নানি আর দুই খালাকে খুঁজতে জামালপুরে নেদারল্যান্ডসের তরুণী

নানি আর দুই খালাকে

মা লিপি বেগমের হারানো পরিবারের খোঁজে বাংলাদেশে এসেছেন নেদারল্যান্ডসের তরুণী নওমি উইলেমসেন (২১)। বুধবার নানী এবং দুই খালার সন্ধানে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার কাজিয়ারচর ও কাজিরবাড়ি গ্রামে আসেন তিনি।

এর আগে গত বছর মা আর বোনকে খুঁজতে স্বামী জেসপিয়ার উইলেমসেনকে নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন লিপি বেগম। আর এবার তাদের খুঁজে বের করতে জামালপুরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মেয়ে নওমি।

নওমি বলেন, আমি আশাবাদী যে আমার নানি আর দুই খালাকে খুঁজে পাব। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা চাই।

নওমির সঙ্গে আসা ভারতের আইনজীবী অঞ্জলি পাওয়ার জানান, ১৯৭৪ সালে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার কাজিয়ারচর গ্রাম বা কাজিরবাড়ি গ্রামের মো. আরসি শেখ দুই মেয়েসহ তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী সখিনা বেগমকে রেখে মারা যান।

তার মৃত্যুর দুই মাস পর এক কন্যাশিশুর জন্ম দেন সখিনা বেগম। মেয়ের নাম রাখা হয় লিপি বেগম। কিন্তু তিন মেয়েকে লালনপালন করা কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে তার। এ জন্য সখিনা বেগম নিরুপায় হয়ে তিন মাস বয়সী শিশু লিপি বেগমকে ঢাকার একটি অরফানেজ ট্রাস্টে রেখে আসেন।

১৯৭৭ সালে নেদারল্যান্ডসের একজন নাগরিক ঢাকার একটি অরফানেজ থেকে লিপি বেগমকে দত্তক নিয়ে নিজ দেশে নিয়ে যান। বড় হওয়ার পর থেকেই তার মা-বোনের খোঁজ করতে থাকেন লিপি বেগম।

এ কারণে জন্মের প্রায় ৪৪ বছর পর গত বছর স্বামী জেসপিয়ার উইলেমসেনকে নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন লিপি বেগম।

ঢাকার ওই অরফানেজ ট্রাস্টের ঠিকানার সূত্র ধরে মাদারগঞ্জের কাজিয়ারচর ও কাজিরবাড়ি গ্রাম ঘুরে পরিবারের কথা জানতে পারেন তিনি। তবে মা-বোনদের খুঁজে পাননি তিনি। তাই মেয়ে নওমি এসেছেন মায়ের পরিবারকে খুঁজে বের করতে।

হাসপাতালে মুরগির ছানাকে বাঁচাতে নিয়ে যাওয়া সেই শিশুকে দেয়া হল সংবর্ধনা

সম্প্রতি একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ছবিটিতে দেখা যায় একটি ছোট্ট মুরগির ছানাকে বাঁচাতে হাসপাতালে একটি শিশু। এ সময় দেখা যায় এক হাতে মুরগিছানা অন্য হাতে ১০ টাকার নোট হাতে।

জানা গেছে, প্রবল মনুষ্যত্ব নিয়ে জন্মানো শিশুটির নাম ডেরেক সি লালছানহিমা। ভারতের মিজোরামের এই বছর সাতেকের শিশুটির প্রশংসায় এখন নেটিজেনরা।

এদিকে ভারতের মিডিয়াগুলো তেমন পাত্তা না দিলেও ডিজিটাল মিডিয়ার দৌলতে এখন তার বিশ্বজোড়া খ্যাতি। তার মনুষ্যত্বকে যথারীতি সম্মান জানালো তার স্কুল। স্থানীয় একটি স্কুলের ক্লাস ওয়ানের ছাত্র ডেরেক।

৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার স্কুলে তাকে ফুলের তোড়া, উত্তরীয় দিয়ে সম্মান জানানোর পাশাপাশি দেওয়া হয় প্রশংসাপত্রও।

এর আগে অসাবধানতা বসত তার নিজের সাইকেলেই চাপা পড়েছিলো মুরগির ছানাটি। তত্‍ক্ষণাত্‍ ছানাটিকে উদ্ধার করা বাড়িতে নিয়ে আসে সে। বাবা মায়ের কাছে কাতর আকুতি ছিল ছানাটিকে ঠিক করে দেওয়ার।

বাড়ির লোকেরা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে সেটি বেঁচে নেই। এরপরই নাছোড় ডেরেক নিজের জমানো ১০ টাকা নিয়ে হাজির হয় হাসপাতালে।

আরএম-১১/০৭/০৪ (অনলাইন ডেস্ক)