এসব ছবি ভাইরাল না করে, পাশের বাসার ময়লা পরিস্কার করুন

এসব ছবি ভাইরাল

অঞ্জনা ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক সময়ের জনপ্রিয় মুখ। বর্তমানে তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যকরী কমিটিতে রয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে শিল্পী সমিতির যে কর্মসূচি সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হয়েছে সেখানে প্রথম সারিতে ছিলেন অঞ্জনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ওই ছবিতে অঞ্জনাকেও হাতে ঝাড়ু ধরা অবস্থায় দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে কথা দেশের জনপ্রিয় গণমাধ্যমের সাথে বলেছেন এই অভিনয়শিল্পী। হুবহু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

এমন কর্মসূচি কেন, যেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় তুলল? 

আপনার হাতে একটা মোবাইল আছে আর ফেসবুক আছে, আপনি সেখানে যা খুশি তাই লিখে দিতে পারেন। তাই বলে সব ভাইরাল হয়ে যাবে তা কিন্তু না। আমাদের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে আমি জানি। কিন্তু এই ভাইরালটা কারা করছে? আমি বলবো অবশ্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এসব। সরকারের ভালো কাজের সমালোচনা করে যারা, তারা এসব ছবি ভাইরাল করে। নিজেরা কাজ করবে না, কিন্তু সিভিল সোসাইটির যারা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এগিয়ে আসবে তাদের সমালোচনা করতে ছাড়বে না।

ভাইরাল ছবির কথা বাদ দিলাম, আপনাদের সম্পূর্ণ কর্মসূচি কী ছিল?

আসলে আমি আগেই বলেছি কর্মসূচি একটা প্রতিকী বিষয়। আমরা সকলকে সচেতন করতে চাই। এজন্য আমরা এফডিসির জঙ্গল পরিস্কার করেছি। এরপর ফগার মেশিন দিয়ে ধোঁয়া দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী মহোদয় ডেঙ্গু সচেতনতার জন্য বক্তব্য দিয়েছেন, আমরাও কথা বলেছি।

কিন্তু পরিস্কার রাস্তা ঝাড়ু দিতে গেলেন কেন? 

ওই যে বললাম আমাদের বেশ কয়েকটি কাজের মধ্যে ভাইরাল হয়েছে এক দুটো ছবি। আমি এর আগেও বললাম কিছু প্রতিকী কর্মসূচি পালন করেছি। সাধারণ মানুষ জন যাতে আশেপাশের ময়লা পরিস্কার করে। এরা নিজেরা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় অংশ নেবে না কিন্তু সমালোচনায় সবার আগে থাকবে। আমি বলবো আপনারা এসব ছবি ভাইরাল না করে আপনার বাসার জমে থাকা আবর্জনা পরিস্কার করুন, কাজে লাগবে। এসব ভাইরাল করে কিছু হবে না।

ডেঙ্গু বিষয়ে আপনি ব্যক্তিগতভাবে কতটুকু দায়িত্ব পালন করেছেন বা করছেন?

দেখেন আমি বাসার কাজের সকলকে মশারি কিনে দিয়েছি। তারা কড়াইল বস্তিতে থাকে। সেখানে মশার উৎপাত অনেক। কোনোভাবেই মশারি ছাড়া থাকা যাবে না। আমি বলেছি তাদের বাচ্চা-কাচ্চাও বযেন এখন বাইরে খেলতে না যায়। আর সবসময় ঘুমানোর সময় যেন মশারি টানিয়ে ঘুমায়, শুনেছি এখন রাতেও এডিস মশা কামড়ায়, আইঅ্যাম নট সিওর। আশেপাশের সকলের জন্য আমরা পক্ষ থেকে যা করার তা করছি।

আপনাদের আর নতুন কিংবা আসন্ন কোনো কর্মসূচি রয়েছে? 

দেখুন ডেঙ্গু কিন্তু এখন আর একটা দেশে নেই, বিশ্বের ১০০ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের দেশে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। এখন নিজের জায়গায় থেকে সবাইকে কাজ করতে হবে। আর আমাদের পরিকল্পনা একটা রয়েছে। যেহেতু এখন প্রচুর রক্ত প্রয়োজন হচ্ছে, আমরা একটা রক্ত ক্যাম্পেইনের অনুষ্ঠান করতে চাই। আমাদের সভাপতি (মিশা সওদাগর) নেই, সাধারণ সম্পাদকের (জায়েদ খান) সঙ্গে শিগিগির আমাদের বসা হবে।

ধন্যবাদ, ফের অন্য বিষয় নিয়ে অন্য কোনোদিন কথা হবে… 

আপনি ভালো থাকুন, ডেঙ্গু থেকে দূরে থাকুন।

আরএম-১১/০৪/০৮ (বিনোদন ডেস্ক, তথ্যসূত্র: কালের কন্ঠ)