হাঁটুব্যথার আধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন

আমাদের কর্মজীবনকে স্থবির করে দেয়ার অন্যতম কারণ হাঁটুব্যথা। অনেকেরই হাঁটাচলা করতে সমস্যায় পড়তে হয় এই হাঁটুব্যথার কারণে। এই সমস্যায় বেশি ভুগে থাকেন পঞ্চাশোর্ধ্ব নারী-পুরুষ। এছাড়াও যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাদের হাঁটুব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা অধিক।

হাসনা হেনা পেইন অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি রিসার্চ সেন্টারের চিফ কনসালট্যান্ট ডা. মোহাম্মদ আলী এই ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সতর্কতা বাড়াতে চলুন জেনে নেয়া যাক হাঁটুব্যথার কারণ ও আধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত-

হাঁটুব্যথার কারণ কী?

হাঁটু দুটি ভিন্ন হাড়ের সংযোগস্থল। এটি লিগামেন্ট ও মাংসপেশি দ্বারা সুগঠিত। জয়েন্টের সাবলীল নাড়াচাড়ার জন্য এর ভেতরে গ্রিজের ন্যায় স্থিতিস্থাপক পদার্থ থাকে।

> বয়স বা অতিরিক্ত ওজন বা অন্য কোনো কারণে যদি হাড়ে পরিবর্তন সাধিত হয় বা ভেতরের তরল পদার্থের স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পায়, তবে হাঁটুতে মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা হতে পারে।

> অস্টিও আথ্রাইটিস বা হাঁটু ক্ষয় বয়স্ক রোগীদের হাঁটুব্যথার কারণ। এক্স-রে দ্বারা এর তীব্রতা নির্ণয় করা যায়। লিগামেন্ট, মাংসপেশি বা মিনিসকাস ইনজুরির জন্যও হাঁটুব্যথা হতে পারে।

চিকিৎসা কী?

> কারণ নির্ণয় করতে পারলে চিকিৎসা সহজ। হাড় ক্ষয়জনিত হাঁটুব্যথায় সমন্বিত চিকিৎসা বা ইন্টিগ্রেটেড ট্রিটমেন্ট যেমন- ইনফিলট্রেশন, ম্যানিপুলেশন ও ইলেক্ট্রোথেরাপি কার্যকর। এর সঙ্গে বিশেষ ধরনের ব্যায়াম করলে হাঁটু সবল হয়।

> ইনফিলট্রেশন দ্বারা হাঁটুর জেলির স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানো যায়। ফলে হাঁটু অধিক সচল হয় এবং দ্রুত ব্যথা কমে আসে।

> হাঁটুব্যথায় ম্যানিপুলেশনও ভালো কাজ করে, ডিপ ফ্রিকশন বা সিরিয়্যাক্স ট্যাকনিক নন-আথ্রাইটিক ব্যথা কমাতে কার্যকর। ইলেক্ট্রোথেরাপি সব ধরনের হাঁটুব্যথা থেকেই রোগীকে উপশম দেয়।