বগুড়ায় শিশুসহ ৭ করোনা রোগী শনাক্ত

করোনা শরীরে

লকডাউন বগুড়ায় নতুন করে এক শিশুসহ সাতজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় ১২ করোনা রোগী শনাক্ত হলো।

এ ঘটনায় আক্রান্তদের বাড়ি ছাড়াও আশপাশে কিছু বাড়ি ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নতুন করে বগুড়া শহরের সবুজবাগ এলাকার এক ব্যক্তি (৪০), নন্দীগ্রামের শিশুকন্যা (১২), ধুনটে যুবক (২২), দুপচাঁচিয়ার বৃদ্ধ (৬০), সারিয়াকান্দির যুবক (২৮), সোনাতলার যুবক (৪৫) ও শাজাহানপুরের বি-ব্লক এলাকার এক নারী (২৭) করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন।

সূত্র জানায়, গত ২১ এপ্রিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় সারিয়াকান্দির নারচির এক দম্পতি, সোনাতলার আচারেরপাড়ার এক গৃহবধূর করোনাভাইরাস রিপোর্ট আসে।

এর আগে আদমদীঘি উপজেলার এক পুলিশ কনস্টেবল ও এক অটোরিকশাচালক রয়েছেন। বুধবার দুপচাঁচিয়ায় উপজেলার তালুচ গ্রামে আক্রান্ত ওই বৃদ্ধ আদমদীঘিতে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যের নানা শ্বশুর।

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, বুধবার সিভিল সার্জনের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, উপসর্গহীন করোনাভাইরাস আক্রান্তরা নিজ নিজ বাড়ি থেকে ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেবেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। জেলায় মোট ১২ জন আক্রান্ত হলেও বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আইসোলেশনে পাঁচ পজিটিভসহ ১০ রোগী ছিলেন। এদের মধ্যে একজনকে ছুটি দেয়া হবে।

চতুর্থবারের পরীক্ষায় নেগেটিভ রংপুরের শাহ আলমও এখানে আছেন। গত ১৫ এপ্রিল তার পঞ্চম নমুনা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সেখান থেকে রিপোর্ট আসেনি। এবার তার নেগেটিভ এলে তাকে ছুটি দেয়া হবে। এ ছাড়া আরও তিনজনের নমুনা শজিমেক হাসপাতাল পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকেও রিপোর্ট আসেনি।

ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, গত ২১ এপ্রিল বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল পিসিআর ল্যাবে যে তিনটি নমুনা পুনরায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল বুধবার সেগুলো পজিটিভ হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এখানে গত ২০ এপ্রিল করোনাভাইরাস শনাক্ত করার কার্যক্রম শুরুর পর বুধবার পর্যন্ত ৮৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি পজিটিভ এসেছে। এদের স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

স্থানীয় প্রশাসন করোনাভাইরাস পজিটিভদের বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি ও রোগী ভর্তি থাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন ঘোষণা করেছে।

বিএ-০৬/২৩-০৪ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)