পিরিয়ডসে আর ন্যাপকিন ব্যবহারের প্রয়োজন নেই

পিরিয়ডসে আর ন্যাপকিন

মহিলাদের জন্য সুখবর। এবার তাঁদের পিরিয়ডসের দিনগুলি হয়ে উঠবে আগের চেয়ে অনেক বেশি আরামদায়ক। বিজ্ঞানের আশীর্বাদে এখন মাসের ওই পাঁচদিন অস্বস্তিতে ভুগতে হবে না। সৌজন্যে মেনস্ট্রুয়াল কাপ।

বিজ্ঞাপনে চোখ রাখলেই দেখা যায়, আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে স্যানিটারি ন্যাপকিন। যা মহিলাদের স্বচ্ছলভাবে সমস্ত কাজ করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে। কিন্তু তার চেয়েও উন্নতমানের একটি বস্তু বাজারে বিকোচ্ছে। যার নাম মেনস্ট্রুয়াল কাপ। ভাবছেন তো, এটি আসলে কী? হ্যাঁ, অনেকের কাছেই এই বস্তুটি নতুন। যাঁরা এর ব্যবহার কিংবা উপকারিতা জানেন না, তাঁদের জন্য রইল এই প্রতিবেদন।

মেনস্ট্রুয়াল কাপ আসলে ন্যাপকিনের বিকল্প একটি বস্তু যা স্যানিটারি প্যাডের তুলনায় অনেক বেশি আরামদায়ক। একটি একটি ফ্লানেলের ন্যায় দেখলে। যা আপনার ভ্যাজাইনার প্রবেশ করে নিঃসৃত রক্তকে ধরে রাখে। ফলে পিরিয়ডসের দিনগুলিতেও ন্যাপকিন ব্যবহারের কোনও প্রয়োজন হয় না। এর বিশেষ কয়েকটি গুণ আছে।

স্যানিটারি ন্যাপকিনের তুলনায় এটি অনেক বেশি সময় ব্যবহার করা যায়। একবার কাপটি পরলে ১২ ঘণ্টা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। তবে আপনার যদি হেভি ফ্লো হয়, সেক্ষেত্রে ছয় থেকে আট ঘণ্টা এটি ব্যবহার করতে পারেন। এর সবচেয়ে বড় উপকারিতা হল, এতে জামাকাপড়ে দাগ লাগার কোনও সম্ভাবনা থাকে না।

স্যানিটারি ন্যাপকিনের ক্ষেত্রে যে আশঙ্কা মহিলাদের তাড়া করে নিয়ে বেড়ায়। আরও একটি কারণে ক্রমেই মহিলাদের পছন্দের বস্তু হয়ে উঠছে মেনস্ট্রুয়াল কাপ। তা হল, এটি পরে নিলে শরীরচর্চা থেকে নাচ, সাইকেল চালানো থেকে খেলাধুলো, সব কাজই করা যায় নির্দ্বিধায়। বারবার প্যাড বদলানোর ঝামেলা কিংবা দাগ লাগার ভয় থাকে না। শুধু তাই নয়, সস্তার প্যাড ব্যবহার করলে অনেক সময়ই ভ্যাজাইনার আশেপাশে ব়্যাশ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু কাপের ক্ষেত্রে এমন কিছুই হয় না। এবার জেনে নিন এটি ব্যবহারের পদ্ধতি।

একটি বাক্সে সুন্দরভাবে প্যাক করা থাকে এই মেনস্ট্রুয়াল কাপ। সেই বাক্সেই থাকে প্রয়োগ পদ্ধতি লেখা থাকে। এটি বিভিন্ন মাপের হয়। আপনার জন্য কোনটি পারফেক্ট সাইজ, তা জানতে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞর সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে পারেন। কাপটি ভ্যাজাইনাতে প্রবেশের আগে নিজের হাত অবশ্যই ভালভাবে ধুয়ে নিন। এরপর কাপটি গরম জলে ফুটিয়ে নিন।

তারপর কাপটি হালকাভাবে মুড়ে ধীরে ধীরে তা ভ্যাজাইনাতে প্রবেশ করান। ব্যবহার করা হয়ে গেলে তা আলতো হাতে চেপে বের করে ভালভাবে ধুয়ে নিন। একটি কাপ প্রায় দশ বছর ব্যবহার করা যায় অনায়াসে। দামও আপনার হাতের মুঠোয়। সাড়ে চারশো টাকা থেকেই শুরু এর দাম। বিভিন্ন মূল্যের কাপ বাজারে পাওয়া যায়। প্রথমবার ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটু অস্বস্তি হতে পারে। কিন্তু একবার এটিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করলে আর ন্যাপকিনে ফিরতে চাইবেন না।

আরএম-১২/২১/০১ (স্বাস্থ্য ডেস্ক, তথ্যসূত্র: সংবাদপ্রতিদিন)