ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ বাড়াচ্ছে যুক্তরাজ্য

ইউক্রেনের আত্মরক্ষার জন্য যুক্তরাজ্য সেখানে অস্ত্রের সরবরাহ বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস ।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ওয়ালেস বলেন, যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে ২০০০ ‘নেক্সট-জেনারেশন’ হালকা ট্যাংক-বিধ্বংসী অস্ত্র পাঠিয়েছে এবং এই সংখ্যা এখন ৩,৬১৫তে উন্নীত করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া ইউক্রেনকে ‘জ্যাভেলিন’ ট্যাংক-বিধ্বংসী অস্ত্রের একটি ছোট চালান দেওয়া হচ্ছে এবং ‘স্টারস্ট্রিক’ নামের সারফেস-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

যুক্তরাজ্য এ ছাড়া হালকা অস্ত্র এবং অন্যান্য সরঞ্জামও পাঠিয়েছে, জানান ওয়ালেস।

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোয় একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে রাশিয়ার ওপর। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার জোরালো জবাব দিতে কাজ চলছে জানিয়ে রাশিয়া বলছে, নিজেদের অধিকাংশ স্পর্শকাতর এলাকাগুলোয় পশ্চিমারা দ্রুতই তা টের পাবে।

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বড় ধররনের অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়ছে রাশিয়ার অর্থনীতি। রাশিয়ার সব অর্থনৈতিক ও করপোরেট খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্ররা।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিভাগের পরিচালক দিমিত্রি বিরিচেভস্কি বলেন, রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া হবে ক্ষিপ্র, চিন্তাশীল ও স্পর্শকাতর।

মঙ্গলবার ইউক্রেনে আগ্রাসনের প্রতিশোধ নিতে রাশিয়ার তেল ও জ্বালানি আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে রাশিয়া হুঁশিয়ারি করে দিয়ে বলেছিল, যদি তাদের অপরিশোধিত তেল খাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তবে প্রতি ব্যারেল তেলের মূল্য বেড়ে যাবে ৩০০ মার্কিন ডলারের বেশি।

এক বছরে ৫০ কোটি টন তেল খরচ করে ইউরোপ। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ সরবরাহ আসে রাশিয়া থেকে। এদিকে রাশিয়ার বিমান ও মহাকাশ প্রযুক্তির ওপর নতুন কিছু নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য।

এতে এখন থেকে যুক্তরাজ্যে থাকা রাশিয়ার বিমান আটক করতে পারবে কর্তৃপক্ষ। সে দেশে রাশিয়ার কোনো বিমানের প্রবেশ, অবতরণ বা চলাচল অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়া ও ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠরা আরও বেশি অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়বেন।

এসএইচ-১০/০৮/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)