স্বামীর প্রেমিকার ওপর ঈর্ষান্বিত হয়ে সন্তানকে খুন!

তেইশ বছর বয়সী মা মার্তিনা পাত্তি দাবি করেছিলেন, তার চার বছরের মেয়ে এলেনাকে তিন মুখোশধারী বন্দুকের মুখে ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। একদিন পর পুলিশের ফরেনসিক কর্মীরা শিশুটির মরদেহ তার বাড়ির কাছেই খুঁজে পান।

প্রথমে মার্তিনা দাবি করেন, শিশুটিকে মুক্তিপণের জন্য অপহরণকারীরা নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার দক্ষিণ ইতালির কাতানিয়া প্রদেশের মাস্কালুসিয়া শহরে তার বাড়ির কাছে একটি মাঠে শিশুটির মরদেহ পাওয়া গেছে।

দ্রুত অভিযোগ গ্রহণ করলেও পুলিশ বিশ্বাস করেনি যে শিশুটিকে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করা হয়েছে। কারণ, শিশুটির পরিবার যথেষ্ট ধনী নয়।

পরে মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর মা মার্তিনা জিজ্ঞাসাবাদের সময় হত্যার কথা স্বীকার করেন পুলিশের কাছে। জায়গাটি আগ্নেয়গিরি মাউন্ট এটনার খুব কাছাকাছি, যেখানে লুকানো মরদেহটি পুলিশ খুঁজে পেয়েছিল। হত্যা ও মরদেহ লুকানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে মাকে।

পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে জানায়, রান্নাঘরের ছুরি দিয়ে এলেনাকে হত্যা করেন তার মা। মা মার্তিনা জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, ‘মেয়েকে ছুরিকাঘাত করার সময় আমার মনে কী হয়েছিল তা আমার মনে নেই।’

শিশুটির মা-বাবার মধ্যে সম্পর্ক খারাপ চলছিল। তারা আলাদা বসবাস করছিলেন বলে জানা গেছে। কাতানিয়া প্রদেশের মামলার আইনজীবীর তথ্যমতে, মার্তিনা স্বামীর বর্তমান প্রেমিকার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে এই খুন করতে পারেন। কারণ, এলেনার বাবার নতুন প্রেমিকা শিশুটিকে স্নেহ করতেন, যা সহ্য করতে পারেননি মার্তিনা।

পুলিশ জানায়, দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের সময় অপহরণের দাবি নিয়ে বিভিন্ন অসংলগ্ন বর্ণনা করেন মার্তিনা। এতে তাকে সন্দেহ করা হয়। পরে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মাস্কালুসিয়া শহরের মেয়র এনজো মাগ্রা বলেন, ‘আমি হতবাক। খবরটা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়লাম। এটি একটি অল্প বয়সী মায়ের নাটক; যা আমরা কখনো শুনতে চাই না।’

এসএইচ-১০/১৬/২২ (অনলাইন ডেস্ক)