উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সজনে পাতার চা

সজনে অনেকেরই পছন্দের একটি সবজি। এই গাছের পাতাও অনেক উপকারী। সজনে গাছ আকারে বিশাল তবে কৃষ্ণচুড়া বা রাধাচুড়া গাছের পাতার মতোই এর পাতাও অনেক ছোট থাকে।

সজনে গাছের পাতা শাক হিসেবে যেমন খাওয়া যায় তেমনি এর পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে চা-কফি বা খাবারের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া যায়। এছাড়া ভেষজ গুণ সমৃদ্ধ এই গাছের ছাল এবং বীজও শুকিয়ে গুঁড়ো করে খেলে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।

সজনে পাতার গুঁড়া দিয়ে তৈরি চা নিয়মিত খেলে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়-

ওজন কমায়:

সজনে মানেই হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আর খনিজের সমাহার। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও পাওয়া যায়। একইভাবে সজনে পাতাতেও এসব উপাদান মেলে।

গবেষণায় দেখা গেছে, সজনে পাতায় ফ্যাটের বদলে প্রচুর পরিমাণে শক্তি পাওয়া যায়। এ কারণে এটি ওজন কমাতে কার্যকরী। এছাড়া লো-ফ্যাটের হওয়ায় বার বার এই চা খেলেও ওজনের কোনও সমস্যা হয় না।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে:

সজনে পাতার চা খেলে ওজম কমার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর মধ্যে থাকা কিউএরসেটিন উপাদান উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে এই চা প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে।

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে:

রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে এই পাতার চা খেতে পারেন। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সাইড ক্লোরিন অ্যাসিড রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে। টাইপ টু ডায়াবেটিসের রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই চা খেতে পারেন।

কোলেস্টেরল কমায়:

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে হলে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। সজনে পাতার চা কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এ কারণে সকালে এক কাপ সজনে পাতার চা খেতে পারেন।

সৌন্দর্য বাড়ায়:

শরীরে জমে থাকা অবসাদ, দূষিত পদার্থ কমিয়ে সজীবতা ফিরিয়ে আনে সজনে পাতার চা। তাই শুধু স্বাস্থ্যই নয়, দীর্ঘদিন সৌন্দর্য ধরে রাখতে চাইলেও সজনে পাতার চা খেতে পারেন।

যেভাবে বানাবেন সজনে পাতার চা-

অনেক সুপারশপ বা অনলাইন শপে আজকাল সজনে পাতার গুঁড়া পাওয়া যায়। বাড়িতে গাছ থাকলে সেটা শুকিয়েও গুঁড়া করতে পারেন। কিছু গুঁড়া পানিতে ফুটিয়ে ছেঁকে নিলেই তৈরি হবে সবুজ মোরিঙ্গা চা। চাইলে এর সঙ্গে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।

এছাড়া সজনে পাতা ভালো করে ধুয়ে পানিতে ফুটিয়ে ছেঁকে নিলেও ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে কারও যদি দীর্ঘমেয়াদি কোনও অসুস্থতা থাকে তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে এই চা খেতে পারেন।

আরএম-০১/১৬/১১ (স্বাস্থ্য ডেস্ক, তথ্যসূত্র: এনডিটিভি)