ছেলে-মেয়ের সামনেই বিয়ে করলেন ‘হঠাৎ বৃষ্টি’র নায়িকা

ছেলে-মেয়ের

বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৯৮ সালে। আর সেই ছবি দিয়ে দুই বাংলার সিনেমায় অভিষেক ঘটে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের। তার সঙ্গে ছবিটিতে নায়িকা হিসেবে ছিলেন মিস ক্যালকাটা খ্যাত প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদী।

ছবির প্রধান নারী চরিত্রে ছিলেন শ্রীলেখা মিত্র ও জুন মালিয়া। রাজস্থানী যুবতীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জুন। জনপ্রিয় গান ‘সোনালী প্রান্তরে’-তে ফেরদৌস যখন ঠোঁট মেলান তখন রাজস্থানী নাচে দর্শকের মন ভরিয়েছেন এই নায়িকা।

এবার গেল শনিবার (৩০ নভেম্বর) দীর্ঘদিনের বন্ধু তথা ব্যবসায়ী সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাত পাকে বাধা পরেন তিনি। দুই পরিবারের উপস্থিতিতেই আয়োজন হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। আমন্ত্রিত ছিলেন টলি পাড়ার বেশ কয়েকজন ব্যক্তিত্ব।

বেনারসি কিংবা জমকালো সাজ নয়, লাল পোশাকেই একেবারে ছিমছাম সাজে দেখা গেল জুনকে। সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের পরনে ছিল সাদা স্যুট। বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা গেল জুনের দুই ছেলে মেয়ে শিবাঙ্গিনী ও শিবেন্দ্রকেও। মায়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে তারাও সেজেছিলেন লাল পোশাকেই। অনুষ্ঠানে স্ত্রী শুক্লা ও মেয়ে সোনিকাকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক অরিন্দম শীল। তিনি জুনের বিয়ের বেশকিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন।

সম্প্রতি অরিন্দম শীলের ‘মিতিন মাসি’ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় জুন মালিয়াকে। ছবিতে বিনয় পাঠকের বিপরীতে অভিনয় করেন জুন।

জুন মালিয়ার মেয়ে শিবাঙ্গিনী ও ছেলে শিবেন্দ্রও দুজনেই এখন বেশ বড়। বিবাহ-বিচ্ছেদের পর তাদেরকে একা হাতেই বড় করেছেন জুন। শোনা যায়, তাদের কথা ভেবেই সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে টানা ১৪ বছর সম্পর্কে থাকার পরও তিনি বিয়ের সিদ্ধান্ত নেননি।

বর্তমানে জুনের দুই ছেলেমেয়েই বেশ বড়। তারা নিজের ক্যারিয়ারে প্রতিষ্ঠিত। জুনের মেয়ে শিবাঙ্গিনী কাজ করছেন সহ পরিচালক হিসাবে, আর ছেলে শিবেন্দ্র পাইলট। তবে অবশেষে দীর্ঘদিনের বন্ধুকে বিয়েটা করেই ফেললেন জুন।

আরএম-১০/০৪/১২ (বিনোদন ডেস্ক)