গর্ভধারণের ক্ষমতা বাড়াবে মাখন

মাখনের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে নতুন করে জানানোর কিছুই নেই। দুগ্ধজাত এই খাবারটি সুসবাস্থ্যের জন্য খুবই কার্যকরী। শুধু যে স্বাস্থ্য ভালো রাখে তাই ই নয় ত্বকের জন্যও খুবই উপকারী। তারুণ্য ধরে রাখতে নিয়মিত মাখন খেতেই পারেন।

এছাড়াও মাখনের রয়েছে নানা উপকারিতা। অনেকেই শরীরের চর্বি বেড়ে যাওয়ার ভয়ে তেল, মাখন, ঘি খেতে চান না। ডাক্তাররাও নিষেধ করেন এগুলো খেতে। হৃদপিন্ড ভালো রাখতে তেলযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকাই ভালো। কোলেস্টেরল, সুগার, রক্তচাপ সব ক্ষেত্রেই তেলকে দোষারোপ করেন চিকিৎসকরা।

সম্প্রতি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন তথ্য,নিয়মিত মাখন খাওয়া হৃদপিন্ডের জন্য ভালো। এতে এড়ানো সম্ভব হবে হৃদরোগ। গবেষণা অনুযায়ী, মাখনের পরিবর্তে অনেকেই বেছে নিয়েছেন মার্জারিন। অন্যদিকে অলিভ ওয়েলকে বেছে নিয়েছেন রান্নার তেল হিসেবে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অলিভ ওয়েল ও মার্জারিনে মাখন বা সরিষার তেলের তুলনায় রয়েছে বেশি মাত্রায় ফ্যাট। যা শরীরের পক্ষে মোটেই ভালো নয়। তবে মাখনের মধ্যে থাকা ডেয়ারি ফ্যাট হৃদপিন্ডের পক্ষে ভালো।

মাখন খাওয়া নিশ্চয়ই ভালো। তবে তাপরিমাণ অবশ্যই কম। মাখন দিয়ে রান্না করা খাবার না খেয়ে, ব্রেকফাস্টে অল্প করে মাখন নিয়মিত খেতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্থূলতার সমস্যার সঙ্গে ডেইরি প্রোডাক্ট গ্রহণের কোনো সম্পর্ক নেই। মাখনে অ্যাক্টিভেটর এক্স নামক যৌগ থাকে যা দেহকে অত্যাবশ্যকীয় খনিজ উপাদান শোষণে সাহায্য করে। মাখনে আয়োডিন, সেলেনিয়াম, লেসিথিন এবং লরিক এসিডের মত কার্যকরী খনিজ উপাদান থাকে।

এছাড়াও মাখন ভিটামিন সমৃদ্ধ। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন ই থাকে যা ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে। আশ্চর্যজনকভাবে মাখনে অনন্য ভিটামিন কে২ থাকে যা চর্বিকে দ্রবণীয় করতে পারে। কে২ ভিটামিন প্রোস্টেট ক্যান্সার, হাড় ভাঙ্গা এবং করোনারি হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি কমায়। নারীদের গর্ভধারণের ক্ষমতা বাড়ে নিয়মিত মাখন খেলে।