আদার রয়েছে অনেক গুণ। শুধু মশলা হিসেবেই নয় আদা খাদ্য শিল্পে, পানীয় তৈরিতে, আচার, ওষুধ ও সুগন্ধি তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। আবার ভেষজ ওষুধ হিসেবেও খুব জনপ্রিয়।
জানেন কি? আদা সেবনের মাধ্যমেই রক্ষা পাওয়া যায় বড় বড় রোগের আক্রমণ থেকে। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই রোগ মুক্তিতে আদার নানা ভূমিকা-
> কাঁশি ও কণ্ঠস্বর পরিষ্কারে আদার রস এক চা চামচ, তুলসি পাতার রস এক চামচ ও মধু দুই চামচ একত্রে মিশিয়ে প্রত্যহ দুই থেকে তিন বার পান করুন। ৭ থেকে ১০ দিন পর কাশি উধাও হয়ে যাবে।
> বহুদিনের আমাশয়ে যারা ভুগছেন তারা আদা শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন। এক গ্রাম পরিমাণ গুঁড়া হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে নিয়মিত খেতে হবে। আমাশয় কমে যাবে।
> আদা পেটের অস্বস্তিভাব থেকে বাঁচায়। গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে আদা বেশ কার্যকরী।
> দাঁতের গোড়ায় যন্ত্রণা এবং মাড়ি ফুলে গেলে ভরসা রাখুন আদায়। আধা কাপ হালকা গরম পানিতে দুই চামচ কাঁচা আদার রস মিশিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মুখে রাখুন। দিনে দুইবার করে তিন দিন ব্যবহারেই মাড়ি ফোলা এবং যন্ত্রণা দুই-ই কমবে।
> আদা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। পাশাপাশি, ওভারিয়ান ক্যান্সারের চিকিৎসায় অন্যতম ভূমিকা রাখে।
> শরীরের কোথাও অনেকটা কেটে গেলে খানিকটা শুকনা আদার গুঁড়া নিয়ে কাটা স্থানে চেপে ধরলে রক্তপাত বন্ধ হবে। কাটা স্থানটি তাড়াতাড়ি জোড়া লাগতে সাহায্য করবে।
> হঠাৎ সর্দি-জ্বরের ভাব হলেই দুই চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ আদার রস মিশিয়ে দিনে দুইবার দুই দিন খেলেই মিলবে উপকার।
> ঠাণ্ডায় টনসিলের ব্যথা, মাথা ব্যথা, টাইফয়েড জ্বর, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হওয়া ও বসন্ত রোগকে দূরে রাখে আদা।
আরএম-৪১/৩১/০১ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)