বন্ধ্যত্বজনিত সমস্যা, জেনে নিন ঘরোয়া সমাধান

বন্ধ্যত্বজনিত

সাংসারিক দাম্পত্য জীবন তখনই পূর্ণতা পায়, যখন তাদের ঘরে আসে নতুন অতিথি। তখন তারা নতুন অতিথিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করে।

তবে অনেকের ক্ষেত্রে এই স্বপ্নের অন্তরায় হতে দাঁড়াতে পারে বন্ধ্যত্ব। যার ফলে সংসার ভেঙে যেতে পারে।
তবে এ ক্ষেত্রে স্ত্রীকে বেশি দায়ী করা হয়। তবে বন্ধ্যত্বের সমস্যা স্বামী-স্ত্রী উভয়ের হতে পারে।

আধুনিক বিজ্ঞানের অগ্রগতির সুফলে বন্ধ্যত্ব নিরাময় করা সম্ভব।

নারীদের ক্ষেত্রে যে কারণে এ সমস্যা হয়-

১. জননগ্রন্থির শারীরবৃত্তীয় পথে কোনো বাধা থাকলে।

২. শরীরে অতিরিক্ত প্রলাক্টিন থাকলে।

৩. পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম থাকলে।

৪. অতিরিক্ত বয়স হলে, অতিরিক্ত টেনশন বা দুশ্চিন্তা বা অবসাদ থাকলে।

পুরুষদের ক্ষেত্রে যে কারণে সমস্যা হয়–

১. অতিরিক্ত স্ট্রেস থাকলে ও স্পার্ম কাউন্ট কম থাকলে।

২. বয়স বেড়ে যাওয়ার কারণে এ সমস্যা হতে পারে।

বন্ধ্যত্ব প্রতিরোধের উপায়–

১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীরের জনন গ্রন্থিগুলোকে আক্রমণকারী পদার্থগুলোকে বিনাশ করে এবং তাদের ক্ষতিকারক হাত থেকে বাঁচায়। একই সঙ্গে গর্ভধারণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এর পাশাপাশি স্পার্ম কাউন্ট বৃদ্ধি করে।

২. যেকোনো ধরনের সবজি, ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘ই’ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এ জন্য ভালো।

৩. সকালে একটু ভারী খাবার খান। সুস্থ ডায়েট যদি চান অবশ্যই দিনের প্রথম খাবার ভালো হতে হবে।

৪. চেষ্টা করুন ট্রান্স ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার না খেতে।

৫. মাল্টিভিটামিন যেসব নারীর শরীরের প্রয়োজন, তারা মাল্টিভিটামিন খান। তাদের বন্ধ্যত্বজনিত সমস্যা কমে যাবে। সঙ্গে গ্রিন টি, ভিটামিন ‘ই’ এবং ভিটামিন ‘বি৬’ সমৃদ্ধ খাওয়া দরকারি।

৬. নেশা বর্জন করুন। অতিরিক্ত অ্যালকোহল খাওয়া কমান।

৭. ধূমপানের নেশা থাকলে তা ক্ষতিকর। কারণ পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট কমায়। একই সঙ্গে ক্যাফেইনজাতীয় পানীয় খাওয়া বন্ধ করুন।

শরীরচর্চা: প্রয়োজনের অতিরিক্ত বসে থাকলে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে থাকে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা করুন এবং আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খান।

আরএম-২৩/১৫/০১ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)