিকাশ।

সূত্রমতে, শাসক আল সৌদ পরিবারের বেশ কয়েকজন যুবরাজ এবং যুবরাজ মোহাম্মদের চাচাতো ভাইয়েরা উত্তরাধিকারের সারিতে পরিবর্তন চান। তবে তারা এটাও জানেন, ৮২ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান বেঁচে থাকতে এটা সম্ভব না। প্রিয় পুত্র যুবরাজ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে বাদশাহর যাওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ।

এই পরিস্থিতিতে তারা সম্ভাব্য নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে। বাদশাহর মৃত্যুর পর তার একমাত্র জীবিত আপন ভাই ৭৬ বছর বয়সী যুবরাজ আহমেদ বিন আবদুলাজিজ সিংহাসনে আরোহণ করতে পারেন বলে সেই সব আলোচনায় উঠে আসছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, যুবরাজ আহমেদের ব্যাপারে পরিবারের অন্য সদস্য, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা যন্ত্র ও কিছু পশ্চিমা শক্তি সমর্থন দিতে পারে।

আড়াই মাস বিদেশে থাকার পর অক্টোবরে দেশে ফিরেছেন যুবরাজ আহমেদ। তার সফরের সময় লন্ডনে তার বাসার সামনে আল সৌদ রাজবংশের পতন চেয়ে বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় তিনি সৌদি নেতৃত্বের সমালোচনা করেছিলেন বলে জানা গেছে।

দুটি সূত্র জানিয়েছে, রাজপরিবারের ৩৪ জন জ্যেষ্ঠ সদস্যদের নিয়ে গঠিত অ্যালেজিয়ান্স কাউন্সিলের মাত্র যে তিনজন গত বছর যুবরাজ মোহাম্মদের ক্রাউন প্রিন্স হওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন, তাদের একজন আহমেদ। সিংহাসনের জন্য ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকার মনোনয়নের জন্য গঠন করা হয় এই অ্যালেজিয়ান্স কাউন্সিল।

হাউস অব সৌদে শত শত যুবরাজ রয়েছেন। ইউরোপের রাজপরিবারের মতো সেখানে উত্তরাধিকার হিসেবে বাবার মৃত্যুর পর বড় ছেলে ক্ষমতাসীন হন না। রাজ্যের প্রথা অনুসারে, বাদশাহ ও পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা নেতৃত্বের জন্য যাকে যোগ্য মনে করেন, তাকে উত্তরাধিকার মনোনীত করেন।

বাদশাহ মারা গেলে বা শাসন করার মতো সক্ষমতা না থাকলে ৩৪ সদস্যের অ্যালেজিয়ান্স কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুসারে দেশ পরিচালিত হবে। সেখানে যুবরাজ মোহাম্মদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাদশাহ হওয়ার সুযোগ নেই। সিংহাসনে আরোহণের জন্য তার কাউন্সিলের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।

বাদশাহর ইচ্ছা অনুসারে, যুবরাজ মোহাম্মদকে ক্রাউন প্রিন্স করা হলেও বাবার মৃত্যুর পর তাকেই বাদশাহ করা হবে, বিষয়টি তা নয়। মার্কিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সৌদি উপদেষ্টাদের আভাস দিয়েছেন যে, সিংহাসনে আরোহণের ব্যাপারে তারা যুবরাজ আহমেদকে সমর্থন দিতে পারেন। আহমেদ ৪০ বছর ধরে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

এই আলোচনার ব্যাপারে সরাসরি জানেন-এমন সূত্রগুলো জানিয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তাদের আস্থা রয়েছে যে আর্থসামাজিক যেসব পরিবর্তন এনেছেন এমবিএস, সেগুলোয় কোনো পরিবর্তন আনবেন না যুবরাজ আহমেদ, সামরিক অস্ত্র কেনাবেচার চুক্তি বহাল রাখবেন এবং পরিবারের একতা পুনরুদ্ধার করবেন।

অবশ্য যুবরাজের আর্জেন্টিনা ভ্রমণের আগে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আর্জেন্টিনার প্রসিকিউটরদের অনুরোধ জানিয়েছে, খাশোগি হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বে হামলার ঘটনায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনে যেন যুবরাজের সালমানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। তবে এ বিষয়ে আর্জেন্টিনার প্রসিকিউটররা কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না -তা এখনও স্পষ্ট নয়। বহির্বিশ্বে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের যখন এই অবস্থা ঠিক এই মুহূর্তে সৌদি সেনাবাহিনীর সদস্যদের রিয়াদে জড়ো হওয়ার জন্য বলা হলো।

এসএইচ-১৮/০১/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক, তথ্য সূত্র: ডেইলি মেইল)

শুধুমাত্র নগ্ন হলেই মিলবে লোন

শুধুমাত্র নগ্ন

চটজলটি ঋণ চাই? দু’টি শর্ত পূরণ করলেই চলবে— এক, আপনাকে হতে হবে যুবতী। দুই, আপনার একটি নগ্ন সেলফি পাঠেতে হবে ঋণদাতা সংস্থার কাছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘ভাইস.কম’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, চিনের বেশ কিছু মাইক্রোলোন সংস্থা চালু করেছে ‘নেকেড লোন সার্ভিস’। আর এই শর্তগুলিতে রাজি হচ্ছেন দলে দলে তরুণী।

খবরে প্রকাশ, চিনে তরুণ প্রজন্মের কাছে নগদ টাকার চাহিদা সাংঘাতিক। আর সেই কারণেই এমন বিচিত্র শর্তে রাজি হচ্ছেন ঝাঁকে ঝাঁকে তরুণী। ‘নেকেড লোন সার্ভিস’-এর মূল জায়গাটি হল এই— ঝণগ্রহিতা যদি ঋণ পরিশোধে ঝঞ্ঝাট পাকান, তা হলে তাঁর নগ্ন সেলফি প্রকাশ করে দেবে সংস্থা।

২০১৬ নাগাদ ১৬১ জন তরুণীর এমন নগ্ন ছবি অনলাইনে প্রকাশ করে দেয় মাইক্রোলোন সংস্থাগুলি। এই সব তরুণীদের বয়স ১৯ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। এদের নেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ১,০০০ থেকে ২,০০০ মার্কিন ডলারের মধ্যে। ‘চায়না ইউথ ডেলি’-র খবর অনুযায়ী, ২০১৭-এ ‘নেকেড লোন সার্ভিস’-এর ব্যবসা ছিল রমরমা।

বলাই বাহুল্য এই ধরনের ঋণ ব্যবসা বেআইনি। ‘নেকেড লোন সার্ভিস’-এর বাড়বাড়ন্ত চিন্তায় ফেলেছে গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের সরকারকে। ভোগ্যপণ্যের প্রতি তরুণ প্রজন্মের ক্রমবর্ধমান চাহিদাই যে এই কাণ্ডের পিছনে, তা জানাচ্ছেন চিনা অর্থনীতিবিদরা। আপাতত এই ধরনের সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার চেষ্টায় রয়েছে চিন সরকার।

আরএম-১০/০১/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্যসূত্র: এবেলা)

ওষুধ ছাড়াই স্বাভাবিক উপায়ে ছোট স্তন বড় করুন এভাবে

ছোট স্তন বড়

জিনগত কারণে বা অন্যকিছু আনুষঙ্গিক কারণে অনেকেরই স্তনের আকার স্বাভাবিকের থেকে ছোট থাকে ৷ এই কারণে হিনমন্যতায় ভোগেন অনেক মেয়েরাই ৷ আসলে সুন্দর, সুডৌল স্তন নারীর সৌন্দর্য্যের একটি অন্যতম দিক ৷ তাই সকলেরই মনের মধ্যে সুন্দর সুগঠিত স্তনের অধিকারী হওয়ার ইচ্ছেটা থেকেই যায় ৷

সুন্দর স্তন পেতে অনেকেই ওষুধ খান, অনেকে আবার অস্ত্রোপচারের উপর নির্ভর করেন ৷ কিন্তু কয়েকটি ঘরোয়া উপায়েই বাড়িয়ে তোলা যাবে আপনার স্তনের আকৃতি ৷ সেগুলি জেনে নিন-

ডায়েট: স্তনের আকার বৃদ্ধি করতে ডায়েটে রাখুন ফ্যাট আর উচ্চ পরিমাণে ইস্ট্রজেন রয়েছে এমন খাবার ৷ যেমন দুধ , সয়াবিন, পেঁপে, এই গুলো আপনার স্তনের আকার বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করবে । স্তনের কোষ মূলত চর্বি দিয়ে তৈরি তাই এই ফ্যাট বা চর্বি জাতীয় খাবার খুব কার্যকরী ।

শারীরিক অনুশীলন: কিছু ব্যায়াম রয়েছে যা স্তনের আকার বৃদ্ধিতে দারুণ সাহায্য করে ৷ তাই নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে ৷ এক্ষেত্রে যে কয়েকটি কসরত করা জরুরি, সেগুলি হল- পুশ আপ, চেস্ট প্রেস বা ওয়াল পুশ আপ, ওয়েট লিফ্টিং ইত্যাদি ৷

যোগাসন: এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খুব ভাল কাজ দেয় যোগাসনও ৷ যে যোগাসন অবশ্যই করা উচিৎ সেগুলি হল- উষ্ট্রাসন ও ভুজঙ্গাসন ৷

মালিশ: নিয়মিত স্তন মালিশ করতে হবে ৷ তিসি বীজ, মৌরি ও মেথির রস, তিনটিই খুব উপকারী ৷ যে কোনও একটি বীজ বেটে যে কোনও তেল দিয়ে স্তন মালিশ করলে ধীরে ধীরে স্তনের সাইজ বড় হবে ৷

এছাড়াও রয়েছে আরও কয়েকটি উপায় ৷ প্যাড দেওয়া ব্রা পরতে হবে, সঠিক মাপের ব্রা পরতে হবে ৷ খুব টাইট ব্রা পরা যাবে না ৷ এমন পোশাক পড়ুন যার গলার আকার বড় ৷ সব সময় শিরদাড়া শক্ত করে সোজা হয়ে বসুন বা দাঁড়ান ৷

আরএম-০৯/০১/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: নিউজ১৮)

বাংলাদেশে হবে ২০১৯ আইপিএল!

আইপিএল ভারতের তথা পৃথিবীর জনপ্রিয় ক্রিকেট লিগ। এই ক্রিকেট লিগ ভারতে নিয়ে আসে উৎসব উৎসব আমেজ। তবে আগামী মৌসুমের আইপিএলের সাথে ভারতের সাধারণ নির্বাচনের তারিখ এক হওয়াতে ভারতের বাইরে আইপিএল অনুষ্ঠিত হবার সম্ভাবনা বেশি।

ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, আইপিএল ২০১৯ এর আসর হবার সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। তবে সম্প্রতি ভারতীয় জনপ্রিয় ক্রিকেট গনমাধ্যম ক্রিকেট ট্র্যাকার প্রকাশ করেছে ভিন্ন প্রতিবেদন।

তাদের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকায় নয় ২০১৯ আইপিএল আসর বসতে পারে আরব আমিরাত অথবা বাংলাদেশে। তবে মধ্যে প্রাচ্যের দেশটি থেকে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এগিয়ে থাকার তিনটি কারণও দেখিয়েছে তাদের সেই প্রতিবেদনে।

কারণগুলো হচ্ছে-

১. ক্রিকেট সর্মথিত দেশ ও প্রচুর ক্রিকেট ভক্ত
২. সময়ের ব্যবধান
৩. কন্ডিশন

প্রসঙ্গত, এর আগেও ভারতের বাইরে অনুষ্ঠিত হয়েছে আইপিএল। ২০০৯ সালে সাধারণ নির্বাচনের জন্য পুরো আইপিএল অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। অন্যদিকে ২০১৪ সালে আইপিএল এর প্রথম অর্ধেক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

এসএইচ-১৭/০১/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

ধনী ব্যক্তি সালমানের বাড়ি নেই, অাসবাব নেই!

চীনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হুরুন গ্লোবাল এর তালিকা অনুযায়ী পৃথিবীর ধনী ব্যক্তিদের একজন হলেও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমানের নিজস্ব কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। নেই কোনো আসবাবপত্র ও বৈদেশিক মুদ্রা।

শুধু তাই নয় নিজের, স্ত্রীর বা নির্ভরশীলদের কারোরই বাড়ি-আসবাবপত্র নেই। এমনকি ব্যক্তিগত গাড়িও নেই কারো। নিজের নামে যানবাহন থাকার কথা বললেও স্ত্রী কিংবা নির্ভরশীলদের কোনো যানবাহন নেই। এমনকি তিনি ঋণ খেলাপী তো দূরের কথা ব্যাংক থেকে কোনো ঋণই গ্রহণ করেননি। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর হলফনামায় তিনি এমনটাই উল্লেখ করেছেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীকের সম্ভাব্য এ প্রার্থী হলফনামায় নিজের নাম উল্লেখ করেছেন-সালমান ফজলুর রহমান, বাবা ফজলুর রহমান, মা সৈয়দা ফাতিনা রহমান। স্থায়ী ঠিকান-বেথুয়া, মুকসুদপুর, দোহার, ঢাকা। সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-১ আসনের প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন গত ২৭ নভেম্বর।

বর্তমানে তার নামে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। অতীতের মামলার তথ্য হলফনামায় উল্লেখ না করলেও পৃথকভাবে সংযুক্তি করেছেন। শিক্ষাগত যোগ্যতায় তিনি নিজেকে স্নাতক পাস উল্লেখ করেছে। পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন, তিনি ঢাকার ধানমন্ডির বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান।

সালমান এফ রহমানের তার বার্ষিক মোট আয় ৯ কোটি ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার ৬২৮ টাকা দেখিয়েছেন। এর মধ্যে বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট বা দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে আয় দেখানো হয় ৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। যদিও ‘নিজ নামে, স্ত্রীর নামে, নির্ভারশীলদের নামে, যৌথমালিকানায় তার কেনো বাড়ি বা এপার্টমেন্ট এবং আসবাবপত্র নেই’ বলেও উল্লেখ করেছেন।

বলেছেন-‘আমি একক বা যৌথভাবে আমার ওপর র্নিভরশীল কোনো সদস্য অথবা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর বা ডিরেক্টর হওয়ার সুবাদে আমি কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করি নাই।’

তবে নিজের নামে ৮৩ কোটি ৭৯ লাখ ৫৩ হাজার ৪১০ টাকার দায় দেনা আছে। আর স্ত্রীর নামে ১৩ কোটি ৫লাখ ২৭ হাজার টাকা দায়-দেনা আছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।

অস্থাবর সম্পদ হিসেবে তিনি বলেছেন, তার কোনো কৃষি জমি নেই। নিজ নামে ২ কোটি ৩ লাখ ১২ হাজার ৬৮৭ টাকার এবং স্ত্রীর নামে ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩ হাজার ৭০৮ টাকার অকৃষি জমি আছে।

৮ লাখ ৫৩ হাজার ১৭৯ টাকার আবাসিক/বাণিজ্যিক দালান আছে নিজ নামে। স্ত্রীর নামে নেই। তবে স্ত্রীর নামে ২৫ কোটি ১৯ লাখ ৭১ হাজার ৮৪৯ টাকার বিল্ডিং কন্সট্রাকশন আছে।

স্থাবর সম্পত্তির বর্ণনায় তিনি বলছেন- নিজের কাছে নগদ ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আছে। আর স্ত্রী কাছের নগদ আছে ৬০ হাজার টাকা। নিজের কাছে, স্ত্রীর কাছে কিংবা নির্ভরশীল কারো কাছেই বৈদেশিক মুদ্রা নেই। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ১২৮ টাকা নিজ নামে এবং স্ত্রীর নামে ৪৫ লাখ ৫১ হাজার ১০৯ টাকা জমা আছে। স্ত্রীর নামে না থাকলেও নিজের নামে বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার আছে ২৫০ কোটি ৮৪ লাখ ৮১ হাজার ৬৩৬ টাকার। নিজের নামে বাস, ট্রাক, মোটর গাড়ি, লঞ্চ, স্টিমার, বিমান ও মোটরসাইকেল ইত্যাদি আছে ৩৪ লাখ টাকার। স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ও পাথর নির্মিত অলংকারাদি তার নিজের নামে আছে ১৫ লাখ ৫ হাজার টাকার আর স্ত্রীর নামে আছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার।

সালমান এফ রহমান বার্ষিক আয় হিসেবে ব্যবসা থেকে ৬ লাখ টাকা দেখিয়েছেন। এছাড়া শেয়ার/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত ডিভিডেন্ট থেকে ৪ কোটি ২৫ লাখ ৮৭ হাজার ৭৭৮ টাকা, চাকরি (সম্মানী ভাতা) থেকে ৪১ লাখ ৯২ হাজার ২০০ টাকা, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানির বোনাস শেয়ার ও আইএফআইসি ব্যাংকের বোনাস শেয়ার বাবদ ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫০ টাকা আয় দেখিয়েছেন। তিনি ও তার স্ত্রী কোনো রকম সুদ ছাড়াই আত্মীয়-স্বজন ও বিভিন্ন কোম্পানিকে ৩৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৮ হাজার ১৯১ টাকা ঋণ দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছেন।

সালমান এফ রহমান ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার কাছে হেরেছেন। ২০০৬ সালে এক-এগার সরকারের সময় গ্রেফতার হন সালমান এফ রহমান। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ২০০৯ সালে তিনি ছাড়া পান।

এসএইচ-১৬/০১/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : পূর্বপশ্চিম)

তাবলিগের দু’পক্ষে সংঘর্ষে আহত ২ শতাধিক : ইজতেমা বন্ধ

টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহতের সংখ্যা বেড়ে দুই শতাধিক ছাড়িয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ইসমাইল হোসেন (৭০) নামে ওই মুসল্লী সা’দ অনুসারী বলে জানা গেছে। তিনি মুন্সিগঞ্জের নীলপাড়া এলাকার খলিল মন্ডলের ছেলে। শনিবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক একথা জানিয়েছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোর রাত থেকেই বিশ্ব ইজতেমা মাঠে মাওলানা জুবায়ের সমর্থিত তাবলীগ জামাতের মুসল্লিরা অবস্থান করছিলেন। ফজরের নামাজের আগে থেকে সাদপন্থী মুসল্লিরা লাঠি, ছাতা ও ব্যাগ নিয়ে ইজতেমা মাঠের অন্যদিক দিয়ে প্রবেশ করতে শুরু করে। ফজরের নামাজের পর থেকে সাদপন্থী মুসল্লিরা জুবায়েরপন্থী মুসল্লিদের ইজতেমা মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে।

এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় চলা সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয়পক্ষের দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। তাদেরকে টঙ্গী আহসানুল্লাহ মাস্টার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে বাড়ছে আহতের মিছিল। হাসপাতালের মেঝেতে রেখে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতো সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সরকারি হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে ভীড় বাড়ছে স্থানীয় ক্লিনিকগুলোতে। ইজতেমা ময়দানের চারদিকের প্রবেশপথে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এর জের ধরে ৭টা থেকে বিমানবন্দর সড়কের গাজীপুরে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে তারা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বিমানবন্দর সড়কের একপাশ রাস্তা অবরোধ করে রাখায় কুড়িল বিশ্বরোড থেকে শুরু করে বিমানবন্দর পর্যস্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আজম আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর জের ধরে শনিবার সকালে এক পক্ষ গাজীপুরের দিকে যাওয়ার সময় অপর পক্ষ তাদের বাধা দেয়। এসময় তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর তাবলীগ জামাতের এক পক্ষ বিমানবন্দর সড়কের একপাশ বন্ধ করে রেখেছে।

তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয়েছে। তবে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

তাবলিগ জামাতের সা’দবিরোধীরা আগে থেকেই টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান দখল করে রেখেছেন। সাদ অনুসারীরা শুক্রবার রাত থেকে ইজতেমা ময়দানে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেন সা’দবিরোধীরা। এর জের ধরে তাবলীগ জামাতের এক পক্ষ বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে।

এদিকে নির্বাচনের আগে নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইজতেমা আয়োজন বন্ধ করতে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, মহানগর পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার সকালে টঙ্গীতে তাবলীগ-জামাতের দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনার পরপরই এ চিঠি দেয়া হয়।

এর আগে শনিবার ভোর রাত থেকেই বিশ্ব ইজতেমা মাঠে মাওলানা জুবায়ের সমর্থিত তাবলীগ জামাতের মুসল্লিরা অবস্থান করছিলেন। ফজরের নামাজের আগে থেকে সাদপন্থী মুসল্লিরা লাঠি, ছাতা ও ব্যাগ নিয়ে ইজতেমা মাঠের অন্যদিক দিয়ে প্রবেশ করতে শুরু করে। ফজরের নামাজের পর থেকে সাদপন্থী মুসল্লিরা জুবায়েরপন্থী মুসল্লিদের ইজতেমা মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে।

এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় চলা সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয়পক্ষের দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। তাদেরকে টঙ্গী আহসানুল্লাহ মাস্টার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে বাড়ছে আহতের মিছিল। হাসপাতালের মেঝেতে রেখে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতো সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সরকারি হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে ভীড় বাড়ছে স্থানীয় ক্লিনিকগুলোতে। ইজতেমা ময়দানের চারদিকের প্রবেশপথে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এর জের ধরে ৭টা থেকে বিমানবন্দর সড়কের গাজীপুরে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে তারা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বিমানবন্দর সড়কের একপাশ রাস্তা অবরোধ করে রাখায় কুড়িল বিশ্বরোড থেকে শুরু করে বিমানবন্দর পর্যস্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

এসএইচ-১৫/০১/১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

নিরীহ টমেটো ক্যানসার প্রতিরোধেও দারুণ উপকারী, রয়েছে আরও গুণ

টমেটো ক্যানসার

টমোটোর গুণাগুণ অপরিসীম ৷ ত্বক ও চুলের জন্য খুব উপযোগী টমেটো। দূষণের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ত্বক ও চুল। কাঁচা টমেটো খেলে এক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যায়।

টমেটো খেলে হাড় শক্ত হয়। টমেটোয় রয়েছে ভিটামিন K ও ক্যালশিয়াম। হাড়ের জন্য এই দু’টিই খুব উপকারী।

ক্যানসার প্রতিরোধেও কাজ দেয় টমেটো। এর লাইকোপেন উপাদান ক্যানসারের কোষকে বাড়তে দেয় না। বিশেষত পাকস্থলী, প্রোস্টেট ক্যানসারে টমেটো খুব কাজে দেয়।

ধূমপান ছাড়ার জন্যও টমেটো অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু টমেটোয় রয়েছে কোমেরিক অ্যাসিড ও ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড। ধূমপানের ফলে দেহে যে ক্ষতি হয়, তা রোধ করতে সাহায্য করে টমেটো। তাই শুধু অ্যাক্টিভ স্মোকিং নয়, প্যাসিভ স্মোকিং থেকে রক্ষা পেতেও টমেটো অত্যন্ত উপকারি।

আরএম-০৬/০১/১২ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)

কেন সমালোচিত বেকহ্যাম?

ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সাবেক ফুটবল তারকা ডেভিড বেকহ্যাম। তিনি তাঁর ফ্যাশন নিয়ে সমালোচিত।সম্প্রতি ইন্সটাগ্রামে নিজের মেয়ের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে সমালোচিত হয়েছেন। বেকহ্যাম বলতেই চোখের সামনে ভেসে উঠে দুর্দান্ত সব ফ্রি-কিক।

মাঠেই শুধু নয়, মাঠের বাইরেও বেকহ্যাম অসংখ্য নারীর হৃদয়ে ঢেউ তুলেছেন নিজের সৌন্দর্য দিয়ে। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে তার সাত বছরের কন্যা হার্পারের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি। তাতে দেখা যায়, কন্যার ঠোঁটে হালকা স্পর্শে চুম্বন করতে।

কিছুক্ষন পরেই ছবিটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে আসতে থাকে নানান বিতর্কিত মন্তব্য। নিজের মেয়ের কপালে বা গালেই চুমু খাওয়া উচিত, কখনোই ঠোঁটে নয়, এমনও মন্তব্য করেন কেউ কেউ। কেউ কেউ বলেন, চুমুটা বেকহ্যামের স্ত্রী ভিক্টোরিয়ার প্রাপ্য ছিল, কখনই হার্পারের নয়!

যদিও এই সমালোচনার বিরুদ্ধে গিয়ে বেকহ্যামের পাশেও দাঁড়িয়েছেন সমর্থকেরা। অনেকে বলেন, এটা খুবই সাধারণ ও সুন্দর একটি ছবি। বাবা তার মেয়েকে এমন চুমু খেতেই পারে। আর মেয়েটিও অনেক ছোট। বাবা-মেয়েকে খুবই সুন্দর লাগছে।

কেউ কেউ লিখেছেন ৩৫ বছর বয়সে কন্যা তো বাবাকে এমন চুমু খেতেই পারে। এতে খারাপের কিছু নেই।

এসএইচ-১৪/০১/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)