তিন শতাধিক রুশ রাজনীতিকের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জেরে রাশিয়ার ওপর নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানায় মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। রাশিয়ার গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত নারী রাজনীতিক মারিয়া বুতিনাসহ তিন শতাধিক রাজনীতিক নতুন এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন। এছাড়া ডজনখানেক প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও টার্গেট করা হয়েছে।

রাজনীতিকদের সবাই রুশ জাতীয় সংসদের সদস্য। এছাড়া রাশিয়ার সর্ববৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান সেবারব্যাংক’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হারমান গ্রেফও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন।

সিএনএন জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার দুই কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ডুমার ৪৫০ সদস্যের মধ্যে ৩২৮ জনকে টার্গেট করা হয়েছে। এছাড়া ৪৮টি রুশ প্রতিরক্ষা ও সামরিক রসদ প্রস্তুতকারী কোম্পানিকে পশ্চিমা প্রযুক্তি ও আর্থিক লেনদেন থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বৃহস্পতিবার পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ও ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে এক জরুরি বৈঠক চলছে। এর মধ্যেই মস্কোর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র।

ইউক্রেন সংঘাত থামাতে মস্কোর ওপর চাপ তৈরি করতেই নতুন এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলেছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধ মেশিনের শক্তিকে লক্ষ্য করেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো।

নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে একটি সতর্কবার্তা দিয়েছে। সেখানে রাশিয়া যেন নিষেধাজ্ঞা এড়াতে না পারে সেজন্য স্বর্ণ সংক্রান্ত রাশিয়ার লেনদেনও যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে পারে বলে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের এক মাস পূর্ণ হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের পর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ সেনারা।

এ অভিযানের অংশ হিসেবে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা চালানো হচ্ছে। অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে। এ ছাড়া ইউক্রেনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাশ্চাত্যের বেশ কয়েকটি দেশ মস্কোর ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে।

এসএইচ-১৯/২৪/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)