সৌদি আরামকোর রেকর্ডভাঙা লাভ

সৌদি তেল জায়ান্ট আরামকো নিজের রেকর্ড ভেঙেই লাভ করেছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির লাভ ছিল চার হাজার ৮৪০ কোটি মার্কিন ডলার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আগের বছরের তুলনায় আরামকোর মুনাফা ৯০ শতাংশ বেড়েছে।

অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দুই হাজার ৫৫০ কোটি ডলার বেশি আয় করেছে সৌদি রাষ্ট্রীয় এই কোম্পানি। এছাড়াও এটির নগদ অর্থের প্রবাহ আগের বছরের তুলনায় ৫৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে তিন হাজার ৪৬০ কোটি ডলার।

বছর তিনেক আগে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর বিশ্বের বৃহৎ জ্বালানি রফতানিকারক এই কোম্পানির সবচেয়ে বেশি লাভ হয়েছে এবার। গেল ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর বৈশ্বিক বাজারে তেল ও গ্যাসের দাম আকাশছোঁয়া বেড়েছে। যে কারণে আগামীতেও লাভের পূর্বাভাস দিয়েছে এই কোম্পানি।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় জ্বালানি রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে একটি রাশিয়া। কিন্তু জ্বালানি চাহিদা পূরণে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছে পশ্চিমা শক্তিগুলো।

সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের তথ্যানুসারে, অপরিশোধিত তেলের দাম ও উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত যে কোনো দেশের চেয়ে ভালো করেছে সৌদি আরামকো। ঋণ কমিয়ে আনতে ও উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে এই অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।

তৃতীয় প্রান্তিকেও লভ্যাংশ এক হাজার ৮৮০ কোটি ডলারে অপরিবর্তিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি। কাজেই ভবিষ্যতেও জ্বালানি চাহিদা সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখা হবে বলে জানিয়েছে এটি।

আরামকোর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিন নাসের বলেন, চলতি বছরের প্রথম অর্ধেকে বৈশ্বিক বাজারে অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও আমাদের শিল্পে চলমান বিনিয়োগ অব্যাহত রাখা দরকার। তাহলে বাজারে সরবরাহ ভালো রাখা সম্ভব হবে। এতে তেল রফতানিও সহজতর হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, এ দশকের বাকি সময়ে তেলের চাহিদা বাড়বে। যদিও স্বল্পমেয়াদি পূর্বাভাসে নিম্নমুখী অর্থনৈতিক চাপের কথা বলা হয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে থেকেই বাড়ছিল তেলের দাম। করোনা মহামারির ধকল বিশ্ব কাটিতে উঠতে চেষ্টা করছিল, তখনই শুরু হয়ে যায় এই যুদ্ধ। কেবল আরামকোই না, এক্সনমোবিল, শেভরন ও বিপির মতো বড় বড় তেল কোম্পানিগুলো এ বছরে বেশি লাভের সুখবর দিয়েছে।

এসএইচ-২২/১৪/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)