কুকুরছানা হত্যাকান্ডে থানায় মামলা

ভারতের এনআরএস হাসপাতাল চত্বরে ১৬টি কুকুরছানা হত্যায় এন্টালি থানায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হল। তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপার। হাসপাতালের ডেপুটি স্পিকার আশ্বাস দিয়েছেন, দোষীরা চিহ্নিত হলেই তাদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে বেলগাছিয়া পশু চিকিৎসালয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পাওয়া গিয়েছে বিষ নয়, পিটিয়েই খুন করা হয়েছে ১৬টি কুকুর ছানাকে। ১২টি কুকুরের যকৃতে আঘাত পাওয়া গিয়েছে এবং চারটে কুকুরের মাথায় আঘাত পাওয়া গিয়েছে।পুলিশ ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে এক সন্দেহভাজন ছাত্রীকে চিহ্নিত করেছে।তাকে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।

রোববার দুপুরে এনআরএস–এর নার্সিং হস্টেলের পিছনে বর্জ্য পদার্থের স্তুপের ভিতর একটি বস্তার মধ্যে ১৭টি কুকুরছানা উদ্ধার হয়। তার মধ্যে মাত্র একটিই জীবিত আছে। সেটিকে পশু চিকিৎসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বাকি ১৬টি কুকুরছানার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের হস্টেল থেকে তোলা ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, হাতে সার্জিক্যাল গ্লাভস্‌ পরা দুই মহিলা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারছে কুকুরছানাগুলিকে। এনআরএস এবং ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, প্রথমে খাবারে বিষ মিশিয়ে দেওয়া হয় কুকুরছানাগুলিকে। তারপর অর্ধ অচেতন কুকুরছানাগুলিকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে দুই মহিলা।

কয়েকজনকে কামড়ানোর জন্যই কুকুরছানাগুলিকে মারা হয়েছে বলে দাবি করেছিল অভিযুক্তরা, অভিযোগ ছাত্রছাত্রীদের। পিটিয়ে মারার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই তীব্র ধিক্কার জানিয়েছে পশুপ্রেমী সংগঠন এবং সমাজের বিশিষ্টজনেরা।পুলিশ এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২৯, ২০১ এবং পশু হিংসা আইনের ১১এল ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

এসএইচ-০২/১৫/১৯ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : আজকাল)