কোমরের ব্যথায় কী করলে আরাম মিলবে

কোমরের

কোমর, পিঠ আর ঘাড়ের ব্যথায় কখনও ভোগেননি, এমন কোনও মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বিশেষ কোনো রোগের কারণে আপনার কোমরে বা ঘাড়ে ব্যথা হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য একবার ডাক্তার দেখিয়ে নিন।

আজকাল তো স্কুলপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরাও পিঠ-ঘাড়ের ব্যথায় প্রায়ই ভোগে। অধিকাংশ ফিজিওথেরাপিস্টই মনে করেন যে, বসা বা হাঁটার সময় শিরদাঁড়া সোজা না রাখাই এর মূল কারণ, স্কুলব্যাগের প্রবল ভার সেই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। দেখে নিন তেমন কিছু নিয়ম।

ভারী ব্যাগ সাবধানে বহন করুন : কোমর বেঁকিয়ে ঝুঁকে হ্যাঁচকা টানে কোনও ভারী ব্যাগ বা জিনিসপত্র তুলবেন না। তাতে চোট পাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। পিঠে স্কুলব্যাগ নিয়ে বাচ্চারা অনেক সময় সামনের দিকে বিচ্ছিরিভাবে ঝুঁকে থাকে, সেটাও ঠিক নয়। সতর্ক থাকবেন কনভেয়ার বেল্ট থেকে লাগেজ তোলা বা প্লেনের ওভারহেড কেবিন বা ট্রেনের মালপত্র রাখার তাকে ভারী ব্যাগ রাখার সময়। তাড়াহুড়োয় এসব কাজ করার সময় পিঠে-কোমরে যেন টান না লাগে সেটা দেখতে হবে।

শিরদাঁড়া সোজা রাখুন : ঘাড় গুঁজে মোবাইল দেখবেন না বা গেমস খেলবেন না। শিরদাঁড়া সোজা রেখে কাঁধটা একটু পিছনে টেনে বসুন। পেটটা টেনে রাখুন ভিতরের দিকে। হাঁটার সময়েও এমনভাবে হাঁটবেন যেন পিঠ টানটান থাকে। পশ্চার যত খারাপ হবে, তত কম পুষ্টি পাবে আপনার মাসল, রক্ত সংবহন যথাযথ হবে না। অক্সিজেনের ঘাটতি ভোগাবে প্রতিটি পেশিকে। এর ফলে ক্রমশ প্রভাবিত হবে আপনার মেরুদণ্ড।

সারাদিন বসে কাজ করেন? মাঝে মাঝে বিরতি নিন : সারাদিন টানা বসে থাকতে হয় যাদের, তাঁরা মাঝেমধ্যে অবশ্যই ব্রেক নেবেন। ঘণ্টা দুয়েক কাজ করার পর ১০ মিনিটের বিরতিতে একটু পায়চারি করে নিন। মোবাইলে ফোন এসেছে? সিটে বসে ফোন না ধরে উঠে বাইরে বেরোন, কথা বলতে বলতে পায়চারি করুন। মাঝেমধ্যে পশ্চার বদলালে শরীরের রক্ত চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

সঠিক বালিশ ব্যবহার করুন : শোওয়ার সময় এমন কোনও বালিশ ব্যবহার করুন যাতে আপনার কাঁধ, ঘাড়, পিঠ সব কিছু সঠিক সাপোর্ট পায়। বালিশে মাথা দেওয়া মাত্র যদি সেটা গড়িয়ে যায়, তা হলে এখনই তা বাতিল করুন। বালিশের উচ্চতা এমন হবে যাতে মেরুদণ্ড ঘাড়ের সঙ্গে এক লাইনে থাকে।

অহেতুক সারভাইকাল বা ব্যাককলার পরবেন না : কোনও আঘাত লাগলে সারভাইকাল বা ব্যাককলার পরুন ডাক্তারের পরামর্শে। অনেকে ভাবেন, কলার পরে থাকলে বুঝি ঘাড় বা কোমর সুরক্ষিত থাকবে, তাই দীর্ঘসময় তা ব্যবহার করাটাই তাদের অভ্যেসে পরিণত হয়। তার ফলে পেশি দুর্বল হয়ে যায়, কমতে থাকে গাঁটগুলির নমনীয়তা।

আরএম-২৫/১৬/০২ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)