গ্রামে প্রতিদিন খনন করা হচ্ছে নতুন নতুন কবর!

গ্রামে

জি. এম. মুরতুজা: সারা বাংলাদেশের কবরস্থানগুলোতে প্রতিদিন নতুন নতুন কবর খনন করা হচ্ছে, দাফন করা হচ্ছে অনেক করোনা সংক্রমিত মানুষের লাশ। শুধুমাত্র রাজশাহীর গোদাগাড়ীর দুটি কবরস্থানে সম্প্রতি দাফন করা হয়েছে ৭৮ জন করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির লাশ।

এদের অনেকে হাসপাতালে যাওয়ার আগেই করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। অনেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করলেও, পরিবারের পক্ষ থেকে ভয়ে জানানো হচ্ছে না। আবার অনেকে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করলেও করোনা পরীক্ষা করা হয়নি। ফলে সরকারী মৃত্যুর তালিকায় এদের নাম উঠেনি।

বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছিল, কেবলমাত্র শহরের মানুষই করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন। এই ধারণা ভুল প্রমান করে এখন গ্রামাঞ্চলে ৬০ শতাংশ মানুষ করোনায় সংক্রমিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। গ্রামের সহজ সরল মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলেও কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই মৃত্যুবরণ করছেন।

আবার যারা বুঝতে পারছেন, তারা চিকিৎসা নিতে ছুটে আসছেন শহরের হাসপাতালগুলোতে। অনেকে হাসাপাতালে আসার আগেই মারা যাচ্ছেন। সবারই একটাই উপসর্গ হচ্ছে প্রচন্ড স্বাসকষ্ট। গ্রামাঞ্চলে যে এ্যাম্বুলেন্সগুলো আছে, তার বেশীরভাই নাই অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা।

ফলে অক্সিজেনের অভাবে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন হাসপাতালে আসার আগেই। আবার অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মারা যাচ্ছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপতালের পরিচালক জানিয়েছেন, এখন গ্রাম থেকেই বেশী আসছে করোনা সংক্রমিত রুগী। এদের সংখ্যা ৬০ শতাংশ।

ফলে গ্রামে করোনা নাই বলে যারা এতদিন তৃপ্তির ঢেকুর তুলছিলেন, তাদের ঘুম হারাম হওয়ার জোগাড়। কেননা গ্রামের সহজ সরল কেটে খাওয়া মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলে কৃষিক্ষেত্রে বড় চাপ তৈরী হবে। যা মোকাবেলার সক্ষমতা আমাদের গ্রামের হাসপাতাল বা স্বাস্থসেবা কেন্দ্রগুলোতে নাই। এরজন্য সরকারের উচিত হবে এখনই গ্রামে করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করা।