হীরায় মোড়ানো গাড়ি, কেউ ছুঁলেই জরিমানা লাখ টাকা

এক ঝলক দেখলেই আপনি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকবেন ঝলমলে হীরাখচিত গাড়ির দিকে। এমন একটি গাড়ি যার সবটুকুই হীরায় মোড়ানো।

সে এক অপরূপ সৌন্দর্য! গাড়ির উপরে সামান্য আলো পড়লেই যেন ঝলমলিয়ে উঠছে। এমন গাড়ি দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে।

তবে ভুল করেও ছুঁয়ে দেখতে যাবেন না। তাহলেই গুনতে হবে জরিমানা। তাও আবার এক বা দুই টাকা নয় এক লাখ টাকা নগদ দিতে হবে। নিশ্চয়ই এতোক্ষণে টের পেয়েছেন, এমন গাড়ি ব্যবহার করার সামর্থ্য শুধু ধনকুবেরদেরই আছে।

ঠিক তেমনই সৌদি আরবের যুবরাজ আল-ওয়ালিদ বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তিনি একজন ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীও।

শুধু সৌদিতেই ৩টি প্রাসাদ আছে তার। তবে তিনি মধ্য রিয়াদের প্রাসাদেই দিন যাপন করেন বেশি। জানা যায়, ওই প্রাসাদে অন্তত ৩১৭টি ঘর আছে।

বিশালাকার প্রাসাদটি তৈরিতে তার খরচ হয় ১৩ কোটি ডলার। বিভিন্ন দেশ ভ্রমণে যুবরাজ ব্যক্তিগত বিমানেই যাতায়াত করেন।

আকাশপথে ভ্রমণের জন্য তার যেমন ব্যক্তিগত বিমান আছে ঠিক তেমনই জলপথের জন্যও আছে একটি বিশাল প্রমোদতরী।

যার মূল্য ৫০ কোটি ডলার। এছাড়াও তার সংগ্রহে আছে অন্তত ২০০টি বহুমূল্যের গাড়ি। যার মধ্যে আছে রোলস রয়েস, ল্যাম্বরগিনি, ফেরারি’র মতো দামি গাড়ি।
তার শত শত গাড়ির তালিকায় আরও আছে ডায়মন্ড কার বা হীরাখচিত গাড়ি। জানা যায়, ওই গাড়ি কেউ ভুলে ছুঁয়ে ফেললেও জরিমানা বাবদ গুনতে হয় লাখ টাকা!

গাড়িটি মার্সিডিজ বেঞ্জ। তবে গাড়ির আগাগোড়া হীরার মতো কেলাস দিয়ে মোড়ানো। অন্তত ৩ লাখ কেলাস বসানো আছে গাড়িতে। দু’সপ্তাহ ধরে মোট ১৩ জন বিশেষজ্ঞ গাড়িটি হীরা দিয়ে সাজান।

মার্সিডিজ এসএল৬০০ মডেলের এই গাড়ির দাম ৪৮ লাখ ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৪১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ২০০৭ সালে দুবাইয়ের একটি প্রদর্শনীতে মার্সিডিজের ৫০ তম জন্মদিন উপলক্ষে গাড়িটি দেখানো হয়েছিল।

তারপরই সেটি কিনে নেন যুবরাজ। পুরোটাই হীরায় মোড়ানো থাকায় আলো পড়লেই ঝলমলিয়ে ওঠে গাড়িটি।

এসএইচ-১২/২৬/২১ (অনলাইন ডেস্ক)