সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি কতটা স্বার্থপর?

সম্পর্কের

ভালোবাসা কে না চায়? হৃদয়ের গভীরতম এ অনুভূতি দিয়ে এক আরেকজনকে ঘিরে রাখে। ভালোবাসার মানুষই সঙ্গীর সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখে। যখন কেউ ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ান তখন একে অন্যের আবেগকে প্রাধান্য দেন। তবে সম্পর্কে থাকলে একে অন্যের পছন্দ, অপছন্দকে প্রাধান্য দেয়া উচিত।

নিজের সিদ্ধান্ত সঙ্গীর ওপর চাপিয়ে দিলে অনেক সময় সম্পর্ক ভেঙেও যায়। কিছু কিছু লক্ষণ আছে যাতে আপনি বুঝকে পারবেন সম্পর্কের ক্ষেত্রে সঙ্গী বা আপনি স্বার্থপরতা করছেন কি-না। সম্পর্ক বাঁচাতে এ ধরনের আচরণ পরিবর্তন করা জরুরি। যেমন-

১. যখনই আপনাদের মধ্যে কোনো ধরনের তর্ক হয় আপনি সেটা সমাধান করতে মোটেও আগ্রহী না হয়ে বারবার তর্কে জিততে চাইলে বুঝতে হবে আপনি একটু বেশিই স্বার্থপর। আপনি ভুল করেছেন জেনেও জিততে চাওয়ার এ মানসিকতা সম্পর্কে দুরত্ব তৈরি করে।

২. যেকোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সাধারণত দম্পতিরা একে অন্যের সঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু যদি আপনার মনে হয়, সঙ্গীর মতামতের কোনো দরকার নেই তাহলে বুঝতে হবে আপনার মধ্যে সিদ্ধান্ত চাপানোর মানসিকতা আছে। এতেও সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৩. আপনার সঙ্গী ভালো পদ পেলে কিংবা চাকরিতে উন্নতি করলে যদি আপনার ভালো না লাগে তাহলে তা মোটেও সম্পর্কের জন্য ভালো নয়।

৪. সুখী দাম্পত্য সাধারণত দুজনের সমঝোতার ওপর নির্ভর করে। কিন্তু আপনি যদি সব সময় সঙ্গীর সব কিছু অর্থাৎ অর্থ, পোশাক, আচরণ, চলাফেরা , দৈনন্দিন অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন তাহলে সম্পর্কে জটিলতা আসবেই।

৫. ভালোবাসলে থাকলে সবাই তার প্রিয় মানুষকে সুখী দেখতে চায়। তবে আপনি যদি মনে করেন, আপনি যা বলবেন সঙ্গী সেই অনুযায়ী সব সময় কাজ করবে তাহলে তা স্বাথর্পরতা।এটা মনে রাখা দরকার, আপনার সঙ্গী একজন মানুষ, কোনো পদার্থ নয়। সুতরাং তার মতামতকেও প্রাধান্য দিতে শিখুন।

৭. সব সময় সঙ্গীর মনোযোগ চাওয়াটাও এক ধরনের স্বার্থপরতার লক্ষণ। যদি আপনার সঙ্গী গুরুত্বপূর্ণ কোনো কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তাহলে তাকে সে সময়টা কাজ করতে দিন।

৮. সম্পর্ক আর আগের মতো নেই এটা আপনার প্রায়ই মনে হতে পারে। আপনি সেটা আগের মতো করার চেষ্টা করতে পারেন। তবে বারবার সম্পর্ক ভেঙে দেয়ার হুমকি দেওয়া সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর।

আরএম-১০/১৪/০১ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)