করোনার চেয়েও ভয়াবহ টিবি!

করোনার

করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে এখন বেশ আতঙ্ক। তবে এর চেয়েও নাকি বেশি ভয়াবহ যক্ষ্মা! অন্য পাঁচটা ফ্লুর মতই করোনা, বলছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৮ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যায়, সারা বিশ্বে ১ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন টিবিতে। মারা গেছে ১৫ লাখ। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে প্রতিদিন প্রায় ৯৭৮ জন যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছেন এবং আক্রান্তদের মধ্যে দৈনিক মারা যাচ্ছে ১২৯ জন। পাশের দেশ ভারতে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ লাখ।

ইতোমধ্যে ‘হু’ তো করোনাকে ‘মহামারী’ বলে ঘোষণা করেছে! কোনও অসুখের আকার, অসুখ ছড়ানোর প্রবণতা, নির্দিষ্ট সময়ে মৃত্যুর হার, প্রতিষেধক না থাকা রোগ নিয়ে ভয় ইত্যাদি নানা রকম ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করে এই ঘোষণা। কিন্তু এই অসুখ টিবির চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর নয়। ‘হু’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, টিবিতে প্রতি দিন বিশ্বে মারা যায় প্রায় ৪ হাজার মানুষ, অর্থাৎ এত দিন ধরে করোনায় যত জন মানুষ মারা গেছেই ততটা। প্রতি ২০ সেকেন্ডে এক জন রোগী মারা যান টিবিতে।

করোনাকে নিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। অকারণ ভয় না পেয়ে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চললে নিরাপদ থাকা যাবে বলে মনে করছেন তারা।

নিরাপদে থাকতে যা করতে হবে-

হাঁচি বা কাশির সময়, তালু নয়, বাহু ঢেকে ( কনুইয়ের বিপরীত দিক) হাঁচুন বা কাশুন। দৈনন্দিন কাজের সময় হাতের তালু বারবার ব্যবহার হয়, তাতে সংক্রমণ ছড়ানোর শঙ্কা বেশি।

হ্যান্ডশেক পরিত্যাগ করুন। এতে এক মানুষের হাত থেকে অন্য মানুষের হাতে রোগ ছড়িয়ে যায়।

যেখানে সেখানে কফ-থুতু ফেলা বন্ধ করুন। এতে সংক্রমণ ছড়ায় বেশি।

কথায় কথায়, নাকে মুখে কিংবা চোখে হাত দেওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। এতে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ে।

খামোখা সিঁড়ির হাতল ধরে ওঠা-নামা করবেন না। অপ্রয়োজনীয় জায়গায় স্পর্শ করবেন না। চলাচলে সাবধানতা অবলম্বন করুন।

খোলামেলা আবহাওয়ায় থাকার চেষ্টা করুন।

খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে কচলে হাত ধুয়ে নিন। সাবান না থাকে ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ ব্যবহার করতে পারেন।

আরএম-৩৩/১৫/০৩ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)