রামদেবের ওপর ক্ষেপেছেন চিকিৎসকেরা

করোনার চিকিৎসা নিয়ে ইয়োগা গুরু ও ব্যবসায়ী রামদেবের মন্তব্যে এবার রেগে আগুন দেশটিতে মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করা চিকিৎসকেরা। এ ঘটনায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে মানহানির নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহে অনুসারীদের উদ্দেশ্য করে রামদেব বলেন, এলোপ্যাথি একটি নির্বোধ ও নিঃস্ব বিজ্ঞান। করোনার চিকিৎসায় প্রথমে ক্লোরোকুইন ব্যর্থ, তারপর ব্যর্থ রেমডিসিভির, এরপর হারল অ্যান্টিবায়োটিকস, তারপর স্টেরয়েড, আর এখন প্ল্যাজমা থেরাপির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এরপর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ফাবিফ্লু’র, সেটিও ব্যর্থ।-খবর আল-জাজিরার

৫৫ বছর বয়সী এই ইয়োগা গুরু আরও বলেন, অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসায় বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন। অক্সিজেন ঘাটতি ও করোনায় মৃত্যুর চেয়েও যা বেশি।

তার এই মন্তব্যের কারণে ভারতের চিকিৎসক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া এসেছে। রামদেবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে।

ইতিমধ্যে সামাজিকমাধ্যমে রামদেবের বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশেন (আইএমএ) গুরুর সমালোচনা করে বলেছেন, মহামারির মধ্যে মানুষের সেবা দিতে গিয়ে মারা যাওয়া এক হাজার ২০০ চিকিৎসকের আত্মত্যাগকে তাচ্ছিল্য করেছেন রামদেব।

অ্যালোপ্যাথি ও অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে বুধবার (২৬ মে) তার বিরুদ্ধে মানহানির নোটিশ দিয়েছে আইএমএ। তাকে ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে কিংবা তেরো কোটি ৭০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে।

সর্বভারতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের (এআইআইএমএস) আবাসিক চিকিৎসকদের সমিতিও তার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

তবে রামদেবের কোম্পানি ‘পতঞ্চলি যগপৎ’ এক বিবৃতিতে বলছে, আধুনিক বিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিদ্যায় যারা কর্মরত, তাদের বিরুদ্ধে তার কোনো খারাপ ধারণা নেই। কাজেই রামদেবের ওপরে যে অভিযোগ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা ভুয়া ও তাৎপর্যহীন।

এসএইচ-২৮/২৬/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)