আম ও নারকেল খেলেই কমবে থাইরয়েডের সমস্যা!

বর্তমানে থাইরয়েডের সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। তাদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি! এই সমস্যা সাধারণত বয়সের সঙ্গে বাড়ে। শিশুদের তুলনায় বেশি ভোগেন বড়রা। থাইরয়েড হরমোন শরীরের শক্তি, বাড়-বৃদ্ধি এবং বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে।

ভারতীয় পুষ্টিবিদ রুজুতা দিয়েকরের মতে, এই হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে ডায়েটে পরিবর্তন জরুরি। এমন কিছু খাবার খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে যা শরীরের থেকে হরমোন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে। এই পুষ্টিবিদ জানিয়েছেন থাইরয়েড কমানোর দুইটি দাওয়াই সম্পর্কে-

আম

মৌসুমী রসালো এই ফলটি কার না পছন্দের? ফলের রাজা আম। আর জানেন কি? আম থাইরয়েডের যম। মনে রাখবেন, আম কাটার আধা ঘণ্টা আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখা উচিত। এতে আমের মধ্যে থাকা সমস্ত জীবাণু, রাসায়নিক পদার্থ নষ্ট হয়ে যায়।

পুষ্টিবিদ রুজুতা দিয়েকর বলেছেন, থাইরয়েড থাকলে দুপুরে খাওয়ার পর আম খেলে বেশি উপকার মেলে। তবে রাতে আম এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। ম্যাঙ্গিফেরিন আমের মধ্যে থাকা এমন একটি জৈব উপাদান যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়।

নারকেল

নারকেলে রয়েছে প্রচুর ফ্যাটি অ্যাসিড। আর থাইরয়েডের সমস্যা কমায় ফ্যাটি অ্যাসিড। তাই থাইরয়েড থাকলে নারকেল ডায়েটে রাখুন। এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান বসে রাখে হরমোন ক্ষরণ।

তবে মনে রাখবেন, অবশ্যই তা যেন হয় শুকনো নারকেল। পাশাপাশি নারকেলের দুধ অবসাদও কমায়। যাদের গ্যাস্ট্রিক বা বদহজমের সমস্যা রয়েছে তার সরাসরি নারকেল না খেয়ে চাটনি বানিয়ে নিতে পারেন।

সূত্র: এনডিটিভি