কলা বেশি পাকলে পুষ্টিও বেশি!

কলা বেশি পাকলে

কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আঁশ, কপার, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি সিক্স ও বায়োটিন আছে। এ কারণে ক্যানসার, অ্যাজমা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে পারে কলা। তবে আমরা যখন দেখি ঘরে আনা কলা কয়েক দিন পর বেশি পেকে কালো দাগে ভরে যায়, তখন সেগুলোকে দ্রুত ডাস্টবিনে ফেলে দেই। কিন্তু আমেরিকার করনেল ইউনিভার্সিটি কলেজ অব হিউম্যান ইকোলজির গবেষকদের মতে, অতি পাকা কলা প্রচুর পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। জেনে নিন নিয়মিত পাকা কলা খাওয়া জরুরি কেন।

ক্যানসার রোধ করে

পাকা কলার সবচেয়ে বড় একটি গুণ হলো এটি ক্যানসার রোধ করতে পারে। কলা বেশি পেকে গেলে তার উপর যে কালো দাগ পড়ে, তা টিউমার নেকরোসিস ফ্যাক্টর নামের উপাদান তৈরি করে, যা শরীরের ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষ ধবংস করে।

দেহকোষের ক্ষতি রোধ করে

অতি পাকা কলায় প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরের কোষ নষ্ট হওয়া রোধ করে। এতে রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে।

রক্তচাপ কমায়

বেশি পাকা কলায় সোডিয়াম কম ও পটাশিয়াম বেশি থাকে। তাই নিয়মিত অতি পাকা কলা খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে, রক্তনালীতে থাকা ব্লক দূর করে। এতে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ হয়।

বুক জ্বালা দূর করে

কলা বেশি পেকে গেলে তা অ্যান্টাসিডের কাজ করে। বাদামী বা কালোদাগ সহ বেশি পাকা কলা খেলে বুক জ্বালা কমে।

রক্ত স্বল্পতা প্রতিরোধ করে

অতি পাকা কলায় আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে, তাই অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে এটি।

শক্তি বাড়ায়

অতিরিক্ত পাকা কলায় প্রচুর কার্বোহাইড্রেট ও সুগার থাকে, যা শরীরে শক্তি যোগায়। দেড় ঘন্টা ব্যায়াম করার পর দুটি অতি পাকা কলা খেলে শক্তি ফিরে পাবেন আপনি।

হৃদরোগ প্রতিরোধ করে

কলায় পটাশিয়াম বেশি সোডিয়াম কম থাকে বলে বিশেষ করে অতি পাকা কলা কোলেস্টেরল মাত্রা ঠিক রাখে। কলায় থাকা আঁশ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। আর কলায় থাকা কপার ও আয়রন রক্ত ও হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

হজমের সমস্যা দূর করে পাকা কলা। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এটি খুবই কার্যকর।

হতাশা দূর করে

অতি পাকা কলায় বেশি পরিমাণে ট্রিপটোফান থাকে, যা খাওয়ার পর সেরোটোনিনে পরিণত হয়। এই উপাদান নার্ভাস সিস্টেমকে ঠান্ডা রাখে, হতাশা দূর করে মনে সতেজ ভাব নিয়ে আসে।

আরএম-১২/২৯/০৩ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)