তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাঁচ বছর আগে আয়েশা খাতুন নামে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচ আসামিকে মৃতুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রইবুনাল-২ এর বিচারক মো. শওকত আলী এ রায় দেন। একই সঙ্গে আদালত তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নয়ন কর্মকার রবিদাস, নিতাই চন্দ্র রবিদাস, প্রশান্ত রবিদাস, সুভাষ দাস ও প্রশান্ত রবিদাস। প্রত্যেকেরই বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক রয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আঞ্জুমান আরা জানান, আদালতে ১৪ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য ও যুক্তি তর্ক শেষে বিজ্ঞ বিচারক পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড, অনাদায়ে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১৩ জুন সন্ধ্যার পর সদর উপজেলার কালিনগর বাবলাবোনা গ্রামের মফিজুল ইসলামের মেয়ে আয়েশা খাতুন মামার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। পরের দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের মহাসড়কের পাশের একটি গর্তের পানিতে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে আয়েশার পরিবার কোনো মামলা না করলে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম আকতার বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের নামে একই বছরের ৯ আগস্ট মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ওই সালের ১৪ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) সরোয়ার রহমান।

বিএ-১০/১৮-০৪ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)