কেউ এগিয়ে না আসায় করোনায় মৃত নারীকে গোসল করালেন ইউএনও!

করোনায়

জি. এম. মুরতুজা: করোনায় আক্রান্ত হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান এক নারী। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় এই নারীর লাশ শুক্রবার বিকেলে পৌঁছে দেয়া হয় পিরোজপুরের কাউখালীর উজিয়ালখান গ্রামের বাড়ীতে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাড়িতে পড়েছিল এই নারীর লাশ। করোনার ভয়ে স্বজনরা তাকে ছুঁয়েও দেখিনি। কাছে আসেনি প্রতিবেশীরাও।

এই মর্মাত্মিক খবর পেয়ে এই বাড়ীতে ছুটে আসেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খালেদা খাতুন রেখা। সঙ্গে আসেন দুই স্বেচ্ছাসেবী মাহাফুজা মিলি ও শামীমা আক্তার । স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে দুই স্বেচ্ছাসেবীর সহযোগিতায় ইউএনও খালেদা খাতুন রেখা নিজ হাতে করোনায় মৃত নারীকে ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী গোসল করিয়ে কাফনের কাপড় পরান। এরপর রাত ১২টার দিকে উজিয়ালখান গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন করা হয় ওই নারীর মরদেহ।

এই মহৎ কাজটি করার জন্য আপনাকে স্যালুট জানায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খালেদা খাতুন রেখাকে। আপনিই আসলে যোগ্য প্রশাসক। একজন মানবিক মানুষ। অথচ আপনারই একজন সহকর্মী মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুনা লায়লাকে “আপা” বলে সম্বোধন করাই পিটানো হয়েছে তপন চন্দ্র দাশ নামক এক ব্যবসায়ীকে। কি অদ্ভুত বৈচিত্র মানুষ মানুষে। কত বৈপরিত্ব প্রশাসনে থাকা একজন থেকে অন্যজনে। একজন মহৎ কাজ করে প্রশংসার বন্যায় ভাসে, অন্যজন জনগনের ধিক্কারে কুলষিত হোন।