গরিবের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান

গরিবের পাশে

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আতঙ্ক। ধীরে ধীরে বাড়ছে আক্রান্তের হার। মৃত্যুতালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেকোনো সংকটে বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে দেখা যায়। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এবারের করোনা-সংকটেও বিত্তবানেরা এগিয়ে আসবেন, এ আশা চলচ্চিত্র সংশিষ্টদের।

স্বাস্থ্য বিভাগ জনসাধারণকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। বাংলাদেশে এরই মধ্যে লকডাউন করা হয়েছে একাধিক এলাকা। তবে অর্থাভাবে, জীবিকার তাগিদে বাসায় থাকতে পারছেন না দিনমজুরদের অনেকে। একমুঠো ভাতের জন্য কাজের জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা।

এ প্রসঙ্গে বরেণ্য অভিনেতা, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘সবাইকে নিজের সাধ্যমতো সবার পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি। কারণ আমাদের দেশের দিনমজুর, যাঁরা একমুঠো খাবারের জন্য কাজের খোঁজে বাসা থেকে বের হচ্ছেন, তাঁদের পাশে না দাঁড়ালে দেশে আরো বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।’

সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন এগিয়েছেন। এঁদের মধ্যে আমি অনন্ত জলিল ভাইয়ের কথা বলব। তিনি ২৬ মার্চ এফডিসিতে অসচ্ছল শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিজ উদ্যোগে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, যেমন—চাল, ডাল, তেল, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ মাস্ক বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন। আমি মনে করি, এখন সময় এসেছে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। দেশের বিত্তবানদের অনুরোধ করব, আপনারা সবাই মিলে জাতীয় দুর্যোগ তহবিল গঠন করুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তিনি যেন সবার সহযোগিতা নিয়ে এমন একটি তহবিল গঠন করেন, যাতে সাধারণ দিনমজুরদের পাশে দাঁড়ানো যায়। তাঁদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া যায়।’

চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাত বলেন, ‘আমি একজন ক্ষুদ্র শিল্পী, আমি নিজ উদ্যোগে কাজ করছি। অথচ আমাদের দেশে সিনিয়র শিল্পী রয়েছেন, যাঁরা প্রচুর টাকার মালিক। তাঁরা কেন মাঠে নামছেন না? আমি নায়ক ফারুক ভাই, আলমগীর ভাই, ববিতা আপা, শাকিব খানসহ আরো বিত্তবান শিল্পীদের বলব, আপনারা এখন সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান। শুধু টাকা দিয়ে নয়, তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিন। আমাদের দেশে বড় বড় কোম্পানি রয়েছে, যারা সারা বছরই বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে অনুদান দেয়। আমি তাদের অনুরোধ করব, আপনারা দিনমজুরদের পাশে দাঁড়ান।’

আরএম-১৮/২৪/০৩ (বিনোদন ডেস্ক)