যেসব অভ্যাস বদলালে কাছেও ঘেষবে না হৃদরোগ

যেসব অভ্যাস বদলালে

উন্নত বিশ্বের চেয়ে অনুন্নত বিশ্বে মানুষ হৃদরোগ ও স্ট্রোকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এবং মৃত্যুবরণ করছে। তার মূল কারণ অনুন্নত বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্যসচেতনতার অভাব, ভুল খাদ্যাভ্যাস, ভুল লাইফস্টাইল ও নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন।

৪০-ঊর্ধ্ব সব মানুষের হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত। মধ্যবয়সী বা বয়স্কদের নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে মস্তিষ্ক ও হার্টের অবস্থা এবং কার্যক্রম, রক্তচাপ, স্ট্রোক ও হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অন্য প্যারামিটারগুলো স্বাভাবিক আছে কি না, তা জেনে নেয়া উচিত।

হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত শরীরের অন্যতম অঙ্গটির নাম হৃৎপিণ্ড। আর স্ট্রোকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত শরীরের অঙ্গটির নাম মস্তিষ্ক।

বিভিন্ন কারণে আপনি হৃদরোগ ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে এই দুই রোগে আক্রান্ত হওয়ার জন্য আমাদের কিছু অভ্যাস দায়ী।

আসুন জেনে নেই যেসব অভ্যাস বদলালে কাছেও ঘেষবে না হৃদরোগ।

১. উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ ও মৃত্যুর অন্যতম কারণ। লাইফস্টাইল, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও ব্যায়ামের মাধ্যমেও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

২. আপনি হৃদরোগে ভুগলে ধূমপান পরিহার করুন। ধূমপান রক্তচাপের জন্য ক্ষতিকর। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে সিগারেটের নিকোটিন রক্তের শিরা বা উপশিরার ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

৩. শরীরের ওজন ঠিক রাখুন। শরীরের মাত্রাতিরিক্ত ওজনের সঙ্গে হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বাড়তি ওজন কমিয়ে আনার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসা বাঞ্ছনীয়। শরীরের ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

৪. জৈব শাকসবজি ও ফলমূল বেশি খাওয়া দরকার। খাসি ও গরুর গোশত যত কম খাওয়া যায়, তত ভালো। একদম বাদ দিতে পারলে আরও ভালো। প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাছ ও মুরগির গোশত ভালো। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী।

৫. কাঁচা লবণ খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে। অর্গানিক ডিম, দুধ ও দই স্বাস্থ্যকর খাবার। ভিটামিন সি, বিটা কেরোটিন, ভিটামিন ই, সেলেনিয়াম এবং পলিফেনোল শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসব অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎকৃষ্ট উৎস ফলমূল, শাকসবজি ও সবুজ চা। জাঙ্কফুড পরিহার করুন।

৬. হাঁটা হল সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। বাইরে খোলামেলা জায়গায়, নদীর পাড়ে, গাছপালা ঘেরা পার্ক বা ময়দানে হাঁটলে শরীর-মন দুটিই চাঙা হবে। দূষণমুক্ত বাতাস ও সূর্যের আলোয় হাঁটার চেষ্টা করুন।

আরএম-০৫/৩০/০৬ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)