বিশ্বকাপে তরুণদের উপর ভরসা করে দল সাজিয়েও সেরা সার্ভিস পাচ্ছে না বাংলাদেশ। বরং অভিজ্ঞ মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ এখনো ভরসার প্রতীক। পরিসংখ্যানে পেসারদের অবস্থা যাচ্ছে তাই। ম্যাচ উইনার না থাকায় সবার সম্মিলিত পারফরম্যান্সে দল হয়ে খেলতে না পারার খেসারত দিচ্ছে টাইগাররা।
বিশ্বকাপ যাত্রার প্রায় মাঝপথে বাংলাদেশ। যে তরুণরা ছিল শুরুর আগে শক্তির নাম। তারাই এখন বোঝা। তামিমকে বাদ দেয়া আর মাহমুদউল্লাহকে নিতে না চাওয়ার ভুলগুলো কি বুঝতে পারছে বিসিবি ও টিম ম্যানেজমেন্ট?
সেই মাহমুদউল্লাহ দুঃসময়ের কান্ডারি। তিন ইনিংসে দুই ফিফটিতে বুড়ো হাড়ের ভেল্কি দেখাচ্ছেন মুশফিকুর রহিমও। সাকিব আল হাসান বড় স্কোর করতে না পারলেও যে তিন ম্যাচ খেলেছেন উইকেট নিয়েছেন প্রতিটিতেই।
বিপরীতে তুরুপের তাস ভাবা হচ্ছিল যেসব তরুণদের তারা হতাশ করে চলেছেন নিয়মিত। ৪ ম্যাচে ৬৮ রান তাওহীদ হৃদয়ের নামের পাশে বেমানান। তানজিদ তামিম শেষ ম্যাচে রান পেলেও অধারাবাহিক। একই হাল নাজমুল হোসেনের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে অর্ধশতকের পর ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড আর ভারতের সঙ্গে দু’অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
যে পেস অ্যাটাক নিয়ে এত স্বপ্ন, সম্ভাবনা তাদের কেউই দ্যুতি ছড়াতে পারেননি। তাসকিন, মোস্তাফিজ, শরিফুল, হাসান মাহমুদ। চার ম্যাচে এ চার পেসারের উইকেট সবমিলিয়ে মাত্র ১০।
বিশ্বকাপে অভিজ্ঞতার মূল্য পাচ্ছে বাংলাদেশ। সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহদের তুলনায় ম্লান জুনিয়রদের পারফরম্যান্স। তাইতো যতই সময় যাচ্ছে স্পষ্ট হচ্ছে তামিম ইকবালের অভাব।
এসএইচ-০৭/২২/২৩ (স্পোর্টস ডেস্ক)