পুলিশের ঘুষের কথা জানলো পুলিশ!

বগুড়ায় পুলিশের দুই সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) স্ট্যান্ড রিলিজ (তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার) করা হয়েছে। পুলিশের একটি সূত্র বলছে, কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষ লেনদেন ঠেকাতে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মুঠোফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল।

পুলিশ সদর দফতরের সেই ফাঁদে ধরা পড়েছেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এবং জেলা পুলিশের রিজার্ভ অফিসের দুই এএসআই। তবে কেন তাদের প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি বগুড়ার এসপি আলী আসরাফ ভূঞা।

এসপি বলেন, বুধবার পুলিশ সদর দফতরের চিঠি পাওয়ার পর দুই এএসআইকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে পুলিশ সদর দফতরের আদেশে কারণ উল্লেখ না থাকায় কেন তাদের স্ট্যান্ড রিলিজ করা হলো তা আমার জানা নেই।

জানা গেছে, বুধবার পুলিশ সদর দফতরের এক আদেশে তাদের বগুড়া থেকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। স্ট্যান্ড রিলিজ হওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন বগুড়া ডিবি পুলিশের এএসআই শওকত আলম ও রিজার্ভ অফিসের এএসআই ফারুক হোসেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশ সদর দফতরের একটি সূত্র বলছে, পুলিশ সদর দফতর টেলিফোনে আড়ি পেতে কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঘুষ লেনদেনে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেয়েই ওই দুই এএসআইকে স্ট্যান্ড রিলিজ করেছে।

তবে স্ট্যান্ড রিলিজ হওয়া ডিবি পুলিশের এএসআই শওকত আলম জানান, পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে অর্থ লেনদেনের ব্যাপারে তিনি মুঠোফোনে কারও সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। কোন অপরাধে তাকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে সেটাও বুঝতে পারছেন না। তারপরও তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ প্রমাণিত হলে শাস্তি মাথা পেতে নেবেন তিনি।

প্রসঙ্গত, জেলা পুলিশে এ বছর সাধারণ কোটায় ৫৪ জন ও বিশেষ কোটায় ১৮৫ জন কনস্টেবল নিয়োগ হবে। গতকাল বুধবার থেকে কনস্টেবল নিয়োগে প্রার্থী বাছাই শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার লিখিত পরীক্ষা হচ্ছে। কনস্টেবল নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবার পুলিশ সদর দফতর থেকে জেলা পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়।

বিএ-০৭/০৪-০৭ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)