দুধ পানে অ্যালার্জি? পুষ্টি জোগাতে তালিকায় রাখুন এসব খাবার

দুধ পানে

দুধ খেলেই অ্যাসিডিটি, পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয়। ডিম, চিংড়ি মাছ ও বেগুন থেকে অ্যালার্জি হলে সে সব না হয় বাদ দেওয়া গেল। কিন্তু অবস্থা জটিল হয় দুধ থেকে অ্যালার্জি হলে। দুধ এমন একটি খাবার, যার পুষ্টিগুণ অন্য বিকল্প খাবারে নাই।

আবার শিশুদের ক্ষেত্রে দুধ থেকে অ্যালার্জির প্রবণতা থাকলে তা গরুর দুধ এবং মায়ের দুধ থেকেই হতে পারে। ফলে স্তনপান না করায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। এ ছাড়া সকলের ক্ষেত্রেই দুধের পাশাপাশি দুগ্ধজাত খাবার থেকেও এই একই সমস্যা হচ্ছে কি না সে দিকে খেয়াল রাখা খুবই প্রয়োজন।

দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। দুধ খেলেই অ্যাসিডিটি, পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয় কখনও, এমনকি পেট খারাপের শিকারও হতে পারেন। দেখা যায়, দুধ থেকে তৈরি খাবার খাওয়া বন্ধ করলে সমস্যাও মিটে যায়। মূলত ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স এবং মিল্ক প্রোটিন অ্যালার্জি, এই দুই প্রবণতা থেকেই এমনটা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, “দুধ থেকে অ্যালার্জি হওয়া মানে যে দুগ্ধজাত সব কিছু থেকেই সমস্যা আসবে, এমনটি নয়। অনেকেরই দুধে সমস্যা এলেও দই, পনিরে তেমনটা হয় না। সে ক্ষেত্রে তিনি স্বচ্ছন্দে খেতে পারেন সে সব।

তবে দুগ্ধজাত যে কোনও উপাদানে সমস্যা তৈরি হলে সে সব বন্ধ করে দেওয়া দরকার। বরং তার বদলে সোয়াবিন, টোফু, ডাল ইত্যাদির পরিমাণ বাড়িয়ে সেই ঘাটতি পূরণের চেষ্টা চালানো হয়। দুগ্ধজাত উপাদানে সমস্যা হলে আমন্ড মিল্ক, সয় মিল্ক বা নারকেলের দুধ খাওয়া যেতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে অ্যাডেড সুগার ও প্রিজারভেটিভের ক্ষতির শিকার করতে হয়। তবে এ সব ক্ষতি মানতে না চাইলে ক্ষতিহীন কিছু বিকল্প আছেই।’’

বিকল্প খাবার তালিকা:

দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে সমস্যা থাকলে প্রোটিনের জোগান ও ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে বিশেষজ্ঞ ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক ও ডায়েটেশিয়ানের সম্মতি থাকলে হোয়ে প্রোটিন খেতে পারেন।

দুধের সমমানের পুষ্টি অন্য কোনও খাবার থেকে মেলে না। তবু পাতে মাছ-মাংস-ডিম, সয়াবিন ও মুসুর ডালের পরিমাণ বাড়িয়ে কিছুটা ঘাটতি লাঘব করা যায়।

দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে অসুবিধা থাকলে মিষ্টি ও আইসক্রিম না খাওয়াই ভাল। পরিবর্তে ভেগান আইসক্রিম বা সয় মিল্ক বা আমন্ড মিল্কের মিষ্টি খান।

সয় মিল্ক দিয়ে তৈরি টোফু রাখতে পারেন আপনার খাবার তালিকায়।

আরএম-১১/২৮/০১ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)