ইউক্রেনে প্রথম পর্বের রুশ অভিযান সমাপ্ত

রাশিয়ার সেনাবাহিনীর এক নম্বর উপ প্রধান কর্নেল জেনারেল সের্গেই রুদস্কয় বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রথম পর্বের সামরিক পরিকল্পনা শেষ হয়েছে। এখন তাদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হবে পূর্ব ইউক্রেন।

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত এটাই জনসম্মুখে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রুশ সেনাবাহিনীর খোলা মন্তব্য।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে বড় শহরগুলোতে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর অগ্রযাত্রা থেমে গেছে। রুশ বিমানবাহিনী ইউক্রেনের আকাশে প্রাধান্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়নি। যার ফলে তারা সামরিক কৌশলে পরিবর্তন এনেছে।

যদিও রুশ সেনাবাহিনীর কর্নেল সের্গেই রুদস্কয় এর ভিন্ন ব্যাখা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের সামরিক অবকাঠামো, সমরাস্ত্র, সশস্ত্র বাহিনী যাতে লড়াইয়ের ক্ষমতা হারায়, দোনবাস এলাকায় শক্তি বৃদ্ধি করতে না পারে, তার জন্যই তাদের বিশাল সামরিক বহর ছিল। দোনেতস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চল সম্পূর্ণ স্বাধীন না করা পর্যন্ত এই অবস্থা চলমান থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ইউক্রেনে হামলা শুরুর এক মাস পরেও কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জনে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ব্যর্থ ভূমিকা পশ্চিমা সামরিক বিশ্লেষকদের অবাক করেছে। তাদের অনেকেই একে ‘হতাশাজনক’ বলছেন।

বিশ্লেকরা বলছেন, যুদ্ধের শুরুর দিকে বিশাল রুশ বাহিনী ইউক্রেনের সক্ষমতাকে উপেক্ষা করেছে। নিজেদের বড় করে দেখেছে। রুশ সমর বিশেষজ্ঞ, এমনকি অনেক পশ্চিমা বিশ্লেষকের ধারণা ছিল, হামলা শুরুর কয়েক দিনের মধ্যেই ইউক্রেন দখল করে নিতে পারবে রাশিয়া। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।

এছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধে সড়কপথ ব্যবহার করায় সেনা ও রসদ সরবরাহে রুশ বাহিনীর অনেক সময় লেগেছে। অনেক স্থানে ধীরগতির রুশ সেনাবহর ইউক্রেনের সরকারি সেনাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। কাদায় আটকে থাকা ও ধ্বংসপ্রাপ্ত রুশ সামরিক বাহনের ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বিবিসিকে বলেন, বিগত বছরগুলোয় রাশিয়া তার সামরিক ব্যয়ের বেশির ভাগ পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন, উন্নয়ন ও পরীক্ষায় খরচ করেছে। হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন ঘটিয়েছে তারা। বিশ্বের সর্বাধুনিক ট্যাংক টি–১৪ আরমাতা তৈরি করেছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধে এসবের ব্যবহার করা হয়নি। বাস্তবে ব্যবহৃত হচ্ছে পুরোনো টি–৭২ ট্যাংক ও রকেট লঞ্চার।

এসএইচ-০৯/২৬/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)