এর দায় আপনারা এড়াতে পারেন না!

আপনারা

জি. এম. মুরতুজা: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এখন মৃতু্পুরি। এই হাসপাতালে এখন প্রতিদিন গড়ে ১০ জন করোনা রুগীর মৃত্যু হচ্ছে, যা দেশে মোট মৃত্যুর ২৫ ভাগের কাছাকাছি। তবে এই হিসাবটি যারা কেবল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসারত অবস্থায় মত্যুবরণ করছেন তাদের নিয়ে।

এর বাইরে প্রতিদিন আরো অনেক মানুষের করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হচ্ছে রাজশাহীতে। ইনারা অনেকে হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হওয়ার আগেই মারা যাচ্ছেন। অনেকে হাসপাতালে যাওয়ার পথে মারা যাচ্ছেন। আবার অনেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে নিজ বাড়ীতেই মৃত্যুবরণ করছেন।

এসব মৃত্যুর হিসাব ধরলে প্রতিদিন রাজশাহীতে গড়ে ১৫ থেকে ২০ জনের মত করোনায় মৃত্যুবরণ করছেন। ধারনা করা হচ্ছে রাজশাহীর ৩০ শতাংশের উপরে মানুষ এখন করোনা পজিটিভ।

আরো কত অকাল মৃত্যু যে দেখতে হবে তা মনে হলেই মনটা একবুক কষ্টে ভরে যাচ্ছে। অথচ এমন হওয়ার কথা ছিল না। আমরা যারা করোনা প্রতিরোধে কাজ করছি, তারা মে মাসের শেষ দিক থেকেই রাজশাহীতে কঠোর লকডাউন দেয়ার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানিয়েছি রাজশাহীর প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিগণের নিকট।

রাজশাহীর স্বাস্থ্যবিভাগ ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকেও রাজশাহীতে কঠোর লকডাউন দেয়ার জন্য সরকারের উপর মহলে অনুরোধ জানানো হয়েছে বারবার।

চাঁপাই নবাবগঞ্জে লকডাউন দেয়ার পরেও রাজশাহীর প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিগণ অজ্ঞাত কারনে রাজশাহীতে লকডাউন দিতে অনেক গড়িমসি করেছেন। আজ যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মৃতু্পুরিতে পরিনত হয়েছে, রাজশাহীতে করোনায় মৃত্যুর যে মিছিল শুরু হয়েছে- এর দায় রাজশাহীর প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিগণ এড়াতে পারেন না।

আপনারা ঠিকই রাজশাহীতে লকডাউন দিলেন, কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে যাওয়ার পর। এরজন্য নি:সন্দেহে একদিন আপনাদের জবাবদীহি করতে হবে। হয়তো এখন আপনাদের জবাবদীহি করার কোন প্লাটফর্ম নেই। তবে এসব অকাল ও করুন মৃত্যুর দায় আপনাদের নিতেই হবে!