কাশি দূর করার ঘরোয়া ৬ উপায়

বিভিন্ন কারণে আমাদের কাশি হয়ে থাকে। সর্দি-জ্বর তাড়াতাড়ি ভালো হলেও কাশি সহজে ভালো হতে চায় না। এ সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ভুগতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে অ্যালার্জি, অ্যাজমা, শুষ্ক আবহাওয়া ও ধূমপানের কারণেও কাশি হয়ে থাকে। এর দাপট কমাতে কেউ গরম পানিতে গার্গল করেন, কেউ আবার সিরাপ খান। তাতে সাময়িক উপশম হলেও ওষুধের প্রভাবে সারাদিন ঘুমের রেশ থেকে যেতে পারে। তবে ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে কাশি থেকে রেহাই পাওয়া প্রায় সম্ভব। যার জন্য মানতে হবে ঘরোয়া ছয়টি উপায়।

তুলসী পাতার রস শ্বাসযন্ত্রের যেকোনো সমস্যা মেটাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এ পাতার অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল যৌগ শুকনো কাশি কমাতে সাহায্য করে। মধুর সঙ্গে কয়েকটি তুলসী পাতা এমনি চিবিয়ে খেতে পারেন। না হলে তুলসী পাতার রস বের করে, তার মধ্যে মধু মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে।

শুকনো কাশির ক্ষেত্রে মধু খুবই উপকারী। ছোট থেকে বড় সবার জন্যই কার্যকর এটি। এক টেবিল চামচ মধু সারাদিনে তিন থেকে চারবার খেতে পারেন। শুধু মধু খেতে পারেন, আবার কখনও উষ্ণ গরম পানি অথবা চায়ের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে মধু।

হলুদের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ লবণ, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, লোহা প্রভৃতি যৌগ। তাই হলুদ খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শুকনো কাশির জন্য হলুদ খুব কার্যকরী। এক কাপ দুধের মধ্যে এক চা চামচ হলুদ মিশিয়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে খেতে পারেন। শুকনো কাশি কমাতে হলে কয়েক চামচ হলুদের রস খেয়ে নিন।

রসুনে অ্যালিসিন নামে একটি যৌগ থাকে, যা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যৌগ হিসেবে পরিচিত। রসুন চিবিয়ে খেলে অ্যালিসিন সক্রিয় হয়। এগুলো শ্বেত রক্তকণিকার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, ফলে সাধারণ সর্দি-কাশি যে ভাইরাসের জন্য হয়, সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। তাই প্রতিদিন একটি করে রসুনের কোয়া খেতে পারলে সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পেতে পারেন।

গলায় খুসখুসে ভাব দূর করতে ভালো কাজ করে আদা। দুই কাপ পানিতে কিছুটা আদা কুচি দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে এর সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে খেলেই গলার খুসখুসে ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আদা-মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান গলার গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া কমায় এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, আদা দিয়ে পানি ফুটিয়ে, সেই পানি দিয়ে গার্গল করতে পারলেও উপকার মিলবে। গার্গল করার আধঘণ্টা আগে ও পরে কোনো খাবার খাবেন না এবং কম কথা বলবেন। তা হলে অবশ্যই উপকার মিলবে।

লেবুতে ভিটামিন সি রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং পুষ্টির জন্য ভালো বলে বিবেচিত হয়। এটি বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা, বিশেষ করে মৌসুমি সমস্যা প্রতিরোধ করে। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পান করুন। এতে টক্সিন বের হয়ে যাবে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণে প্রদাহও প্রতিরোধ হবে।

এসএ-০১/৩১/২৩ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)