সংবাদকর্মীদের বের করে দেওয়া হয় সুমনের গানের অনুষ্ঠান থেকে

ঢাকার মঞ্চে ২০০৯ সালের ১৬ অক্টোবর শেষবার গান করেছিলেন আধুনিক বাংলা গানের পথিকৃৎ কবীর সুমন। ঠিক ১৩ বছর পরে ফের বাংলাদেশে গাইলেন এই সংগীতশিল্পী।

যদিও কবির সুমনের বাংলাদেশে এসে গান গাওয়া নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল বেশ আলোচনা-সমালোচনা। রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে ১৫-১৮ অক্টোবর পর্যন্ত কবীর সুমনের গানের তিনটি অনুষ্ঠানের সূচি ঘোষণা করে আয়োজক প্রতিষ্ঠান পিপহোলের কর্মকর্তারা। জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ১৫ অক্টোবর আধুনিক বাংলা গান, ১৮ অক্টোবর বাংলা খেয়াল ও ২১ অক্টোবর আধুনিক বাংলা গান পরিবেশনের কথা ছিল। সে অনুযায়ী অনুষ্ঠানের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির কাছে। কিন্তু অনুমতি মেলেনি। পরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে গান করার অনুমতি পায় আয়োজকরা।

বলা যায় অনেকের প্রত্যাশা ছিল এসব নিয়ে গান গাইতে এসে মুখ খুলবেন কবির সুমন। কিন্তু না এসবের কিছুই না বরং ছোট্ট বয়ান শেষে গেয়েছেন গান। শুরুতে শোনালেন ‘একেকটা দিন’। এরপর একে একে গেয়ে গেলেন ‘পুরানো সেই দিনের কথা’, ‘হাল ছেড় না বন্ধু’ ‘তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা’, যদি ভাবো কিনছো আমায়’।

গান গাইতে গাইতে হঠাৎ গেলেন বিরতিতে। এরপরই অনুষ্ঠানস্থল থেকে আয়োজকরা বের করে দেয় গণমাধ্যমকর্মীদের! এতে প্রচণ্ড বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় আয়োজকদের প্রতি। টিকিট অব্যবস্থাপনা, অডিটোরিয়াম জটিলতা এবং সংবাদকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্য আচরণের কারণে আগে থেকেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান পিপহোল।

শেষ পেরেকটা ঠুকে দিল সুমনের প্রথম দিনের আয়োজনের আধা ঘণ্টার মধ্যে সংবাদকর্মীদের বের করে দেয়ার মাধ্যমে। এই বিষয়ে আয়োজকদের বক্তব্য এমন, সাংবাদিকদের আধাঘণ্টা সুযোগ দেয়া হলো সংবাদ সংগ্রহ ও ভিডিও ফুটেজের জন্য। তারা তো টিকিট কাটা দর্শক নন। ফলে তাদের উপস্থিতির কারণে টিকিট-কাটা দর্শকদের সংগীত উপভোগে ব্যাঘাত ঘটবে!

অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে শনিবার বিকেল সোয়া পাঁচটায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের মঞ্চে ওঠেন কবীর সুমন। গান শুরু করার আগে ছোট্ট বক্তব্যে তিনি বললেন, তার কিছু না পারার কথা। শোনালেন বাংলাদেশ নিয়ে অদ্ভুত এক অনুভূতির কথা।

এসএইচ-১৬/১৫/২২ (বিনোদন ডেস্ক)