বিদেশ ভ্রমনের টুকরো স্মৃতি পর্ব-৩

বিদেশ

জি. এম. মুরতুজা: ২০১৯ সালের আগষ্ট এবং অক্টোবর মাসে ARROW-এর আমন্ত্রণে WORTH Innovation Lab Programme-এ অংশ নিতে আমার দুইবার মালয়েশিয়াতে যাওয়ার সুযোগ ঘটে। এনিয়ে আমার মালয়েশিয়াতে চারবার যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। প্রতিবার এই দেশটিতে গেছি আর বারবার মুগ্ধ হয়েছি।

আমার মনে হয় যারা এই দেশটি গেছেন, তারাও ঠিক একই কথা বলবেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় দেশটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এত দ্রুত গতিতে এই দেশটিতে অবকাঠামোগত উন্নতি ঘটছে যে, আমি অন্যান্য দেশে গিয়ে এমনটি দেখি নাই। আর দেশটির উন্নয়নের পিছনে অবদান রেখে চলেছেন প্রায় ১৫ লাখ বৈধ অবৈধ বাংলাদেশী শ্রমজীবী প্রবাসী।

মালয়েশিয়া একটি উন্নয়নশীল দেশ, কিন্তু আমি ইউরোপের কোন দেশের সাথে এই দেশটির কোন পার্থক্য করতে পারিনি কোনদিক দিয়েই। বরং ইউরোপের যে কোন দেশের তুলনায় এখানকার জীবনযাপন ব্যয় অনেক কম। কিন্তু নাগরিক সুযোগ সুবিধা প্রায়ই সমান বলা চলে।

শুধুমাত্র খাবারের কথা বললেও বলতে হয়, ঢাকায় একটা সাধারণ মানের রেস্টুরেন্টে দুপুরের লাঞ্চ অথবা রাতের ডিনার করতে যে টাকা খরচ হয়, তার চেয়ে কুয়ালালাপুরের একটি রেস্টুরেন্টের খরচ কম। খরচও কম আবার খাবারের মানও অনেক অনেক ভলো ও সুস্বাদু। কুয়ালালাপুরের প্রায় প্রতিটি এলাকায় রয়েছে অনেক বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট।

আমি এই রেস্টুরেন্টগুলোতে খেয়ে কিশোরকালে খাবারের স্বাদ ফিরে পেয়েছি। আহা! শুধু করলা ভাজি, আলু ভর্তা, মুশরের ডাল আর ইচ্ছা পরিমান ভাত দিয়ে অনায়াসে দুপুরের লাঞ্চ অথবা রাতের ডিনার সেরে ফেলা যায় তৃপ্তিসহকারে খেয়ে। খরচ মাত্র চার রিঙ্গিত।

এরসাথে আপনি যেকোন মাছ বা মাংস নিলে বাড়তি দিতে হবে আরো দুই রিঙ্গিত। ছয় রিঙ্গিত খরচ করলে আপনি গলা ডুবিয়ে লাঞ্চ অথবা ডিনার সেরে ফেলতে পারবেন। আর খাবার খেলে মনে হবে আপনার মায়ের হাতের রান্নার স্বাদ। আহা!!! আমায় যেন মালয়েশিয়া টানছে। করোনা মহামারী শেষ হলেই চলে যাবো এই প্রিয় দেশটিতে।

[ইচ্ছে আছে সময় সুযোগ পেলে মালয়েশিয়া ভ্রমনের টুকরো টুকরো স্মৃতিগুলো লেখার।]