সোনার গহনা পরলে যা হয়

সোনা অনেকেই সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে মনে করেন। কেউবা আবার শখ করেই সোনা পরতে ভালোবাসেন। কিন্তু সোনা পরলে কি জীবনে সৌভাগ্য আসে বা এর কোনো ক্ষতিকর প্রভাব কি রয়েছে–এ সম্পর্কে আপনি কতটুকু জানেন একবার ভেবে দেখেছেন?

জ্যোতিষীরা বলছেন, আধ্যাত্মিক পরিসরে বিভিন্ন ধরনের ধাতু, রত্ন বা পাথরের গুণাগুণের কথা বহুল প্রচলিত। এগুলোর মধ্যে স্বর্ণালংকার সবচেয়ে বেশি প্রসিদ্ধ। মনে করা হয়, অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে সোনা বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। পাশাপাশি রয়েছে সোনা পরার কুফলও।

সোনা পরার সুফল পেতে হলে তা পরতে হবে সঠিক নিয়মে। সঠিক নিয়মে স্বর্ণালংকার পরিধান আমাদের জীবনকে সৌভাগ্য এবং সমৃদ্ধিতে ভরে তুলতে সাহায্য করে।

জ্যোতিষবিদ্যায় মনে করা হয়, সোনা যেকোনো শক্তি এবং তাপ শোষণ করার ক্ষমতা রাখে। সর্দি-কাশির সমস্যা থাকলে কনিষ্ঠা আঙুলে সোনা পরা যেতে পারে। নাম, খ্যাতি বা মর্যাদার চাহিদা থাকলে মধ্যমায় সোনা পরা উচিত।

কাজে মনোনিবেশ করতে তর্জনীতে, বিয়ের জন্য চেন বা কানের দুল, গর্ভধারণে অনামিকায় সোনা পরতে পারেন। তবে যারা গর্ভবতী, বয়স্ক, পেটের সমস্যায় ভুগছেন, তারা সোনা পরা থেকে বিরত থাকুন।

যাদের রাশিতে বৃহস্পতি উচ্চপদে রয়েছে, তাদের সোনা পরা উচিত নয় বলে মনে করছেন জ্যোতিষীরা। স্বপ্নে সোনা দেখাকেও অশুভ বলে মনে করেন তারা।

যেকোনো স্থানে সোনা পরা গেলেও কোমরের নিচে বা অ্যাঙ্কলেট হিসেবে সোনা পরা এড়িয়ে চলা ভালো। মাথার আশপাশে কখনোই সোনা রেখে ঘুমানো উচিত নয় বলে মনে করেন তারা।

রাশি অনুযায়ী সোনা পরার মধ্যে কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। যেমন: মেষ, কর্কট, সিংহ ও ধনু রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য সোনা খুবই শুভ ধাতু। বৃশ্চিক ও মীন রাশির জন্য সোনা অবশ্য এ ক্ষেত্রে মিশ্র ফল দেয়।

তবে বৃষ, মিথুন, কন্যা ও কুম্ভ রাশির জন্য সোনা মোটেও শুভ নয়। বিশেষ করে তুলা ও মকর রাশির জাতকদের স্বর্ণালংকার পরিধান করা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

যেকোনো অশুভ শক্তি থেকে মুক্ত থাকার জন্য সোনা সবসময় লাল রঙের কাগজ বা কাপড়ে ঢেকে রাখা ভালো। ঘরে সোনা রাখার ক্ষেত্রে পূর্ব বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সোনা রাখলে তা শুভ ফল বয়ে আনে।

এসএইচ-২৮/১৪/২২ (অনলাইন ডেস্ক)