আখের গুড় সাথে কাঁচা হলুদ, উপকারিতা প্রচুর

আখের গুড়

এখন যাঁরা মাঝবয়সি, ছোটবেলায় তাঁদের অনেকেরই অভিজ্ঞতা রয়েছে সকালে উঠে আখের গুড় দিয়ে কাঁচা হলুদ খাওয়ার৷ মায়েরা বলতেন, এতে করে নাকি লিভার ভাল থাকে৷ বড় হয়ে এ-অভ্যেস অনেকেই ছেড়ে দিয়েছি৷ কিন্তু কাঁচা হলুদের গুণাগুণ নিয়ে আজ যখন চারপাশে এত আলোচনা হয়, তখন মনে হয়, অভ্যেসটা ধরে রাখলেই ভাল হত৷

এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক কাঁচা হলুদের গুণাগুণ-

আপনার যদি ক্রমশই ওজন বাড়ে তাহলে বলব মেদ ঝরাতে খুব কার্যকরী এই হলুদ৷ এর মধ্যে থাকা কারকিউমিন শরীরে খুব তাড়াতাড়ি মিশে যায়। এবং শরীরের কলাগুলোকে বাড়তে দেয় না। কাঁচা হলুদ ও শুকনো কমলা লেবুর খোসা একসঙ্গে বেটে সেই মিশ্রণ স্ক্রাবার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। প্রাকৃতিক উপায়ে তকের জেল্লা ফেরাতে দুর্নিবার এই টোটকা৷

হলুদের মধ্যে ফিনোলিক যৌগিক কারকিউমিন রয়েছে যা ক্যানসার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

যাঁরা ব্রণর সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের কাছে কাঁচা হলুদ খুব উপকারি৷ কাঁচা হলুদ বাটা, আঙ্গুরের রস ও গোলাপ জল মিশিয়ে ব্রণের উপরে লাগান। একটু পরে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ মিলিয়ে যাবে এবং এতে ইনফেকশনেরও ভয় থাকবে না।

রোদ্দুরে পুড়ে ত্বকে ট্যান এলে কাঁচা হলুদ বাটার মধ্যে দই মিশিয়ে লাগান। পোড়া ভাব ঠিক দূর হয়ে যাবে।

সর্দি-কাশিতে হলুদ এক মহৌষধি৷ কাশি কমাতে হলে এক টুকরো কাঁচা হলুদ মুখে রাখুন। পারলে এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে হলুদের গুঁড়ো এবং গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়েও খেয়ে নিন৷ খুব জলদি সুরাহা পাবেন৷

গা-হাত পা-এ ব্যথা হলে দুধের মধ্যে একটু হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। গাঁটের ব্যথাতেও হলুদের পেস্ট তৈরি করে প্রলেপ দিতে পারেন। দেখবেন আরাম পাবেন। আমাদের ছোটবেলায় পা মচকে গেলে চুন-হলুদের পেস্ট লাগানোর একটা রেওয়াজ ছিল৷ আর সকালে ঘুম থেকে উঠে, আখের গুড় দিয়ে কাঁচা হলুদের কথা না-হয় না-ই বা বললাম৷

আরএম-০৭/২২/০৯ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)