যেসব লক্ষণে বুঝবেন শিশুর কৃমি, কী করবেন?

যেসব লক্ষণে

শিশুর কি মাঝেমধ্যেই পেটব্যথা হচ্ছে বা হঠাৎ হঠাৎ মাথার যন্ত্রণা? পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরও অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে? এসব লক্ষণে বুঝবেন শিশুর কৃমি হয়েছে। কৃমির ওষুধ সাধারণত ৬ মাস পর পর খাওয়া হয়।

কৃমির সমস্যা বাড়লে শরীরে রক্তাল্পতা ও আয়রন ডেফিশিয়েন্সির আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। কৃমি থাকলে শরীরে রক্তের পরিমাণ কমতে কমতে অ্যানিমিয়া পর্যন্ত হতে পারে।

আসুন জেনে নিই যেসব লক্ষণে বুঝবেন শিশুর কৃমি-

১. ঘুমানোর সময়ে মুখ থেকে লালা পড়া।

২. মিষ্টিজাতীয় খাবারের চাহিদা বেড়ে যাওয়া।

৩. কোনো কারণ ছাড়াই মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া।

৪. ত্বকে ঘন ঘন র‌্যাশ বা চুলকানির সমস্যা হতে পারে।

৬) খাওয়ার ব্যাপারে অনীহা বা খিদে কম।

৭) গা-হাত-পা ব্যথা বা দুর্বল বোধ করা।

৮) ঘুমিয়ে পড়ার পরও চোখ আংশিক খোলা থাকা।

কী করবেন?

কাঁচাহলুদ

কাঁচাহলুদ আমাদের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। কৃমির সমস্যায় কাঁচাহলুদ খাওয়াতে পারেন।

কাঁচারসুন

শিশুকে নিয়মিত কাঁচারসুনের কুচি খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। উপকার পাবেন।

আদা

আদা হজমের সমস্যা, অ্যাসিডিটি, পেটে ইনফেকশন দূর করে। শিশুকে সামান্য পরিমাণে কাঁচাআদার রস খালি পেটে খাওয়াতে পারলে কৃমির সমস্যায় দ্রুত ফল পাবেন।

পেঁপে

যেকোনো ধরনের কৃমি সমস্যায় পেঁপের বীজ ভালো কাজ করে। কৃমি সমস্যায় দ্রুত ফল পেতে পেঁপে ও মধু মিশিয়ে শিশুকে খাওয়াতে পারেন।

শসার বীজ

ফিতাকৃমির সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে শসার বীজ অত্যন্ত কার্যকর! শসার বীজকে শুকিয়ে গুঁড়ো করে প্রতিদিন এক চামচ করে খাওয়া গেলে কৃমির সমস্যায় দ্রুত ফল পাওয়া সম্ভব।

আরএম-০৩/০১/১১ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)