প্রিন্স অ্যান্ড্রুর যৌন কেলেঙ্কারি: ব্রিটিশদের পক্ষে চান মার্কিন নারী

দুই দশক আগে ব্রিটিশ প্রিন্স অ্যান্ড্রুর যৌন সম্পর্কে তাকে বাধ্য করা হয়েছে, এমন অভিযোগ তোলা মার্কিন নারী তার পক্ষ নেওয়ার জন্য ব্রিটিশ নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ব্রিটিশ রাজপরিবারকে গ্রাস করে নিয়েছে যে কেলেঙ্কারি সে বিষয়ে একমাত্র তিনিই সত্যি কথা বলতে পারবেন বলে দাবি করেছেন ভার্জিনিয়া জফ্রেই নামের ওই নারী, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এর আগে যিনি ভার্জিনিয়া রবার্টস নামে পরিচিত ছিলেন।

জফ্রেই জানিয়েছেন, আত্মহত্যাকারী মার্কিন বিনিয়োগকারী জেফরি এপস্টেইন তাকে পাচার করে নিয়ে গিয়ে তার বন্ধুদের সঙ্গে দৈহিক মিলনে বাধ্য করেছিলেন, ওই বন্ধুদের মধ্যে ব্রিটিশ প্রিন্স অ্যান্ড্রুও ছিলেন।

ওই সময় তার বয়স ১৭ বছর ছিল বলে দাবি করেছেন জফ্রেই। প্রিন্স অ্যান্ড্রু এসব অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছেন।

সোমবার সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে জফ্রেই বলেছেন, ২০০১ সালে এপিস্টিন তাকে লন্ডনে নিয়ে গিয়ে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন, যে তিনবার অ্যান্ড্রুর সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক হয়েছিল তার প্রথমটি এ সময়ই ঘটে।

বিবিসি প্যানোরমাকে জফ্রেই বলেন, কী ঘটেছিল তিনি (অ্যান্ড্রু) জানেন। আমিও জানি কী ঘটেছিল, আমাদের মধ্যে একজনই সত্য কথা বলছে আর সেটি আমি।

যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ আমার পাশে দাঁড়ান, এই লড়াইটি লড়তে আমাকে সাহায্য করুন, এটিকে সহজভাবে গ্রহণ করবেন না। এটি নোংরা কোনো যৌন গল্প না। এটি একটি পাচারের ঘটনা, এটি নিপীড়ন ও আপনাদের লোকদের রাজকীয় মর্যাদার কাহিনী।

ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথের দ্বিতীয় পুত্র ৫৯ বছর বয়সী অ্যান্ড্রু বলেছেন, জফ্রেইয়ের সঙ্গে কখনও দেখা হয়েছে বলে তিনি মনে করতে পারছেন না।

জফ্রেইয়ের সাক্ষাৎকারের প্রতিক্রিয়ায় বাকিংহাম প্যালেসের মুখপাত্র বলেছেন, ডিউক অব ইয়র্কের সঙ্গে ভার্জিনিয়া রবার্টসের কোনো ধরনের যৌন সংস্পর্শ বা সম্পর্ক ছিল, এটি জোরালোভাবে অস্বীকার করা হচ্ছে। এর বিপরীত কোনো দাবি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

প্রসঙ্গত, ৬৬ বছর বয়সী এপস্টেইন চলতি বছরের ১০ অগাস্ট ম্যানহাটনের কারাগারে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এর কয়েক মাস পর এক সাক্ষাৎকারে অ্যান্ড্রু এপস্টেইনের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন।

এসএইচ-২৩/০৩/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)