আবহাওয়ার সাথে শরীরের কেমন সম্পর্ক?

আবহাওয়ার সাথে

আজ গরম তো কাল ঠান্ডা৷ হঠাৎ করে আবহাওয়ার এমন পরিবর্তন বা তাপমাত্রা বেশি ওঠা-নামা করলে কি আপনার শরীর খারাপ হয়? কেন এমনটা হয় বা এ সময় কী করা উচিত, সেটাই জেনে নিন ছবিঘর থেকে৷

নানা রোগের কারণ-আবহাওয়ার পরিবর্তন

হঠাৎ করে তাপমাত্রার এই অস্বাভাবিক ওঠা-নামা আজকাল প্রায় নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে জার্মানিতে৷ যে কারণে অনেকেরই মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা, বাতের ব্যথা, হার্টের সমস্যা, অ্যাজমা, রক্তচাপের ভারসাম্যহীনতার মতো নানা শরীরিক সমস্যা দেখা দেয়৷ জানিয়েছেন ব্যথা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ডা হার্টমুট গ্যোবেল৷

হঠাৎ পরিবর্তন

গতকালের তাপমাত্রা হয়ত ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ আর আজ তা নেমে হয়ে গেছে ১২ডিগ্রি৷ জার্মানিতে হঠাৎ তাপমাত্রার এত বেশি পার্থক্য বা ওঠা-নামাজনিত সমস্যায় ভোগেন প্রতি দু’জনের একজন৷ এ তথ্য জানা যায় এক সমীক্ষার ফলাফল থেকে৷

নারীরাই বেশি ভোগেন

এতে পুরুষদের তুলনায় নারীরা যেমন বেশি ভোগেন, তেমনি তরুণদের তুলনায় বয়স্কদের আবহাওয়াজনিত সমস্যা বেশি হয়৷ তাছাড়া যত ঘনঘন এরকম পরিবর্তন হয়, মানুষের ভোগান্তিও হয় তত বেশি।

গরমে মাথা ঘোরে, ঠান্ডায় বাড়ে রক্তচাপ

হঠাৎ করে গরম পড়লে ধমনী স্ফীত হতে পারে৷ ফলে রক্তচাপ কমে যায়৷ আর যাঁদের এমনিতেই প্রেশার লো তাদের আরো কমে গিয়ে মাথা ঘুরতে পারে৷ অন্যদিকে হঠাৎ করে ঠান্ডা পড়লে ধমনী সংকুচিত হয়, ফলে হৃদপিণ্ডে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ব্লাডপ্রেশার বাড়তে পারে৷

ঘর -বাইরের তাপমাত্রা

অনেক সময় গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলিতে ঘরের ভেতরে পুরো মাত্রায় এসি চালিয়ে ঘর ঠান্ডা করে রাখা হয়৷ ফলে ঘরে আর বাইরে তাপমাত্রা পার্থক্য বেশি হওয়ার কারণে অনেকেরই শরীর খারাপ হয়৷ এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, ঘর আর বাইরের তাপমাত্রার মধ্যে যেন পাঁচ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি পার্থক্য না থাকে৷

শরীরকে ট্রেনিং দিন

আবহাওয়াজনিত শারীরিক অসুস্থতা এড়াতে সকলরই উচিত নিয়মিত মুক্ত বাতাসে জগিং বা হাঁটাচলা করা৷ এতে করে যে কোনো আবহাওয়ায় সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া অনেক সহজ হয়৷ এক্সপার্ট বা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ কিন্তু এমনটাই!

পাহাড় বা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যান

এছাড়া সম্ভব হলে সমুদ্র সৈকত বা পাহাড়ে বেড়াতে গেলেও ভালো ফল পাওয়া যায়৷

ঘরোয়া চিকিৎসা

এক কাপ গরম কফিতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন৷ এই পানীয় খেতে ভালো না লাগলেও, মাথা ব্যথা ও ঘোরা কমে গিয়ে রক্ত চলাচল সচল হবে এবং শারীরিকভাবে অনেক ভালো বোধ করবেন আপনি৷

আরএম-০১/১৪/০৫ (লাইফস্টাইল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে)