জোরপূর্বক ধর্মান্তরের শিকার হচ্ছেন পাকিস্তানের সংখ্যালঘু নারীরা

নৃশংসতা ও ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর প্ররোচণায় জোরপূর্বক ধর্মান্তরের শিকার হচ্ছে পাকিস্তানের সংখ্যালঘুরা; অথচ ভয়াবহ সেই তথ্যগুলো আড়ালেই থেকে যাচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কানাডাভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর রাইটস অ্যান্ড সিকিউরিটি (আইএফএফআরএএস)।

আইএফএফআরএএস জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী জাতিগত সংখ্যালঘুরা। যারা মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত। বিশেষ করে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে ও মেয়েরা সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া দেশটিতে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের প্রায়শই পূর্ব নির্ধারিত বিয়েতে বাধ্য করা হয় বলেও জানায় সংস্থাটি।

বার্তা সংস্থা এনএনআই জানিয়েছে, পাকিস্তানে প্রতিবছর সংখ্যালঘু হিন্দু ও খ্রিস্টানদের মধ্যে অন্তত এক হাজার নারীকে অপহরণের পর বিয়ের মাধ্যমে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হয়। ২০২১ সালের প্রথমার্ধেই পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে প্রায় ৬ হাজার ৭৫৪ জন নারীকে অপহরণ করা হয়েছে।

যার মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১ হাজার ৮৯০ জন নারী, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩ হাজার ৭২১ জন এবং ৭৫২ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। একই বছরে ৩০ আগস্ট নারীদের ওপর হামলা ও সহিংসতা বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল পাকিস্তান (টিআইপি)।

এদিকে, লাহোরভিত্তিক দুনিয়া নিউজের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে এ পর্যন্ত শুধুমাত্র ইসলামাবাদেই প্রায় ৩৪টি ধর্ষণের ঘটনা সরকারিভাবে নথিবদ্ধ হয়েছে, যার মধ্যে ২৭টি ধর্ষণের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। অন্যদিকে, পাঞ্জাবে নারীদের সঙ্গে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৩ হাজার ৭২১টি, যার ভেতর মাত্র ৯৩৮টি ঘটনা জনসম্মুখে এসেছে।

এসএইচ-০৭/৩১/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)