মক্কা-মদিনায় ইতেকাফে বসতে যা করতে হবে

দীর্ঘ দুই বছর পর সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনার প্রধান দুই মসজিদে ইতিকাফের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা। তবে এজন্য তাদেরকে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত ও মানদণ্ড পূরণ করতে হবে।

মসজিদুল হারামের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইতিকাফে বসতে হলে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে আবেদন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার হারামাইনইনফো নামে এক টুইটার হ্যান্ডেলে প্রকাশিত ওই নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ১৮ বছর হতে হবে। সকল আবেদন সরকারের একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করতে হবে। ইতিকাফের সময় হবে ১৯ রমজান থেকে ২৯ বা ৩০ রমজান পর্যন্ত।

রমজান মাস প্রায় এসে গেছে। প্রতি বছর রমজানে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববি শেষ দশ দিন হাজার হাজার মানুষ ইতিকাফ করেন।

কিন্তু করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর ইতিকাফ-ব্যবস্থা স্থগিত ছিল। এবার রমজানের শেষ ১০ দিন মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে ইতিকাফের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এর আগে বুধবার এক বিবৃতিতে পবিত্র দুই মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সির প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল সুদাইস জানান, স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দেশনা পালন করে ইতিকাফের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

২০২০ সাল থেকে বৈশ্বিক করোনা মহামারি সংক্রমণরোধে দুই বছর যাবত মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে সবার জন্য ইতিকাফের অনুমোদন স্থগিত ছিল।

এর আগে রমজানের শেষ ১০ দিনে এ দুই মসজিদে লক্ষাধিক মুসল্লি ইতিকাফ করতেন। তখন ইতিকাফের মুসল্লিদের জন্য বিশেষ তাক, লকার, বিছানা, বালিশ ও ইহরামের কাপড়সহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা ছিল।

গত ৫ মার্চ সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধানসহ করোনাবিধি শিথিল করে সৌদি আরব। এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি করোনাকালের দীর্ঘ ৩০ মাস পর সাত বছর বা এর বেশি বয়সী শিশুদের মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হয়।

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সর্বশেষ ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে সামাজিক দূরত্বসহ সব ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। এর আগে গত বছরের ১৭ অক্টোবর সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরাসহ করোনা বিষয়ক বিধি-নিষেধ শিথিল করেছিল সৌদি সরকার।

২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর প্রথমবারের মতো সতর্কতামূলক কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করে সৌদি আরব। তখন ওমরাহ পালনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

এরপর জরুরি অবস্থা জারি করে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার পাশাপাশি সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে সীমিত পরিসরে ওমরাহ ও হজ কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা হয়।

এসএইচ-২০/২৪/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)