সাহিত্যে নোবেল পেলেন আবদুল রাজাক

এবারে সাহিত্যে নোবল পেয়েছেন আবদুল রাজাক গুরনাগ। বৃহস্পতিবার সুইডিশ একডেমি নোবেলজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেছে।

জানজিবারে জন্ম নেওয়া আবদুল রাজাক গুরনাহ ইংল্যান্ডে সাহিত্য চর্চা করছেন। সুইডিশ অ্যাকাডেমি বলছে, ঔপনিবেশিকতার প্রভাব নিয়ে তার আপসহীন ও সহানুভূতিশীল লেখনির জন্য তাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সংস্কৃতি ও মহাদেশগুলোর শরণার্থীদের ভাগ্য নিয়েও লিখেছেন এই সাহিত্যিক।

১৯৪৮ সালে গুরনাহ জন্মগ্রহণ করেন। ভারত মহাসাগরের জানজিবার দ্বীপে তিনি বেড়ে ওঠেন। কিন্তু ১৯৬০-এর দশকের শেষ দিকে ইংল্যান্ডে আসেন শরণার্থী হয়ে।

১৯৬৩ সালের ডিসেম্বরে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হয় জানজিবার। প্রেসিডেন্ট আবেইদ কারুমের শাসনে সেখানে আরব বংশোদ্ভূত নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়েছে। পরে স্কুল শেষ করে আট বছর বয়সে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

১৯৮৪ সালে আগে তিনি জানজিবারে ফিরতে পারেননি। কেবল বাবার মৃত্যুর আগে তার একবার দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব কেন্টের ইংরেজি ও ঔপনিবেশিক-উত্তর সাহিত্যের অধ্যাপনা থেকে তিনি অবসর নিয়েছেন।

এর আগে ২০২০ সালে সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন কবি অধ্যাপক লুইস গ্ল্যুক। নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, লুইস হলেন অ্যামেরিকার বর্তমান সাহিত্যজগতের সেরাদের অন্যতম।

এ বছর রসায়নে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জার্মান বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন লিস্ট ও মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড ডব্লিউ সি ম্যাকমিলান।

অপ্রতিসম অর্গানোক্যাটালাইসি উদ্ভাবনে সফলতার জন্য তাদের এবার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ক্যামিস্ট্রিওয়ার্ল্ডের খবরে বলা হয়েছে, তাদের নোবেল পাওয়ায় অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ তালিকায় তাদের নাম শীর্ষেই ছিল। ম্যাকমিলান ও লিস্টের কাজ অর্গানোক্যাটালাইসিসের ক্ষেত্রে নতুন দৃশ্যপথ তৈরি করে দিয়েছে।

ম্যাকমিলান ও লিস্টের কাজ অর্গানোক্যাটালাইসিসের ক্ষেত্রে নতুন দৃশ্যপথ তৈরি করে দিয়েছে। দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়েছে, অণুর গঠনে নতুন হাতিয়ার অর্গানোক্যাটালাইসিস উদ্ভাবন করেন এই দুই বিজ্ঞানী। নতুন ওষুধপ্রস্তুতকরণে গবেষণাও যুক্ত করা হয়েছে এর ব্যবহারে। রসায়নকে আরও সবুজায়ন করতে সহায়তা করবে এই উদ্ভাবন।

এর আগে গেল বছর ডিএনএ সম্পাদনায় নতুন একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য রসায়নে নোবেল পুরস্কার পান ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের দুজন বিজ্ঞানী। তারা হলেন- ফ্রান্সের ইমানুয়েল শরপেনটির ও যুক্তরাষ্ট্রের জেনিফার এ দোনা।

গেল ৪ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মাধ্যমে ২০২১ সালের নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। তাপমাত্রা ও স্পর্শের রিসেপ্টর আবিষ্কারে এবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড জুলিয়াস এবং লেবাননের আর্ডেম প্যাটাপৌসিয়ান।

আর পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পান যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ইতালির তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন- আবহাওয়াবিদ সিউকুরো মানাবে, পদার্থবিদ ক্লাউস হ্যাসেলমেন এবং সমুদ্রবিজ্ঞানী জর্জিও প্যারিসি। বৈশ্বিক উষ্ণতার পূর্বাভাস দেওয়া এবং কমপ্লেক্স ফিজিক্যাল সিস্টেম সম্পর্কে বোঝাপড়ার বিষয়ে যুগান্তকারী অবদানের জন্য তাদের এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

এসএইচ-০২/০৭/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)